সিলেটে জ্বালানি তেলের তীব্র সঙ্কট : বোরো মৌসুমে কৃষকদের দুর্ভোগ
- এমজেএইচ জামিল, সিলেট
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯, আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮
সিলেটে জ্বালানি তেলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম তেল সরবরাহের কারণে পাম্প মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। বোরো আবাদে ব্যবহৃত ডিজেলের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এই সঙ্কট কৃষকদের জন্য বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ১০ লাখ লিটারেরও বেশি জ্বালানির চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ অত্যন্ত কম, যা কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
সিলেটে জ্বালানি তেলের প্রধান উৎস চট্টগ্রাম। ট্রেনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে আনা তেল ডিপো থেকে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেন। কিন্তু দুই থেকে তিন দিন অন্তর দুই থেকে আড়াই লাখ লিটার তেল সরবরাহের ফলে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাম্প মালিকরা গত চার বছর ধরে সিলেট ফিল্ডের কৈলাশটিলা থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকাকে এই সঙ্কটের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে ভৈরব ও আশুগঞ্জ থেকে তেল আনা হলেও, পরিবহন খরচ বাবদ সরকার ২০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরিমাণ কম পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট বিভাগ পেট্রল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১১৪টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে, যার মধ্যে সিলেট জেলা ও নগরীতে ৬০টি। ওয়াগন সঙ্কট এবং ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেটের গ্যাস ফিল্ড থেকে কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে এই সঙ্কট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। তেল উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় গোলাপগঞ্জের আরপিজিসিএল ও এলপিজি প্লান্ট বন্ধ হয়ে গেছে এবং কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড থেকে উত্তোলিত উচ্চমানের এনজিএল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।
বোরো মৌসুমে সেচের জন্য বিপুল পরিমাণ ডিজেলের চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা আশুগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল থেকে তেল আনলেও সঙ্কট কাটেনি।
রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (স্বাধীন) সালেহ আহমদ খসরু সঙ্কটের সত্যতা স্বীকার করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি সিলেটের জন্য শেরপুরে ডিপো নির্মাণের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন। পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীরাও ওয়াগন নির্ভরতা এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে কনডেনসেট উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে সঙ্কটের কথা উল্লেখ করেছেন।