২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সিলেটে মুনতাহার পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসক

মুনতাহার পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসক - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের কানাইঘাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু মুনতাহা জেরিনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মুনতাহা জেরিনের বাড়ি বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মুনতাহার কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।

ভুক্তভোগী পরিবারকে আশ্বস্ত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন সবসময় মুনতাহা জেরিনের পরিবারের পাশে থাকবে।’

জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদসহ আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তারা খুনীদের ফাঁসির দাবিও জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব মানব সম্পদ) হোসাইন মো: আল জুনায়েদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওয়াজিদ ওয়াসিফ ও কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সাথে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে শিশু মুনতাহা। পরে আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সাথে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের সাত দিন পর রোববার ভোররাতে বাড়ির পাশের একটি নালা থেকে মুনতাহার লাশসহ হাতেনাতে প্রতিবেশী আলিফজান বিবিকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আসামিরা হলেন কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মরহুম ময়না মিয়ার মেয়ে মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), একই গ্রামের মরহুম ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।

সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন জিহাদ ভূঁইয়া তাদেরকে আদালতে এনে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক কাজী মো: আবু জাহের বাদল প্রত্যেক আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল