২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সিলেটে ফখরুল হত্যায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

- ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের বালাগঞ্জে ফখরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় আরো একজনকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মরহুম গনু মিয়ার ছেলে মাহমদ আলী উরফে কাছা (৪৫), একই এলাকার মরহুম তৌফিক মিয়ার ছেলে ছাবের আহমদ (২৪), তার ভাই জুবের আহমদ (২৬), মরহুম রফিক মিয়ার ছেলে আফিক মিয়া (৩০), আখলিছের ছেলে সুহেল ও মরহুম লালা মিয়ার ছেলে শামীম চৌধুরী (৩৫) ও এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত একই গ্রামের মরহুম গণির ছেলে ইন্তাজ (৪০)।

এ সময় রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এছাড়া এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাহমদ আলী উরফে কাছা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির থাকলেও অন্য ছয় আসামি পলাতক ছিলেন।

মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন বালাগঞ্জের জামালপুর গ্রামের মনির আলীর ছেলে শাহিদ আলী, মরহুম রফিক মিয়ার ছেলে মাফিক (২৬), একই এলাকার মরহুম আব্দুল হামিদের ছেলে কাইয়ুম (২২), সালেহ আহমদের স্ত্রী আমারজান বিবি (২২) ও মরহুম রইছ আলীর ছেলে তজম্মুল আলী (৪০)।

মামলা চলাকালে একই এলাকার মরহুম জোয়াদ উল্লার ছেলে আখলিছ (৪৫) ও সিরাজ আলীর ছেলে মনির আলী (৩৫) মারা যান।

আদালত সূত্র জানায়, ‘২০০৬ সালের ১২ মে দুপুরে জামালপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আসামিরা পূর্ব শক্রতা ও মামলার জেরে পরিকল্পিতভাবে ফখরুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ফখরুল ইসলাম আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে খাইশাপাড়া মাদরাসার সামনে পৌঁছালে তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে আসামিরা।

একপর্যায়ে ফখরুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকারে ভাই আব্দুল নুর ও বোন দিলারা বেগম এগিয়ে এলে আসামিরা মারধর করে তাদের গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ফখরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আব্দুর নুরসহ অন্য আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম উরফে সিরাতুল ১৪ জনকে আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ জুলাই ১৪ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৮ সালে ১ জুলাই থেকে আদালত এ মামলার বিচার শুরু হয়।

মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো: জালাল উদ্দিন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট গোলাম এহিয়া চৌধুরী সুহেল মামলা পরিচালনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরনবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিআরজেএ-এর দোয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কাউকে রেহাই দেয়নি : রিজভী রাজাপুরে শাহজাহান ওমরকে প্রধান করে ২০৩ জনের নামে মামলা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পেতে চাইলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই দেশের সব সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা মাসিক ফুলকুঁড়ির ৪০০তম সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না : শিবির সেক্রেটারি

সকল