১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩০, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসকরা আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : খন্দকার মুক্তাদির

সম্মাননা অনুষ্ঠানে অতিথিরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসকরা আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হওয়া ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অবদান রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের নির্যাতনে তারা পেশাগত দায়িত্বের কথা ভুলে না গিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপি ও বিরোধী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের সাহসিকতার সাথে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। চিকিৎসক সমাজ এদেশের সচেতন নাগরিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।‘

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মাউন্ড অ্যাডোরা হাসপাতালকে ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যার সুফল আজো বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছেন। শহীদ জিয়ার ঐতিহাসিক ১৯ দফার মধ্যে দশম দফা ছিল, দেশবাসীর জন্য নূন্যতম চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা, যা তিনি বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। স্বাধীনতার পর অপুষ্টি, জন্মহার বৃদ্ধি, গুটি বসন্ত, ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবে যখন জনস্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছিল ওই সময় দ্রুত মনোযোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান।’

বাংলাদেশে কার্যকর উদ্যোগের ফলে ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা 'টিটেনাস টিকা' কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ যেমন আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। তেমনি এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও চিকিৎসক সমাজ ও মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। যার ফলে ডা. সজীবসহ একাধিক চিকিৎসক শহীদ হন, আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।’

এ সময় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও সিলেট জেলার সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল আহমদ মুর্শেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুবসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করে বক্তব্য দেন ইবনে সিনা হাসপাতালের চীফ মেডিক্যাল কর্মকর্তা মেজর অব. আব্দুস সালাম, সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তাফহীম আহমদ রিফাত, মাউন্ড অ্যাডোরা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তানভীরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে নার্সদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন শুভ চন্দ্রশীল, আয়শা সিদ্দিকী প্রিয়া, টিম লিডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম, অবিভাবকদের পক্ষ থেকে মুক্তার আহমদ।

বিএনপি নেতা আব্দুল মালেকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মতিউল বারী খুর্শেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মাউন্ড অ্যাডোরা হাসপাতালের রেজিষ্টার ডা. রায়হান আহমদ, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, ওয়ার্ড সভাপতিদের মধ্যে থেকে মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, আব্দুর রহিম মল্লিক, শুয়াইব আহমেদ শোয়েব, মনজুরুল হাসান মঞ্জু, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, খায়রুল ইসলাম খায়ের, তারেক আহমদ খান, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মোঃ নাজিম উদ্দীন, মিজান আহমদ, কাজী মুহিবুর রহমান মুহিব, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে থেকে মো: রফিকুল ইসলাম রফিক, ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, সাব্বির আহমদ, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, আব্দুল মালিক সেকু, রুবেল বক্স, মিনহাজ পাঠান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, আলমগীর হোসেন, নাজির হোসেন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement