১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩০, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সিলেটে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতিকে স্বাগত জানাতে নেতাকর্মীর ঢল

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এম এ মালেককে বরণ করতে জনতার ঢল। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেট বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতিকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন এম এ মালিক সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান।

জানা যায়, এ সময় বিমানবন্দরে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। সিলেট জেলা ও মহানগরের এবং এম এ মালিকের দক্ষিণ সুরমা এলাকার নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থেকে তাকে শোভাযাত্রা সহকারে শহরে নিয়ে যান। এম এ মালিক সিলেটে হযরত শাহজালাল র: এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে তার গ্রামের বাড়ি শহরতলীর দক্ষিণ সুরমার তেতলীতে তাকে গাড়ি শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯ বছর পর এম এ মালিক দেশে ফিরেছেন।

গত মঙ্গলবার তিনি ঢাকায় পৌঁছেন। সেদিনও ঢাকা শাহজালাল র: বিমানবন্দরে তাকে বিপুলভাবে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন।

দীর্ঘদিন পর নিজের জন্মভূমিতে ফিরে দারুণ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন লন্ডন ও ইউরোপ বিএনপির এই কান্ডারি।

সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছে কান্নাজড়িতকণ্ঠে এম এ মালিক বলেন, ‘আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল দেশের মাটিতে যেন তাকে কবর দেয়া হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বাধায় আমার মায়ের লাশ দেশে নিতে পারিনি। এমনকি আমার বাবা ও ছোট ভাইয়ের লাশও দেশে নিয়ে কবর দিতে পারিনি।

আমার বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। শেখ হাসিনা সরকার আমার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দীর্ঘ ১৯ বছর পর আমি পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছি। এখন দেশে ফিরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও রাজনৈতিক নেতাসহ সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়ে আমি খুবই এক্সাইটেড।’

যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি নানা কারণে আলোচিত হয়ে উঠেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের কঠোর অবস্থান আলোড়ন তুলে ইউরোপ আমেরিকার জুড়ে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় অবস্থানকালে তাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা প্রত্যাখান করেন। লন্ডনেও শেখ হাসিনা তার সাথে বসার আগ্রহ দেখান। কিন্তু ফ্যাসিবাদ সরকারের কারো সাথে তিনি বসতে রাজি হননি।

সিলেট বিমান বন্দরে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ সিলেটের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে এম এ মালিক দক্ষিণ সুরমার বাড়িতে পৌঁছলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসী ও এলাকার হাজার হাজার মানুষ তাকে একনজরে দেখতে বাড়িতে ভীড় জমিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement