সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলা পিবিআইতে
- সিলেট ব্যুরো
- ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫২, আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২০:০২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এ টি এম তুরাব হত্যা মামলা সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে মামলার নথিপত্র কোতোয়ালি থানা থেকে পিআইবিতে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
আলোচিত সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক ও মোগলাবাজার থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ মুরসালিন।
পিআইবিতে আলাপকালে তিনি নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, বুধবার (৯ আগস্ট) হত্যাকাণ্ডের স্পট পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হবে। তিনি খুব দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় মামলার বাদি নিহত তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মোহাম্মদ আজরফ ওরফে জাবুর, দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পৌনে তিন মাস পর এই মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর হলো। ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র কোর্ট পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক তুরাব। এটিকে সাংবাদিক সমাজ একটি পরিলক্ষিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে আসছেন। হত্যার পরপরই মামলা দিতে গেলে কোতোয়ালি পুলিশ মামলা না নিয়ে জিডি হিসেবে রুজু করে। ছাত্র গণবিপ্লবের পর গত ১৯ আগস্ট আদালতে তুরাব হত্যা মামলা করা হলে পুলিশকে মামলা এফআইআর করে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
তুরাব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এসএমপির তৎকালিন ডিসি আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গোলাম দস্তগীর, কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি মঈন উদ্দিনসহ ১৮ জন এজহারভুক্ত আসামিই পলাতক রয়েছেন।
কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ
উপরন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সীমান্ত থেকে বিজিবির হাতে আটক মামলার অন্যতম আসামি কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি মঈন উদ্দিনকে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। কিন্তু মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেন। এ খবর শুনে বিক্ষুব্ধ সিলেটের সাংবাদিক সমাজ পরদিন এসএমপি কমিশনারের অফিসের সামনে সমাবেশ করে আসামিদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা