২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সিলেট বিভাগে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ৭

-

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেট বিভাগের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুর ও বিকেলে সিলেট জেলার জৈন্তাপুরে পৃথক বজ্রপাতে দুইজন, কানাইঘাটে দুইজন, গোয়াইনঘাটে একজন, কোম্পানীগঞ্জে একজন ও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে একজনের মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, তীব্র খরতাপের পর শনিবার দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলায় আকস্মিক ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও একই ইউনিয়নের ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান মনই (৪৫)।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে নিহতদের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন কালা মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। অপরজন পৌরসভার বাসিন্দা দলইমাটি গ্রামের নুর উদ্দিন (৬০) বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি জানান, শনিবার বিকেল ৪টার সময় কানাইঘাটের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছে। দু’জনের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটেও বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর পৌণে একটায় বজ্রপাতে ভিত্রিখেল হাওর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী রুকসানা বেগম (৪৭) বজ্রপাতে অজ্ঞান হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় বজ্রপাতে আহত হন নিয়াগোল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ইসমাইল আলী (১৮)। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখার কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি শুনেছি, খবর নেয়া হচ্ছে। এ সময় ঝড়ে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটে বাঁশ ও গাছপালা উপড়ে পড়ে যান ও জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। গ্রামাঞ্চলে বিড়্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

অন্যদিকে দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে নেজামুল (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

নেজামুল উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের পুটামারা গ্রামের সুরফান মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর ২টার দিকে নেজামুল বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস নিয়ে বাড়িতে আসার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। আসেপাশে থাকা অন্য লোকজন থাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও ইউনিয়ন বিট অফিসার মনজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দ্বীন ইসলাম (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপারা গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে চারা ক্ষেতে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত সলতু মিয়ার ছেলে।

ইউনিয়ন সদস্য কালাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির সামনে চারা ক্ষেতে তিনি লাকড়ি শুকাতে দিয়েছিলেন। দুপুরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে এলে তিনি লাকড়িগুলো আনতে গেলে ঝড়ের সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। হঠাৎ করেই বজ্রপাত শরীরে পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বজ্রাঘাতে নিহত কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement