২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তসলিমার ভারতে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা!

তসলিমা নাসরিন - ছবি : সংগ্রহ

ভারতে থাকা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন বিতর্কিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নির্বাসিত বিতর্কিত এই লেখিকা বর্তমানে সুইডেনের নাগরিক। তবে থাকেন ভারতেই। কিন্তু গত জুলাই মাসে তাঁর রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনো তা নবীকরণ হয়নি। যা চিন্তায় রেখেছে তসলিমাকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'আমি যদি পারমিট না পাই, নিশ্চিতভাবেই মারা যাব। আমি এমন অবস্থায় রয়েছি যে কোথাও যাওয়ার জায়গাই নেই।'

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে চলে আসেন তসলিমা। ওই সময় তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়। তার পর ইউরোপে কয়েক বছর থাকার পর ভারতেই বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কলকাতাতেই থাকতেন ‘লজ্জা’র লেখিকা। কিন্তু তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ২০১১ সাল থেকে জয়পুরেই থাকতেন তসলিমা। পরে দিল্লির বাসিন্দা হন। পেয়েছিলেন দীর্ঘকালীন রেসিডেন্স পারমিট। প্রতিবছর যা পুনর্নবীকরণ হয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা না হওয়ায় আশঙ্কিত তিনি। তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমি ভারতে ভারতে থাকতে ভালোবাসি। কিন্তু প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল আমার রেসিডেন্স পারমিট নবীকরণ হয়নি।'

তবে তসলিমা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তার সাথে সরকারপক্ষের কারও যোগাযোগ হয়নি। তিনি বলছেন, 'আমি কারো সঙ্গে কথা বলিনি। অনলাইনে স্টেটাস চেক করে দেখেছি এখনও কোনও কনফার্মেশন পাইনি। যদিও এখনও সেটা ‘আপডেটিং’ দেখাচ্ছে, কিন্তু আগে কখনও এরকম হয়নি।'

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কি তাঁর পারমিট নবীকরণ না হওয়ার কোনো সম্পর্ক রয়েছে? এর জবাবে লেখিকা বলছেন, 'বাংলাদেশ ও সেখানকার রাজনীতির সঙ্গে আমার তো কোনও যোগই নেই। আমি এখানে সুইডেনের নাগরিক হিসেবেই থাকি। আর আমার পারমিট বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ বিতর্ক শুরুর আগে।' তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৭ সালেও এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাকে। সেটাকে প্রযুক্তিগত সমস্যা বলেই জানাচ্ছেন তসলিমা।

তসলিমা আরো বলেন,'মানুষ মনে করে আমার সঙ্গে সরকার ও নেতাদের ঘনিষ্ঠতা আছে, তা কিন্তু নয়। পারমিট না পেলে আমি মারা যাব। এখন কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।'

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন ও আজতক


আরো সংবাদ



premium cement