ভারতে ভয়াবহ চাঁদিপুর ভাইরাসের হানা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৮
ভারতে নতুন এক মারণ ভাইরাসের ব্যাপক প্রকোপে কপালে চন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। আতঙ্কের নাম চাঁদিপুর ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিগত ২০ বছরে এত ভয়ংকর প্রাদুর্ভাব দেখেনি ভারত। ডব্লিউএইচও সম্প্রতি জানিয়েছে, জুনের প্রথম থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এআইএস (তীব্র এনসেফালাইটিস সিনড্রোম)-এর ২৪৫টি ঘটনার রিপোর্ট করেছে, যার মধ্যে ৮২ জন মৃত্যু (মৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশ) হয়েছে।
ভারতের মোট ৪৩টি জেলা বর্তমানে এআইএস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জন চাঁদিপুর ভাইরাসে সংক্রমিত। চাঁদিপুর ভাইরাস বা সিএইচপিভি হলো Rhabdoviridae পরিবারের সদস্য এবং ভারতের পশ্চিম, মধ্য এবং দক্ষিণ অংশে, বিশেষ করে বর্ষা মরসুমে বিক্ষিপ্ত ঘটনা এবং এআইএসের প্রাদুর্ভাবের জন্য পরিচিত। আগের প্রাদুর্ভাবের মতো বিভিন্ন জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে এই ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাটে প্রতি চার থেকে পাঁচ বছরে সিএইচপিভি প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভাইরাসটির আসল নাম চাঁদিপুর ভেসিকুলোভাইরাস। ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রর চাঁদিপুর গ্রামে এই ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকেই এই নামকরণ। এটি একটি আরএনএ ভাইরাস। এটি প্যাথোজেনটি ব়্যাবডোভিরিডা ভাইরাল পরিবারের ভেসিকুলোভাইরাস গণের সদস্য। জুলাই মাসে প্রথম চাঁদিপুরা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় গুজরাটে। হিম্মত নগরে এক সরকারি হাসপাতালে গত ১০ জুলাই চার শিশুর মৃত্যু ঘটে। চিকিৎসকদের তরফে দাবি করা হয় চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই এই ঘটনায়। যদিও নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহের রক্তের নমুনা পাঠানো হয় এনআইবি-তে।
সূত্র : জি নিউজ