২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অস্ত্রোপচারের পর বাংলাদেশীদের কিডনি পাচার! দিল্লিতে চিকিৎসকসহ আটক ৭

দিল্লিতে কিডনি পাচারের অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ - ছবি : সংগৃহীত

ভারতের দিল্লিতে বড় ধরনের একটি কিডনি পাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক নারী চিকিৎসকসহ সাতজনকে।

জানা গেছে, যাদের কিডনি নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাদেশের নাগরিক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর প্রদেশের নয়ডার একটি হাসপাতালে এই চিকিৎসক ১৬ জন রোগীর দেহে অপারেশনও করেছেন। যে পাচার চক্রটি কাজ করছে তার জাল রাজস্থানের পাশাপাশি বাংলাদেশেও রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বিষয়টির তদন্তে দিল্লি পুলিশের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে রাজস্থান পুলিশও।

দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল জানিয়েছেন, দিল্লির সরিতা বিহার হাসপাতালে কাজ করতেন গ্রেফতার ওই নারী চিকিৎসক। এছাড়াও দিল্লির একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরিতা বিহারের হাসপাতালে প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি অস্ত্রোপচার করেন ওই নারী চিকিৎসক। সেখানেই কিডনি পাচার চক্রের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচারের সময় কিডনি সরানো হতো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যাদের কিডনি নেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশের নাগরিক।
পাচারকারীদের হয়ে ওই নারী চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি কিডনি পাচারের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক হাড়হিম করা তথ্য দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীতে একাধিক কিডনি পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই একটির সাথে জড়িত ওই চিকিৎসক। কয়েক দিন আগে পুলিশ এই পাচার চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই একাধিক তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, যেসব বাংলাদেশী নাগরিকের কিডনি নেয়া হয়েছে তাদেরকে টাকা ছাড়াও চাকরির অফার দেয়া হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে জোর করে বা ভয় দেখিয়েও কিডনি নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের নকল কাগজ ও তথ্য দেয়া হতো। এই চক্রটি বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কিডনি কেনাবেচা করত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসে ভুয়া তথ্য জমা দেয়া হতো বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

যে হাসপাতালে অভিযুক্ত চিকিৎসক কাজ করতেন সেখান থেকে তাকে সাসপেন্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। এই চক্রের সাথে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

সূত্র : এইসময়, আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement