২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চীনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজকে নোঙরের অনুমতি লঙ্কার, চিন্তায় ভারত

চীনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজকে নোঙরের অনুমতি লঙ্কার, চিন্তায় ভারত - ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে নিজেদের বন্দরে চীনা ‘নজরদারি জাহাজ’ ভেড়ানোর অনুমতি দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। গত বছর ভারত সরকারের আপত্তিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনা জাহাজের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছিল দ্বীপরাষ্ট্র। এবার ওই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলো।

এ প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরির বিবৃতি প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, আলাদা আলাদা দেশের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম কখনই প্রযোজ্য হতে পারে না। অন্য দেশকে অনুমতি দিয়ে আমরা চীনকে বাধা দিতে পারি না।


সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য হিন্দুর’ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি জানান, আগামী বছর থেকে নিজেদের বন্দরে বিদেশী নজরদারি জাহাজকে প্রবেশের অনুমতি দেবে প্রশাসন। সম্প্রতি জাপান সফরে যাওয়ার সময় সেখানকার সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাবরি বলেন, ‘নিয়ম একটাই হওয়া উচিত। চীনের জন্য এক নিয়ম ও বাকি দেশের জন্য অন্য নিয়ম এটা হতে পারে না। আমরা কারো পক্ষ নিতে পারি না। তাছাড়া চীনের এই সমীক্ষাকারী জাহাজ সমুদ্রে জরিপের কাজ, ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্বের বাকি অংশের সাথে সেই তথ্য ভাগ করে বাণিজ্যিকভাবে তা কাজে লাগানোর সুযোগ দেবে। এর সুফল পাবে শ্রীলঙ্কাও। যদিও ভারতের সন্দেহ, সমীক্ষা নামে আসলে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করবে চীনা জাহাজ।

উল্লেখ্য, গত বছর শ্রীলঙ্কার বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছিল চীনের ‘নজরদারি জাহাজ’ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয় ভারত সরকার। কার্যত ভারতের চাপেই শেষ পর্যন্ত চীনা জাহাজকে ফেরাতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা সরকার। এবার দ্বীপরাষ্ট্র সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ধীরে ধীরে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। গত বছরের মে মাসে চায়না মার্চেন্টস গ্রুপ কলম্বো বন্দরে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিল। ২০২২ সালে দেউলিয়া হওয়ার পর এটিই শ্রীলঙ্কায় প্রথম বড় বিদেশী বিনিয়োগ। সেই সূত্র ধরেই চীনা ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে দ্বীপরাষ্ট্রের।

বলে রাখা ভালো, শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর চীনা ঋণে তৈরি। সেই বিপুল পরিমাণের অর্থ ফেরত দিতে না পারায় বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য বেইজিংকে লিজ দিয়েছে কলম্বো। ভারতের উদ্বেগ, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করবে চীন।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন ও অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement