০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর

মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর - ফাইল ছবি

ভারতে ফৌজদারি নয়া দণ্ডবিধি 'ন্যায় সংহিতা' চালু হওয়ায় মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনের কোপে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পার্লামেন্ট সদস্য মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল এমপিদের বিরুদ্ধে ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭৯ অনুসারে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মার বিরুদ্ধে তাঁ ‘পাজামা’ মন্তব্যের জেরে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হাথরাসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেখা শর্মা। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে দেখা যায় একজন লোক রেখার পিছনে ছাতা ধরে হাঁটছেন। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন নেটিজেনরা। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেন, ‘তিনি তার বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত।’ মহুয়ার এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে একজন মহিলার মর্যাদাহানি করেছেন এমপি। এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেও অভিযোগ জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কৃষ্ণনগরের এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দেয়ার কথাও বলা হয়।

রেখা শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭৯ অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। এই সেকশন অনুযায়ী, মহিলাদের মর্যাদাহানি করে এমন ধরনের শব্দ, ইঙ্গিত বা কাজ অপরাধমূলক হিসেবে গণ্য করা হবে। এবং কড়া শাস্তি দেয়া হবে অভিযুক্তকে। বলার অপেক্ষা রাখে না, শপথ গ্রহণের এক মাস পার হতে না হতেই এবার দিল্লি পুলিশের এফআইআরে যথেষ্ট বিপাকে তৃণমূল এমপি।

যদিও সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে পালটা তোপ দাগতে দেখা গেছে তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্রকে। তৃণমূল এমপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে য হ্যান্ডেলে মহিলা কমিশনের ওই বার্তা তুলে ধরেই মহুয়া লিখেছিলেন, ‘দিল্লি পুলিশ আসুন অবিলম্বে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যদি তিন দিনের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করতে চান, তাহলে নদিয়ায় আসুন। এখন আমি নদিয়াতেই রয়েছি।’ একইসাথে কটাক্ষের সুরে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার নিজের ছাতা নিজে ধরতে পারি।’
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement