২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতে চালু হওয়া নতুন তিন আইন নিয়ে এত বিতর্ক কেন?

শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই আইন সংক্রান্ত বিল। - প্রতীকী ছবি

বিতর্ক সাথে নিয়েই পহেলা জুলাই (সোমবার) থেকে ভারতে বলবৎ হলো‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা'-সহ তিনটি নতুন অপরাধমূলক আইন। বিরোধীদের তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এই তিন আইন কার্যকর করছে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদির সরকার। কিন্তু এই আইনগুলো ঘিরে এত বিতর্কের কারণ কী? কী পরিবর্তনই বা এসেছে নতুন আইনগুলোতে?

ভারতের বিরোধী শিবিরগুলো নির্বাচনের আগে থেকে বলে আসছিল, এবার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলে ‘সংবিধান বদল’ করতেও পিছপা হবে না মোদি সরকার।

সেটি না হলেও শরিক নির্ভর বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এমন আইন কার্যকর করেছে যার বিল প্রায় একতরফাভাবে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।

গত বছর ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছিল এই আইন সংক্রান্ত বিল। ওই সময় বিরোধীদের পাশাপাশি আইনজ্ঞরাও বলেছিলেন, যে আইন দেশের বিচার ব্যবস্থাকে বদলে দেবে, তা নিয়ে সংসদে পূর্ণাঙ্গ তর্ক হওয়া উচিত, যেটি হয়নি।

সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার সময় এই বিল নিয়ে তর্ক হয়েছিল মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। এবং ওই সময় ১৪০ জনেরও বেশি বিরোধী সংসদ সদস্যকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

কার্যকর হওয়া নতুন এই তিনটি অপরাধমূলক আইন হলো ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’,‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, আইনে এতদিন সাজার কথা বলা ছিল, কিন্তু নতুন আইনে ‘সাধারণ মানুষের ন্যায়ের কথা বলা হয়েছে’।

মোদি সরকারের দাবি, নতুন আইনে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু সুরক্ষা, ন্যায় বিচার পাওয়া, সংস্কারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। জোর দেয়া হয়েছে অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রেও।

যদিও আইনজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীদের মত কিন্তু একেবারে আলাদা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কলিন গোঞ্জালভেস বলেন, ‘শুনে হতবাক হয়েছিলাম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বলেছিলেন ঔপনিবেশিক দমনমূলক আইনকে বদলে ফেলতে এই নতুন আইন বলবৎ করা হচ্ছে! কারণ এই আইন ব্রিটিশ আইনের চেয়ে দশগুণ খারাপ।’

‘কল্পনা করা যায় যে স্বাধীন ভারতে এমন আইন বলবৎ করা হচ্ছে যা ব্রিটিশ আমলের চেয়েও বেশি দমনমূলক। এবং এই সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে না কি ঔপনিবেশিক আইন থেকে মুক্তি পাওয়ার আড়ালে।’

মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী এবং এপিডিআর-এর সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর বলেন,‘এই আইন কিন্তু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করবে। পুলিশের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা তুলে দেয়ার ফলে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে।’

কী রয়েছে নতুন আইনে
এই আইনে নতুন অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়া, আক্রমণ, গুরুতর আঘাত করার মতো অপরাধগুলির জন্য যে বিধান ছিল তা বজায় রাখার পাশাপাশি সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, গণহত্যার মতো অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নয়া আইনে।

ইউএপিএ-র মতো সন্ত্রাসবিরোধী আইন এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

১ জুলাই থেকে দেশের ৬৫০টিরও বেশি জেলা আদালত ও ১৬ হাজার থানাকে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এখন থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিবর্তে বিএনএসএসের ১৭৩ ধারায় আমলযোগ্য অপরাধের মামলা করা হবে।

কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় দেশদ্রোহের মতো অপরাধকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছিল।

তবে এর পরিবর্তে নতুন আইনে ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা এবং অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার মতো অভিযোগকে অন্যভাবে অপরাধের তালিকায় শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। সাজার কথাও বলা রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদী কাজ, যা আগে আন-লফুল একটিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্টের মতো বিশেষ আইনের অংশ ছিল তা এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন আইনে ১৮ বছরের কমবয়সি অর্থাৎ নাবালিকার ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড থেকে আজীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজার কথা বলা হয়েছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাবাসের সাজা হতে পারে।

যৌন সহিংসতার অভিযোগের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নারীর বয়ান তারই বাড়িতে নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। নারী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই বয়ান দিতে পারবেন ভুক্তভোগী। বিয়ে বা অন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদেরসাথে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ১০ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে।

বাধ্যতামূলক সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে তদন্ত এবং শুনানির জন্য। এখন শুনানির ৪৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, অভিযোগের তিন দিনের মধ্যে এফআইআর দায়ের করতে হবে।

ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিসিটিএনএস) মাধ্যমে এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর অধীনে এই প্রোগ্রাম কাজ করে।

সিসিটিএনএস আপগ্রেড করা হয়েছে যাতে কোনো থানায় না গিয়ে অনলাইনেই এফআইআর দায়ের করতে পারে। পরে থানায় গিয়ে সই করে আসতে হবে। অপরাধ যে থানার এখতিয়ারে পড়ুক, যেকোনো থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করা যেতে পারে। দায় এড়াতে পারবে না কোনো থানা।

এর আগে ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা যেত। তবে এখন ৬০ বা ৯০ দিনের জন্য দেয়া যেতে পারে। মামলার বিচার শুরুর আগে এত দীর্ঘ পুলিশ রিমান্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আইনজ্ঞদের অনেকেই।

অ্যাডাল্ট্রি এবং ৩৭৭ ধারা সরানো হয়েছে। তবে কর্ণাটক সরকার এতে আপত্তি জানিয়ে বলেছে ৩৭৭ সম্পূর্ণ অপসারণ ঠিক নয়, কারণ এটা অপ্রাকৃত যৌনতা সংক্রান্ত অপরাধের মামলায় ব্যবহার করা হয়।

চুরি, ডাকাতি, প্রতারণার মতো অপরাধের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যে বিধান ছিল নয়া আইনেও তা রয়েছে। এরইসাথে সাইবার অপরাধ এবং আর্থিক প্রতারণার মতো অপরাধকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এত দিন ভারতে গণপিটুনির জন্য কোনো আলাদা আইন ছিল না। এখন থেকে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

নারীদের হার বা মোবাইল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার বিচারের জন্যও রয়েছে আইনি ব্যবস্থা।

মানব পাচার, পরিবেশ দূষণের মতো ঘটনায় কী শাস্তি হতে পারে তার উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মের আওতায় তদন্তে এখন ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাজেয়াপ্ত অনুসন্ধান এবং প্রমাণ সংগ্রহের সময় রেকর্ডিং অনলাইন মোডে করতে হবে।

এখন শুধু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরাই প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আগে এনজিও বা সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোও আসামিদের পক্ষে প্রাণভিক্ষার আবেদন করত।

নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা অনুযায়ী, অভিযুক্তদের অধিকার সুরক্ষার জন্য পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করা হলে কোনো অভিযোগে গ্রেফতার কড়া হচ্ছে তা পুলিশকে জানাতে হবে। ধৃতের শারীরিক পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারকে একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে নয়া আইন অনুযায়ী,‘বৃহত্তর স্বার্থে' কোনো ব্যক্তিকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। একইসাথে পুলিশকে কোনো অপরাধের তদন্তের স্বার্থে আরো বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যেটি কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির এবং আইনজ্ঞরা। তাদের অভিযোগ, এতে ‘আইনের অপব্যবহার' হতে পারে।

বিরোধীরা কী বলছে?
নতুন আইন কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তার অভিযোগ, পর্যাপ্ত আলোচনা ও বিতর্ক ছাড়াই তিনটে নতুন বিল আনা হয়েছে।

সোমবার এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার)-এ তিনি লেখেন, ‘তথাকথিত নতুন আইনের ৯০-৯৯ শতাংশই কাট, কপি অ্যান্ড পেস্টের কাজ। যে কাজ বিদ্যমান তিনটে আইনে কয়েকটা সংশোধনী এনে করা যেত, তা পরিণত হয়েছে অপচয়মূলক অনুশীলনে।'

‘হ্যাঁ, নতুন আইনে কিছু উন্নতি হয়েছে এবং আমরা সেগুলিকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে তা সংশোধনী হিসেবে পেশ করা যেত। অন্যদিকে, বেশ কয়েকটা পশ্চাদমুখী বিধান রয়েছে। কিছু পরিবর্তন প্রাথমিকভাবে অসাংবিধানিক।'

এই তিনটে বিল নিয়ে স্থায়ী কমিটির সংসদ সদস্যরা যে বিস্তারিত নোটে তাদের পৃথক মতপ্রকাশ করেছিলেন সে বিষয়ে সরকার নিশ্চুপ ছিল। সেই সমালোচনা খণ্ডন করেনি সরকার, সংসদেও এ নিয়ে তেমন আলোচনা বা তর্কের সুযোগ দেয়া হয়নি।

অন্যদিকে, এক সপ্তাহ আগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে এই আইন পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন, যা গ্রাহ্য হয়নি। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলোর ‘আপত্তির’ মাঝেই এই তিন আইন কার্যকর হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
দেশদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসদমন সংক্রান্ত বিধি নিয়ে শুরু থেকেই বিজেপিকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। নতুন আইনে সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত আইন না থাকলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেশের‘সার্বভৌমতা ও ঐক্য’র যেকোনো বিরোধিতার ক্ষেত্রে শাস্তিদানের কথা বলে হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন,‘সরকারের সমালোচকদের’ থামাতে ‘অপব্যবহার’ হতে পারে নতুন আইনের।

মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন,‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আবার ফিরে এসেছে কিন্তু একটু ঘুরিয়ে। এর পরিধি বেড়েছে, শাস্তি কঠোর হয়েছে।’

‘অন্যদিকে, আগে ইউএপিএ কারো বিরুদ্ধে কার্যকর করতে হলে বিশেষ অনুমোদন লাগত। যেমন অরুন্ধতী রায়ের ক্ষেত্রে লিউটেনেন্ট গভর্নর অনুমোদন দিয়েছিলেন, তেমন হওয়ার আর প্রয়োজন নেই। এখন পুলিশই এই ধারা দিতে পারবে। অর্থাৎ পুলিশের হাতে আরো ক্ষমতা দেয়া।’

তিনি বলেন, আসলে পুরোটাই বিচার ব্যবস্থাতে নৈরাজ্য তৈরি করার চেষ্টা।

সমালোচনা করেছেন আইনজীবী কলিন গোঞ্জালভেসও। তার কথায়, ‘নতুন আইন সাধারণ মানুষের পক্ষে এমনটা বলা হলেও আদতে তা আরো বেশি দমনমূলক। এমনিতেই আমাদের দেশের আইন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর। আর বিচারের নাম করে দীর্ঘদিন জেলে আটকে রাখা নিয়ে আমরা তেমন ভাবিত হই না।’

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,‘কীভাবে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের মতো বিশেষ আইনকে অন্য অপরাধ দমনের আইনের আওতায় আনতে পারে? দুটি ভিন্ন ভিন্ন আইন, ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের জন্য । এদের একসাথে আনার অর্থ হলো আরো বেশি দমনমূলক পদক্ষেপ নেয়া।’

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি অন্য একটি প্রসঙ্গ আনেন। তার কথায়,‘পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে মারধর বা অত্যাচার নিয়ে বিচারক ডিকে বাসুর যে নির্দেশ রয়েছে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে তা আমল দেয়ার কথা। কিন্তু এই আইনে তার প্রতিফলন নেই।’

অনেক ক্ষেত্রে আইপিসি অনুযায়ী অপরাধের সংজ্ঞা ও শাস্তি একই থাকলেও নতুন আইনে ধারা অন্য। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন রঞ্জিত শূর।

তার কথায়,‘কাল পর্যন্ত একরকম ধারা, আজ থেকে সেই একই অপরাধের ক্ষেত্রে অন্য ধারা দেয়া হবে। এই সব করতে গিয়ে বিচারব্যবস্থার কী হবে? আমাদের দেশে এমনিতেই এত পেন্ডিং মামলা রয়েছে। পেন্ডিং মামলায় কীভাবে ন্যায় দেয়া যায় সে কথা তো বলছে না?’

প্রবীণ আইনজীবী কলিন গোঞ্জালভেসও সহমত পোষণ করেন। তিনি বলেন,‘পুলিশের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার অর্থ অপব্যবহার। আসলে পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার দরকার, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন বন্ধ করা দরকার। সে বিষয়ে তো কিছু করা হয়নি।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement