২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘১৫ দিনও টিকবে না মোদি সরকার, ‘ইন্ডিয়া’ আসবে ক্ষমতায়’

বিজয়সূচক ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগৃহীত

ভারতে তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের আয়ু বেশিদিন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ১৫ দিনও টিকবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেঁধে না দিলেও একেবারে আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি বললেন, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারবে না তৃতীয় মোদি সরকার।

তিনি আরো বলেন, পরে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গঠন করবে।

তবে সেটা কীভাবে হবে, তা অবশ্য খোলসা করে বলেননি মমতা।

‘নতুন সরকার আদতে ইন্ডিয়া জোটের হবে’
এমনিতে এবার এককভাবে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেনি। ফলে ‘এনডিএ’ জোটের মুখাপেক্ষী হয়ে সরকার গঠন করতে হচ্ছে মোদিকে। নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুদের মতো নেতাদের সমর্থন নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করতে চলেছেন মোদি।

সেই রেশ ধরে মমতা বলেন, ‘নতুন সরকার অবশ্য আদতে ইন্ডিয়া জোটের হবে। কিন্তু যে কয়েকদিন থাকে (ওরা).........। একটু সামলাতে দিন। একটু দেখতে দিন নিজেদের।’

তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির সদস্য বেছে নেয়ার বৈঠক
শনিবার কালীঘাটে নিজের বাড়িতে তৃণমূলের সাংসদদের সাথে বৈঠক করেন মমতা। সেখানে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জীকে বেছে নেয়া হয়েছে। চিফ হুইপের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জীকে। আর মমতা হয়েছেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন।

এনআরসি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোদি সরকারের বিরোধিতা করবে তৃণমূল
সেই বৈঠকের পরে মমতা জানান, তৃতীয় মোদি সরকারের হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় সংসদে তাদের চেপে ধরার কোনো সুযোগ ছাড়বে না তৃণমূল। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি), অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (ইউসিসি) মতো ক্ষেত্রে সরকারের তুমুল বিরোধিতা করা হবে।

তারপরই তিনি বলেন, ‘এটা কেউ ভাববেন না (যে) আজ ইন্ডিয়া জোট (সরকার গঠনের) দাবি জানায়নি মানে কালও করবে না। আমি অপেক্ষা করছি এবং পুরো বিষয়টির ওপরে নজর রেখেছি। দেশে পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।’

আর সেই কথা শুনে তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) মুখে হাসি দেখা যায়। তারইমধ্যে মমতা বলতে থাকেন, ‘মোদিকে কেউ চান না। এত বড় হারের পরে মোদিবাবুর উচিত ছিল যে এটা অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া। শুধু ভয় দেখিয়ে, চমকে-ধমকে, তথাকথিত দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে, ১৪৭ জনকে তাড়িয়ে দিয়ে যেকোনো বিল পাস করিয়ে দেবে। এনআরসি নিয়ে আলোচনা চাইবে আমাদের লোকেরা এবং এনআরসি বাতিল করতে হবে। নতুন সরকারের কাছে (এটাই আমাদের আবেদন)।’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement