নির্বাচনের মাঝেই ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কেন ‘সুর বদল’ মমতা ব্যানার্জীর?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ মে ২০২৪, ২০:৩২
লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রে বিজেপিবিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে সরকার গঠন করতে ‘বাইরে থেকে সমর্থন’ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আপাতত সরগরম রাজনৈতিক ময়দান।
বুধবার হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে একদিকে স্পষ্ট করে দেন যে ইন্ডিয়া জোটের জয় সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত। একইসাথে জানান, বিজেপিবিরোধী জোট কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ‘নেতৃত্ব দিয়ে বাইরে থেকে সমর্থন করে’ সরকার গঠনে সাহায্য করবে তার দল।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব। যাতে বাংলায় আমার মা-বোনেদের কোনোদিন অসুবিধা না হয়, ১০০ দিনের কাজে কোনোদিন অসুবিধা না হয়।’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে ঠিক কী ইঙ্গিত দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। কারণ ইন্ডিয়া জোটের গঠনে নিজের ভূমিকা নিয়ে প্রায়শ বলতে শোনা যায় তাকে। কংগ্রেসসহ অন্যান্য শরিকদের বিরুদ্ধে সরবও হলেও জোটের জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত তিনি।
অন্যদিকে, রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট নেই একথা স্পষ্ট করে দিলেও কেন্দ্রে যে তিনি শরিক সে কথা বারবার বলে এসেছেন।
তবে বুধবারের আগে এমন ‘নতুন সুর’ শোনা যায়নি মমতা ব্যানার্জীর গলায়।
ভারতে ইতোমধ্যে চার দফা লোকসভা ভোট হয়ে গেছে। পঞ্চম পর্ব আসন্ন। রাজনীতির অঙ্কও বদলেছে। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন থাকলেও এখন ছবিটা একটু অন্যরকম।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতার, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুসন্ধানের মতো ইস্যুকে ঘিরে ইন্ডিয়া জোট একমঞ্চে এসেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনায় সাম্প্রতিক মোড় এবং অন্যান্য ঘটনাকে ঘিরে বিজেপি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে। এবং তাদের এই অস্বস্তি বিজেপিবিরোধী জোটের পক্ষে যাচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ঠিক এই অবস্থায় মমতা ব্যানার্জীর ‘বাইরে থেকে সরকার গঠনে সাহায্যের’ আশ্বাস একাধিক প্রশ্ন তুলেছে।
এই বক্তব্য কি তাহলে ইন্ডিয়া জোটে মমতা ব্যানার্জীর নতুন অবস্থানের ইঙ্গিত? না কি আগামী পর্বের ভোটের কথা ভেবে অন্য কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে এর পিছনে?
এদিকে, নির্বাচনী সভায় এই মন্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। ব্যাখ্যা আসেনি তার দলের থেকেও।
তবে তার এই বক্তব্যকে বিজেপি যেমন কটাক্ষ করেছে, তেমনই বাম ও কংগ্রেস দেখেছে ‘সুবিধাবাদ’ হিসেবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আবার মনে করেন এই মন্তব্যের পিছনে রয়েছে ‘নির্দিষ্ট সমীকরণ’।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
সাম্প্রতিক নির্বাচনী সভায় যে কটি বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে তা হলো বিজেপির ‘৪০০ সিট পারের’ লক্ষ্যকে কটাক্ষ, সাম্প্রতিককালে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, রাজ্যকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজসহ নানা বিষয়।
উঠে এসেছে ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গও। প্রতিবারই তিনি গর্বের সাথে জানিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নাম তার দেয়া। বলেছেন, ভোটের পর ছবিটা বদলাবে, বিজেপির সরকার পতনের পর ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।
একইসাথে জানিয়েছেন, রাজ্যে এই জোটের কোনো অস্তিত্ব নেই কারণ বাম ও কংগ্রেসের সাথে তিনি হাত মেলাতে নারাজ। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে তিনি আছেন।
তবে ছন্দ পরিবর্তন দেখা গেছে বুধবারের সভায়। সেখানে বিজেপির আসন জেতার লক্ষ্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি অহঙ্কার করে বলেছিল, ইসবার চারশো পার। মানুষ বলছে, নেহি হোগা দোশো পার। এই বার হবে পগারপার।’
সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যে বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তিনি। ওই সভায় তিনি বলেন, ‘বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস আমাদের সাথে নেই। এই দুটো বিজেপির সাথে রয়েছে।’
একইসাথে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, নির্বাচনের পরে কেন্দ্রে বিজেপিবিরোধী সরকার গঠনের জন্য তিনিই বাইরে থেকে সমর্থন করবেন।
সমালোচনা
তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বক্তব্যের পর তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। সমালোচনা করেছে রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের শরিক বাম ও কংগ্রেসও।
লোকজনশক্তি পার্টির সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান (বিরোধী এনডিএ জোটে সামিল) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কোনো আদর্শ বা নৈতিকতা নেই এদের। তাই বারবার বক্তব্য পরিবর্তন হয়।’
একইসাথে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের কটাক্ষ করেছেন তিনি। ছিরাগ পাসোয়ান বলেছেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে উনি (মমতা ব্যানার্জী) ভোটে লড়ে আসবেন তাদের সঙ্গে কীভাবে কেন্দ্রে সরকার বানাবেন? আসলে এরা কেউই দেশের উন্নয়নের কথা ভাবেন না। শুধুমাত্র ভাবেন ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষার বিষয়টা।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বুধবার পুরুলিয়ার সভায় তিনি বলেন, ‘আমরা মোদিজীর নেতৃত্বে মজবুত সরকার চালাই। আমরা মজবুত সরকার গড়তে চাই। আর মমতা দিদি আর ইন্ডিয়া জোট চায় অসহায় সরকার বানাতে।’
অন্যদিকে, মমতা ব্যানার্জীর মন্তব্যে বিজেপির সাথে ‘গোপন আঁতাতের’ ইঙ্গিত আরো একবার মিলেছে বলে দাবি করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘উনি দুটো দরজাই খোলা রাখছেন। একদিকে ইন্ডিয়া জোটকে বলছেন তোমাদের আছি। আর নরেন্দ্র মোদিকে বলছেন, আমি বাইরে থেকে সমর্থনের কথা বলেছি।’
‘ওর দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার নীতি ধরা পড়ে গেছে। তৃণমূল বিজেপিকে সাহায্য করে। আবার নরেন্দ্র মোদি মমতা ব্যানার্জীকে বিশ্বাস করেন। এই পুরোটা বাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন।’
অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মনে করেন ভোটের ফলাফল আঁচ করেই ‘সুর বদল’ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তৃণমূল বুঝতে পারছে বাংলায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ভোটের পর দলটাই ভেঙে যাবে এবং অনেকে কংগ্রেসে যোগ দেবেন। তাই সব রাস্তা খোলা রাখার চেষ্টা করছেন।’
ইন্ডিয়া জোটে শামিল শিবসেনার সঞ্জয় রাউত অবশ্য আস্থা রাখছেন মমতা ব্যানার্জীর ওপর। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মমতা দিদি ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাকে সাথে নিয়েই আমরা চলব।’
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জী নিজের সুবিধা মতো কথা বলেন, আবার প্রয়োজনে বক্তব্য পরিবর্তনও করেন।’
একইসাথে অন্য এক রাজনৈতিক সমীকরণের উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘উনি ভালো করে জানেন, কেন্দ্রে কংগ্রেসের সাথে সরকার গঠনে করতে গেলে ওরা (কংগ্রেস) পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলে ভাঙন ধরাবে। দলের মধ্যে অনেক ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। প্রচুর লোক হাত বাড়িয়ে রয়েছেন কংগ্রেসে যাওয়ার জন্য।’
‘কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে তা হলে তার বলে বলীয়ান হয়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরাবে।’
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতার দিকটাও তুলে ধরেন।
অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কখনোই চাইবেন না কেন্দ্রে একটা ‘পাওয়ার সেন্টার’ তৈরি হোক এবং সেটাকে কেন্দ্র করে তার দল ভাঙুক। সেই কারণে মন্ত্রিসভায় না থেকে বাইরে থেকে সরকার গঠনে সাহায্য করার কথা বলেছেন।’
হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির গবেষক ও লেখক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে যেহেতু ধোঁয়াশা রয়েছে তাই এটা দেখার বিষয় যে তিনি কোনো বিশদ ব্যাখ্যা দেন কি না। তবে এখন পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জী যা বলেছেন তার অর্থ এটাই হয়, যে উনি ত্রিমুখী লড়াইটা জিইয়ে রাখতে চাইছেন।’
‘অর্থাৎ চাইছেন, তৃণমূল বনাম বিজেপি বনাম বাম-কংগ্রেস লড়াইটা চলুক যাতে তৃণমূলবিরোধী ভোটটা একতরফা বিজেপির ঝুলিতে না যায়।’
একইসাথে তৃণমূল সুপ্রিমো অন্য একটি বিষয়েও আশ্বাস জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন বলে মনে করেন স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘বাম ও কংগ্রেসের সাথে, বিশেষত এই রাজ্যে যে শত্রুতা রয়েছে এবং হাত মেলানোর কোনো সম্ভাবনা নেই এই বিষয়ে আবারো আশ্বাস দিতে চেয়েছেন। তবে এই কাজটা একটু সাবধানে করেছেন। কারণ সরাসরি এদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালে বাম ও কংগ্রেসের সুবিধা হবে। তারা তৃণমূল ও বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে এটা বলার সুযোগ পাবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলোর একে অন্যকে গোপনে বিরোধীঘেঁষা বা তাদের হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে খেলতে নামা অন্য টিম বলে চিহ্নিত করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই সবাইকে বি-টিম বলে চিহ্নিত করতে চাইছে। তৃণমূল বলছে বাম ও কংগ্রেস হলো বিজেপির বি টিম। আবার বিজেপির যুক্তি হলো তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেরা একসাথে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে। আর তাই বাম ও কংগ্রেসকে ভোট দেয়া আর তৃণমূলকে ভোট দেয়া এক।’
‘অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে ভোট দেয়াই হলো বিজেপিকে ভোট দেয়ার সমান।’
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দুটো বার্তা দিতে চাইছিলেন বলে মনে করেন স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য।
‘প্রথমত, তিনি বিজেপিবিরোধী এবং মোদি সরকার থাকবে না বলে মনে করেন। দ্বিতীয়ত, তিনি কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরোধী তাই তাদের সরকারেও যাবেন না।’
এতে অন্য সমীকরণও রয়েছে এবং সেই সমীকরণ হলো রাজ্যের হয়ে পাওয়া গণ্ডা আদায় করার প্রতিশ্রুতি।
‘বাংলার স্বার্থে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সরকার হলে তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চান যাতে রাজ্যের দাবি দাওয়া আদায় করা যায়- এই বিষয়টিও কিন্তু স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী।’
ভোট গ্রহণ চলাকালীন ‘সুর পরিবর্তন’
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সুর পরিবর্তনের ‘টাইমিং’কে ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এর পিছনেও রয়েছে অঙ্ক। ভোটব্যাঙ্কের অঙ্ক।
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে একেবারে তৃণমূল স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতি প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। এবং সেটা দল জানে।’
ইতোমধ্যে চারদফা ভোট হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফা ভোট রয়েছে। ফল কী হতে চলেছে তাও আন্দাজ করতে পারছে রাজনৈতিক দলগুলো।
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘উত্তর দিনাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত যেখানে মুসলিম ভোট হিন্দুদের সমান-সমান বা কোথাও কোথাও বেশি, সেখানে ভোট হয়ে গেছে। তৃণমূল জানে এখানে বাম এবং কংগ্রেস তাদের মুসলিম ভোটে কিছুটা হলেও থাবা বসিয়েছে।’
‘এখন দক্ষিণবঙ্গে ভোট বাকি। এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস শামিল রয়েছে এমন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী আছেন একথা বললে হিন্দু ভোটটা বিজেপির পক্ষে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যদি মুসলিম ভোট প্রধান এলাকায় ভোট ভাগ হয়েই থাকে তাহলে হিন্দু এলাকাতেও ভোট ভাগ হোক।’
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা