১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হাম্বানতোতা বিমানবন্দরের ‘দখল’ ভারত ও রাশিয়ার!

হাম্বানতোতা বিমানবন্দরের ‘দখল’ ভারত ও রাশিয়ার! - ফাইল ছবি

বিশ্বের ‘সবচেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দর’ হিসেবেই তার পরিচিতি। উচ্চ সুদে চীনের থেকে ঋণ নিয়ে যে বিমানবন্দর নির্মাণ করেছিল শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। কেবল ভারত নয়, রাশিয়াও নিচ্ছে এই বিমানবন্দরের দায়িত্ব। দুই দেশের সংস্থাকেই এবার এই বিমানবন্দর লিজ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হওয়া এই বিমানবন্দরের নির্মাণ খরচের সিংহভাগই দিয়েছে চীন। শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের নামে নামাঙ্কিত বন্দরটি তৈরি করতে খরচ পড়েছিল প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি রুপি। এর মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকাই দিয়েছিল চীনের এক ব্যাংক। চড়া সুদে ওই অর্থের জোগান দিয়েছিল তারা। কিন্তু ওই ঋণ শোধ করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে ঋণে জর্জরিত দেশটি।

২০১৬ সাল থেকেই এই বন্দরের দেখভালের জন্য বাণিজ্যিক সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। এদিকে উদ্বোধনের পর থেকেই আর্থিক লাভের মুখ দেখেনি এই বিমানবন্দর। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বিমানবন্দরটির দায়িত্ব পেল ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা। ভারতীয় সংস্থাটির নাম শৌর্য অ্যারোনেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড। রুশ সংস্থাটির নাম এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট। দুই সংস্থার সাথে ৩০ বছরের চুক্তি হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে ঠিক কত টাকার চুক্তি হয়েছে,তা এখনো জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই চুক্তির অর্থের সাহায্য়েই চীনের ঋণ শোধ করার দিকে এগোবে শ্রীলঙ্কা।

দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে হাম্বানতোতা বিমানবন্দর। প্রথমদিকে অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করত। তবে সংখ্যায় সেগুলো কমই ছিল। কিন্তু অচিরেই ওই সংখ্যা কার্যত শূন্য হয়ে পড়ায় বিমানবন্দরটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। আর তাতেই জোটে ‘সবচেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দর’ তকমা। এখন দেখার, ভারত ও রাশিয়ার সংস্থার তত্ত্বাবধানে ‘সুদিন’ ফেরে কিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement