২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে আদিত্যনাথ!

যোগী আদিত্যনাথ - ছবি : সংগৃহীত

এর আগে হোর্ডিং মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ। সিএএ বিরোধীদের নাম ও ছবি হোর্ডিং অবিলম্বে খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এবার এই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল যোগী সরকারকে। বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিমকোর্ট এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বলে, ‘এভাবে হোর্ডিং দেয়ার স্বপক্ষে কোনো আইন নেই। সরকারে এভাবে করতে পারে না।’

এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই হোর্ডিংগুলোকে নামানোর নির্দেশ দিয়েছিল লখনউয়ের জেলা শাসক এবং পুলিশ কমিশনারকে। যোগী সরকারকেও এই ধরনের কাজ না করার কড়া বার্তা দিয়েছে আদালত। এরপরই হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল যোগীর সরকার। তবে সেখানে উল্টে মুখ পুড়ল তার। আজ শীর্ষ আদালত সরকারকে বলে, ‘দোষীদের সাজা তো দিতেই হবে। তবে তা আইন মেনে করতে হবে। সরকার আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো আইন মেনে আপনারা এই কাজ করেননি।’

কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিনব এক পদক্ষেপে লখনউ শহর এখন ছেয়ে গিয়েছে এক পোস্টারে। তাতে সিএএ বিক্ষোভে জড়িতদের ছবি, নাম ও ঠিকানা লেখা। গত ডিসেম্বরে সিএএ বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে যোগী রাজ্য। সেই পরিস্থিতিকে শান্ত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও নেয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবাও। এবার বিক্ষোভে জড়িতদের নাম এভাবে প্রকাশ্যে প্রচারে নতুন আশঙ্কা দানা বাঁধছে সে রাজ্যে।

আদিত্যনাথ সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেই কথা মেনেই এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। জানা গেছে, যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং এই হোর্ডিংগুলো লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে এভাবে জনসমক্ষে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ্যে আসায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের আশঙ্কা, যদি জনরোষ গিয়ে তাদের বাড়ির উপর পড়ে সেই ক্ষেত্রে ফের অশান্ত হয়ে উঠবে উত্তরপ্রদেশ। প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করতেই কি এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার?

উত্তরপ্রদশের বিভিন্ন শহরে যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বাস, গাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন যে, যারা এমন কাজ করেছেন, তাদের থেকেই নেয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। সেই মতো বেশ কয়েকটি পরিবারের কাছে ইতিমধ্যে নোটিশও পৌঁছে গেছে যোগী সরকারের পক্ষ থেকে থেকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, সরকার যখন নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছিল তখন কেন এভাবে জনসমক্ষে অভিযুক্তদের নাম-ধাম প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে অশান্তি বাড়ার আশঙ্কা অনেক প্রবল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া


আরো সংবাদ



premium cement