১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ শাবান ১৪৪৬
`

বছর পার না হতেই আবারো ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনানির্মিত তিস্তা সেতু

- ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস

বছর পার না হতেই আবারো ভেঙে পড়েছে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত সিকিমের সঙ্কলাং সেতু। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে উত্তর সিকিমে যেসব পর্যটক গেছেন, তাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমের সঙ্কলাং বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে মঙ্গলবার দুপুরে। গত বর্ষায় এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে বহুদিন বন্ধ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারপর সেনা দ্রুততার সাথে মাত্র ৭২ ঘণ্টায় সেতুটি পুনর্নির্মাণ করে ফেলেন। কিন্তু আজ একটি মালবাহী গাড়ি যাওয়ার পর আবার ভেঙে পড়ে সেই সেতুটি। মঙ্গন ও জঙ্গুর সংযোগকারী সঙ্কলাং বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়তেই বিপত্তি ঘটেছে।

এদিকে, এই ঘটনায় একটি গাড়ি আটকে পড়েছে সেতুর মাঝখানে। যদিও এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই। এখন সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে লাচেন এবং লাচুংয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন। উত্তর সিকিমের সানতালা খোলা ব্রিজ ভেঙে পড়ার জেরে আটকে পড়েছেন একাধিক পর্যটকও। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাহাড়ে অতি বৃষ্টির জেরে এই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। তখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসন সেনার সহযোগিতা নিয়ে ওই সেতুটির পুনর্নির্মাণ করা হয়। আজ মঙ্গলবার আবার দুর্বল সেতুটি ভেঙে পড়ে।

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সব গাড়িচালক এবং পথচারীদের সঙ্কলাং রুট এড়িয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর সিকিমের সঙ্কলাং বেইলি ব্রিজ মঙ্গন এবং চুংথাংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী ব্রিজ। যার জেরে মঙ্গন, জঙ্গু থেকে চুংথাং সবক্ষেত্রেই সেতুটি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ঘুরপথ দিয়ে যেতে হবে। পেছনের দিকে তাকালে ২০২৩ সালে মেঘভাঙা বৃষ্টি আর তিস্তার হড়পা বানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল সঙ্কলাং বেইলি ব্রিজ। তারপর আবার তা তৈরি করা হয়। কিন্তু বছরও ঘুরল না ২০২৪ সালের জুন মাসে ভেঙে পড়ে ব্রিজটি।

এছাড়া এই ঘটনার পর হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‌এই বেইলি ব্রিজটি অনেকদিন ধরেই বিপর্যস্ত। ঘুরপথে সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সেতুটি ব্যবহার করা হতো। তবে দ্রুত এই ব্রিজটি মেরামতির কাজ শুরু হবে।’‌ আর ট্যাক্সি চালক শুভম ঘোষের বক্তব্য, ‘‌ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কথা শুনেছি। আমাদের ওই ব্রিজ হয়েই পর্যটকদের নিয়ে যেতে হয়। বারবার একই ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চিন্তিত সকলেই। ওই এলাকায় অনেক পর্যটক গিয়ে থাকেন। এখন ব্রিজ মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সেদিকে না যাওয়াই ভালো।’‌

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement