পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ করার দাবি ফের উঠল বিধানসভায়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭
পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নাম রাজ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতির স্বাক্ষর বহন করে।
রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করে দলের সংসদ সদস্য ঋতব্রত ব্যানার্জি বলেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র এখনো তাতে রাজি হয়নি।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘নতুন নামকরণ আমাদের রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’
১৯৪৭ সালের দেশভাগ বাংলাকে বিভক্ত করেছিল, ভারতীয় অংশের নাম ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্য অংশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়।
তিনি বলেন, আজ পূর্ব পাকিস্তান নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জনাদেশকে সম্মান জানাতে হবে।’
২০১১ সালে শেষবার কোনো রাজ্যের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, যখন উড়িষ্যা হয়ে যায় ওড়িশা।
অনেক শহরেই নাম পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৯৫ সালে বোম্বে থেকে মুম্বই, ১৯৯৬ সালে মাদ্রাজ থেকে চেন্নাই, ২০০১ সালে ক্যালকাটা থেকে কলকাতা এবং ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালোর থেকে বেঙ্গালুরু হয়ে যায়। পিটিআই ইনপুটসহ।
অন্যদিকে বিজেডির দেবাশিস সামন্তরায় বালি যাত্রার জন্য জাতীয় উৎসবের মর্যাদা চেয়েছেন।
বাণিজ্য ও সংস্কৃতি সম্প্রসারণের জন্য প্রাচীনকালে ইন্দোনেশিয়ার বালি, সুমাত্রা ও জাভা, বোর্নিও ও শ্রীলঙ্কায় যাত্রা করার সময় প্রতি বছর মহানদী নদীর তীরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাকেত গোখলে চেয়েছেন পেট্রোলে সস্তায় ইথানলের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হোক, অন্যদিকে তার দলের সহকর্মী সুস্মিতা দেব চেয়েছিলেন আসামের বারাক নদী খনন করা হোক এবং পণ্য চলাচলের জন্য নৌপথ ব্যবহার করা হোক।
বিজেপি নেত্রী কবিতা পতিদার রেললাইন আন্ডারপাসগুলোর বন্যার সমস্যা সমাধানের জন্য ভূগর্ভস্থ জল রিচার্জিংয়ের মতো জল সংরক্ষণের পদ্ধতি ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছেন।
পিটি ঊষা (মনোনীত) কেরলের কোঝিকোড় জেলার কিনালুরে এইমস স্থাপনের দাবি জানান।
কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এস সেলভাগানাবাথি (বিজেপি) বলেন, অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে ফসলের ফলন প্রভাবিত হয়েছে, যার ফলে কৃষকদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
তিনি নতুন জাতের বীজ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন যা আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা সহ্য করে।
সূত্র : পিটিআই/হিন্দুস্তান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা