ভারতে কংগ্রেস-আপের ‘সংঘাতে’ মমতার কোনো লাভ হবে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৩
বাইরের তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে এই মুহূর্তে দিল্লির পারদ ঊর্ধ্বমুখী, এর পেছনে আছে ভারতের রাজধানীতে চলতে থাকা রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিধানসভার ভোটকে ঘিরে রাজনীতির ময়দান কিন্তু বেশ সরগরম। ‘কুর্সির’ দিকে তাকিয়ে বিরোধী দলগুলো যেমন একে অপরকে নিশানা করতে ভুলছে না, তেমনই ‘কোন্দল’ দেখা গেছে দুই শরিক দলের মধ্যেও।
বিজেপিবিরোধী ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক- আম আদমি পার্টি (এএপি বা আপ) এবং কংগ্রেসের সাম্প্রতিক ‘দ্বন্দ্ব’ এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সন্দীপ দীক্ষিতকে নির্বাচনি ময়দানে প্রার্থী করায় এমনিতেই ‘রুষ্ট’ ছিল আম আদমি পার্টি। তার ওপর ইন্ধন দিয়েছে কংগ্রেসের নেতা অজয় মাকেনের সাম্প্রতিক মন্তব্য।
দিল্লির উন্নয়ন সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ (জালিয়াত) বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আম আদমি পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস যদি অজয় মাকেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তবে তাদের (কংগ্রেসকে) বহিষ্কারের কথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকদের বলবে।
ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত নতুন নয়। কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার নজিরও বিরল নয়। জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে, তাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে।
মমতা ব্যানার্জি যে জোটের নেতৃত্ব দিতে পারেন সে বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই। বিভিন্ন সময়ে সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো জোট শরিকদের সাথেও কংগ্রেসের ‘মত পার্থক্যও’ প্রকাশ্যে এসেছে।
এই আবহে যে প্রশ্নগুলো উঠছে তা হলো আম আদমি পার্টি আর কংগ্রেসের ‘তরজার’ ফলে আবার নড়বড়ে হচ্ছে ইন্ডিয়া জোট?
কংগ্রেস কি সত্যিই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে? আর সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কি ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে?
কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির ‘সংঘাত’
কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে আম আদমি পার্টি ও বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ১২ দফা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন।
মাকেনের অভিযোগ, দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এমন প্রকল্পের কথা বলে মানুষকে ‘ঠকাচ্ছেন’ এবং ‘বিভ্রান্ত’ করছেন, যার আদতে কোনো অস্তিত্বই নেই।
তার অভিযোগ, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু দিল্লিতে জনলোকপাল স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
অজয় মাকেন বলেছেন, ‘দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ব্যাখ্যা করতে যদি কোনো শব্দ ব্যবহার করা হয়, তা হলো ফর্জিওয়াল।’
আম আদমি পার্টি কী বলছে?
এরপর কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় আম আদমি পার্টি। দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেত্রী অতিশী এবং রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। সাংবাদিক বৈঠকে তারা পাল্টা অভিযোগ তোলেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করছে কংগ্রেস।
সঞ্জয় সিং বলেছেন, ‘দিল্লিতে কংগ্রেস কিন্তু বিজেপির পাশে রয়েছে। বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। অজয় মাকেন বিজেপির লেখা চিত্রনাট্য পাঠ করেন, বিজেপির নির্দেশে বিবৃতি দেন এবং বিজেপির নির্দেশে আপ নেতাদের নিশানা করেন।’
তিনি বলেন, ‘তিনি সব সীমা অতিক্রম করে আমাদের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দেশবিরোধী বলেছেন। কংগ্রেস বা অজয় মাকেন তো কখনো দিল্লির কোনো বিজেপি নেতাকে দেশদ্রোহী বলেননি?’
সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসকে জোট বাঁধতে দেখা গিয়েছিল।
দু’দলের নেতারা একে অপরের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারও করেছিলেন। সেই ‘প্রচেষ্টা’ অবশ্য ব্যর্থ হয়েছিল কারণ দিল্লির সাতটা আসনে ছিল বিজেপির ঝুলিতে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে সঞ্জয় সিং বলেছেন, ‘দিল্লিতে কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চন্ডিগড়েও কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। সংসদে বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে আপ। আর আপনি আমাদের নেতাকেই দেশদ্রোহী বলছেন, যুব কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে?’
সরকারকে প্রস্তাবিত মহিলা সম্মান যোজনা এবং সঞ্জীবনী যোজনা সম্পর্কে জানানো হয়নি। এগুলো ‘অস্তিত্বহীন’ বলে জনসাধারণের উদ্দেশে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর যুব কংগ্রেস কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
এদিকে জোট সঙ্গীদের সমর্থনের বিষয়ে আম আদমি পার্টি যে সব সময় উৎসাহী সে বিষয়েও উল্লেখ করেছেন সঞ্জয় সিং।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের সাথে জোট বাঁধার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে আপ। কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি। তাই আমরা নির্বাচনে লড়েছি কিন্তু কংগ্রেস বা তার নেতাদের জন্য একটাও অনুপযুক্ত শব্দ উচ্চারণ করিনি।’
‘বিজেপি টাকা দিচ্ছে’
কংগ্রেস যে শুধু বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে তাই নয়। প্রার্থীদের জন্য খরচও তারাই (বিজেপি) জোটাচ্ছে বলে আক্রমণ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে কংগ্রেস প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে আসছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রার্থী হলেন সন্দীপ দীক্ষিত এবং জঙ্গপুরা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ফরহাদ সুরি।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস যদি বিজেপিকে জিততে দিতে না চায়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অজয় মাকেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কংগ্রেস নেতাদের দিল্লিবাসীকে জানানো উচিত যে সন্দীপ দীক্ষিত এবং ফিরহাদ সুরির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অর্থ কোথা থেকে আসছে।’
বিজেপির বক্তব্য
আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসে এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি।
দলের জাতীয় মুখপাত্র ড. সুধাংশু ত্রিবেদী বলেছেন, ‘আম আদমি পার্টি প্রায়শই খবরে থাকার জন্য উদ্ভট বিবৃতি দিয়ে থাকে। আর এই বিবৃতিটাও ওই একই সিরিজের একটা মজাদার এবং রহস্যময় উন্মোচনের ইঙ্গিতবহ বিবৃতি। নিজের অজান্তেই তার কাছ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে দিল্লির নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন তিনি।’
একইসাথে তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেননি যে ইন্ডিয়া জোটে ‘ফাটল’ ধরছে।
তিনি বলেছেন, ‘দিল্লিবাসীর ভালোভাবে মনে আছে যে মাত্র ছয় মাস আগে এরা (কংগ্রেস এবং আপ) ইন্ডিয়া জোট হিসেবে একসাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।’
শরিকি সমীকরণ এবং তৃণমূল
কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির এই সংঘাতের প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘আমরা ইন্ডিয়া জোটকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের লক্ষ্য এই জোটকে আরো মজবুত করে তোলা।’
তবে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের এই চাপানউতোর নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন জোট শরিকদের নেতারা।
এদিকে, মমতা ব্যানার্জি এই প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির সংঘাত চলতে থাকলে তৃণমূল যে সুবিধা পেতে পারে সে কথা মনে করে তৃণমূলের অন্দরমহল।
ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল তৃণমূল কিন্তু জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেসের থাকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে। নিজেই যে জোটের নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক সে কথাও বলেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তাকে সমর্থন করতে দেখা গেছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, এনসিপি (এসপি) সভাপতি শরদ পওয়ার, জম্মু ও কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহসহ অনেক নেতাকে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের এই ‘সংঘাত’ নির্বাচনী কৌশল কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন আছে। ফলে আম আদমি পার্টি যে কংগ্রেসের থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে এই আলাদা করে নেয়ার বিষয়টা স্থায়ী হবে কি না সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলেই হয়ত আম আদমি পার্টির সাথে আবার বিষয়টা ঠিক হয়ে যাবে। কাজেই কৌশলগত জায়গা থেকে এটা স্থায়ী হবে কি না সেটা দেখার বিষয়।’
একই মতপ্রকাশ করেছেন সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যও।
তার কথায়, ‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই দু’দলের মধ্যে টানাপড়েন থাকাটা প্রত্যাশিত এবং স্বাভাবিকও। কারণ আম আদমি পার্টির উত্থানই কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতা করে। তবে এই সম্পর্ক কোনদিকে যাবে সেটা আগাম বলার জন্য নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনিও মনে করেন, দু’দলের মধ্যে এই ‘দ্বন্দ্ব’ নির্বাচনী কৌশল হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটের অংশ হওয়ার আগে বিরোধী হিসেবে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ইতিহাস রয়েছে।
দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে মিজ দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে ইন্ডিয়া জোটের ঐক্যে কি তাহলে আবার ফাটল ধরল?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান আবহে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে তেমনটা বলা সম্ভব নয়।
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা ঠিক যে কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে টেনশন বরাবরই রয়েছে। আর সে কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল কিন্তু অন্যান্য দলের সাথে ভেতরে ভেতরে যোগাযোগও রাখে। তারাও এই বিষয়টাকে নজরে রাখবে। তবে জোটগুলোর মধ্যে অনেক সমীকরণ আছে, মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু একইসাথে বিজেপির বিরুদ্ধে টিকে থাকার চাপও রয়েছে। এই চাপটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, কখনো এদের মধ্যে সমন্বয় দেখা যাবে আর কখনো কখনো মতপার্থক্যও দেখা যাবে।’
দু’দলের এই সংঘাত কি কোণঠাসা করতে পারবে কংগ্রেসকে? বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে জোট বেঁধেও কংগ্রেস বা আম আদমি পার্টির লাভ হয়নি। জোট বাঁধলে আসন্ন বিধানসভা ভোটে তেমন কোনো লাভ হবে বলেও মনে করে না দু’দলের কোনোটাই।
কিন্তু ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করাটা সহজ হবে না, তার কারণ জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের উপস্থিতি এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনে তাদের ফল।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কী সুবিধা হতে পারে?
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘জাতীয় স্তরে মমতা ব্যানার্জির নিশ্চিতভাবে একটা গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষত সংখ্যালঘুদের দিক থেকে, তা সে পশ্চিমবঙ্গ হোক, তেলেঙ্গানা হোক বা জম্মু-কাশ্মির। জাতীয় রাজনীতিতে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে। কিন্তু একইসাথে আসন সংখ্যা যদি কংগ্রেসের পক্ষে থাকে তাহলে তাকে সরানো মুশকিল।’
এক্ষেত্রে কংগ্রেসের আসনসংখ্যাও একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করেন তিনি।
তার মতে, ‘যদি নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে হয় তাহলে কংগ্রেসকে আসন বাড়াতে হবে। রাতারাতি কিন্তু তৃণমূলের পক্ষে জাতীয়স্তরে সেই আসন পাওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূলের পক্ষে তেলেঙ্গানায় বা রাজস্থানে গিয়ে তা করা সম্ভব নয়। আসন যদি বাড়াতে হয় তাহলে সেটা কংগ্রেসকেই করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে যার কাছে আসন রয়েছে সরকার সেই গঠন করবে, নেতৃত্বও সেই দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্ফালন করতে পারেন কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে আসন কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যও একই মতপ্রকাশ করেছেন। তার কথায়, ‘জাতীয় রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জির গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে প্রবীণ নেত্রী হিসেবেও তার গুরুত্ব রয়েছে। তৃণমূলের জনপ্রিয়তার কমার তেমন ইঙ্গিত কোনো নির্বাচনী ফলাফলেই দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘কিন্ত এটাও বাস্তব যে কংগ্রেস ছাড়া ভারতে অন্য কোনো প্রধান বিরোধী দল নেই। এই বাস্তবতা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।’
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা