১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারতের বিভিন্ন মসজিদে সমীক্ষা নিয়ে মোদিকে তুলোধুনো ওয়াইসির

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি - ছবি : সংগৃহীত

প্রার্থনাস্থল আইনের তোয়াক্কা না করেই ইদানীং যেভাবে ভারতের নানা প্রান্তে সমীক্ষার জিগির তুলে একের পর মসজিদকে টার্গেট করা হচ্ছে, তা নিয়ে এবার সংসদে সরব হলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় নিজের বক্তব্য পেশ করেন তিনি।

সংবিধান প্রণয়নের ৭৫তম বর্ষ পালন উপলক্ষে এদিন লোকসভায় বক্তৃতা দেন ওয়াইসি। সেই সময়েই হায়দরাবাদের সাংসদ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই। ধরুন কোথাও একটা ৫০০ বছরের পুরোনো মসজিদ রয়েছে... এখন আমি যদি সংসদের নিচে খোঁড়াখুঁড়ি করি, তাহলে তো সেখানেও কিছু না কিছু পাব। তাহলে কি সেটা আমার হয়ে যাবে?’

উল্লেখ্য, মোদি সরকারের আমলে যেভাবে একের পর এক মসজিদে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ধরনের সমীক্ষা ঘিরে দেশের নানা প্রান্তে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে। যার সাম্প্রতিকতম নিদর্শন দেখতে পাওয়া গেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে।

এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করা হয়। বলা হয়, দেশের বিভিন্ন মসজিদসহ সমস্ত প্রাচীন স্থাপত্যে এ ধরনের সমীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।

আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াইসির প্রায় ৯ মিনিটের এই ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

তার সেই বক্তৃতায় ওয়াইসি বর্তমানে ভারতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ৭৫ বছর আগে বাবাসাহেব যেটা বলে গিয়েছিলেন, আজও সেটা সমান প্রাসঙ্গিক। আসলে কেউই চান না যে সংখ্যালঘুরা ক্ষমতার ভাগ করে নিক।’

ওয়াইসি এর ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমাকে একটু সংসদীয় গণতন্ত্রের সাফল্য ব্যাখ্যা করতে দিন। (সংবিধানের) ২৫, ২৬, ২৯, ৩০, ১৪ এবং ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারগুলোই এর ভিত্তি প্রস্তুত করেছে। আমি বলব, এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করার মাধ্যমেই সমাজের দুর্বল শাখাগুলোতেও সুবিচার পৌঁছে দেয়া সম্ভব।’

এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওয়াইসি দেশের নানা প্রান্তে সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি ঘটা নির্যাতনের ঘটনাগুলোও তুলে ধরেন। সেইসাথে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হলো ‘ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো ছিনিয়ে নেয়া।’

সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে ওয়াইসি বলেন, ‘আপনাদের হাতে থাকা ক্ষমতা ব্যবহার করে আপনারা আসলে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো ছিনিয়ে নিতে চাইছেন।’

এই বিলে এমন ব্যবস্থাপনা রাখতে হবে, যাতে ওয়াকফ বোর্ডের প্রাপ্ত অর্থ বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক কাজ, যেমন- বিধবা, বিবাহ বিচ্ছিন্না এবং অনাথদের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়। সরকারের পক্ষ থেকে তেমনই প্রস্তাব রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কেন্দ্রের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করেছে, বর্তমান সরকার যে ওয়াকফ বিল প্রস্তুত করেছে, তাতে মুসলমানদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। যদিও সরকারের বক্তব্য হলো, ওয়াকফ বোর্ডগুলো যাতে স্বচ্ছতা এবং পূর্ণ দায়বদ্ধতার সাথে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো দেয়া হয়েছে।

নিজের বক্তৃতায় ওয়াইসি আরো বলেন, ‘সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদটি পড়ুন। তাতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে তাদের ধর্মীয় এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত করার ও বজায় রাখার অধিকার দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন ওয়াকফের সাথে নাকি সংবিধানের কোনো সম্পর্ক নেই! তাকে এসব কে শেখাচ্ছেন? তাকে আগে ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদটি পড়তে বলুন।’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা ছিনতাই রোধে রাজধানীতে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর নির্দেশ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ জামায়াতের একজন নেতাও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি: ড. মাসুদ মালয়েশিয়ায় বেতন না পেয়ে কোম্পানির অফিস ঘেরাও-অবরোধ, যা বলল বাংলাদেশ দূতাবাস সংস্কার বা পরিবর্তন সবকিছু শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরেই : মির্জা ফখরুল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৩৭৩

সকল