দুই বিচারপতির মতভেদ, জামিন পেলেন না পার্থ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৫
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ সব অভিযুক্তকে জামিন দেয়ার পক্ষে রায় দেন। কিন্তু অন্য বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায় জানিয়ে দেন যে চারজনকে জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ পাঁচজনকে জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে তার আপত্তি আছে।
দুই বিচারপতি একমত হতে না পারায় মামলা এবার যাবে তিন বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবার বেঞ্চ গঠন করবেন।
যে চারজনের জামিন নিয়ে দুই বিচারপতি একমত হয়েছেন, তারা অবশ্য জামিন পাবেন। এই চারজন হলেন কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত রায় এবং চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডল। আর যারা জামিন পাবেন না এবং যাদের আবেদনের বিচার এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চ করবে, তারা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা।
দুই বিচারপতির যুক্তি
বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে জামিন দেয়ার পক্ষে ছিলেন। কারণ, তিনি সংবিধানের ২০ ও ২১ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ তোলেন এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এতদিন ধরে জেলে বন্দি করে রাখা। তার বয়স ও শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তিনি সাবেক মন্ত্রীকে জামিন দেয়ার পক্ষে ছিলেন।
কিন্তু বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়সহ পাঁচজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের জামিন দিলে তারা মামলা প্রভাবিত করতে পারবেন।
তার মতে, চারজনের ক্ষেত্রে এই যুক্তি খাটে না। কারণ, ওই চারজন হলেন এজেন্ট। তারা টাকার বিনিময়ে কাজ করেছিলেন বলে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। প্রায় ছয় মাস ধরে জামিন নিয়ে শুনানি চলার পর বুধবার হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।
কতদিন জেলে পার্থ
২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তিনি বন্দি অবস্থায় আছেন। জামিন চেয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি জামিন পাননি। কলকাতা হাইকোর্টে দীর্ঘ শুননির পরেও তার জামিন আটকে গেল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা