মণিপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০১
ভারতের মণিপুর রাজ্যে আবার গোলাগুলি হয়েছে। সোমবার জিরিবাম জেলায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে কুকি অস্ত্রধারীরা। পাল্টা জবাব দেয় আধা সেনাসসদস্যরাও। দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ে ১১ কুকি বন্দুকধারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এক সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গোটা এলাকা ঘিরে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। ঘটনার জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে ওই এলাকায়।
ভারতীয় ওই নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী, এদিন জিরিবাম জেলার বোরোবাকেরা এলাকায় বেশকিছু বাড়িতে আগুন লাগায় বন্দুকধারীরা। এর পর জিরিবাম জেলার বোরোবাকেরা পুলিশ স্টেশনকে নিশানা করে তারা। সেখান থেকে সিআরপিএফের ক্যাম্পে হামলার চেষ্টা চালায় তারা। এই ঘটনার পর পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় ১১ জন বন্দুকধারীর। মৃতদের কাছ থেকে চারটি এসএলআর, তিনটি একে ৪৭, একটি আরপিজি-সহ বিপুলসংখ্যক গোলাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি এই হামলায় আহত সিআরপিএফ জওয়ানকে এয়ারলিফট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা এলাকায় কারফিউ জারি করে বন্দুকধারীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, বন্দুকদের নিশানায় ছিল ওই এলাকায় থাকা একটি ত্রাণ শিবির।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক দিন ধরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে এই জিরিবাম জেলায়। শনিবার রাতে জিরিবাম জেলায় জাইরাওন নামে এক গ্রামে মেতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইউএনএলএফের হামলায় এক কুকি মহিলা নিহত হয়েছিলেন। এর পর রোববার কুকি উগ্রবাদীরা এক মেতেই মহিলাকে খুন করে। পূর্ব ইম্ফল জেলার থামনাপোকপি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবিসহ বিভিন্ন এলাকায় মেশিনগান, রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিয়ে হামলা চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের উপর। সোমবারও মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলার খবর পাওয়া যায়। এরই মাঝে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালাল নিরাপত্তাবাহিনী।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন