২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন!

যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে করমর্দন করতে দেখা যাচ্ছে - ছবি : সংগৃহীত

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার হলেও বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে নয়া দিল্লি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প কম সংঘাতমূলক মনোভাব পোষণ করলে ভারতও লাভবান হতে পারে। একইসাথে নয়াদিল্লি বাণিজ্য সম্পর্কের অস্থিরতার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে, যা ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' এজেন্ডায় প্রভাবিত হতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করা অভিনন্দন বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে ‘আমার বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'ভারত-যুক্তরাষ্ট্রকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের কম্প্রিহেনসিভ গ্লোবাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ নবায়নের অপেক্ষায় আছি।'

মোদি ২০২০ সালে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের ভারত সফরের ছবি, যেখানে তিনি ও ট্রাম্প আলিঙ্গন করছেন- শেয়ার করেছেন। ট্রাম্প ওই সময় মোদির সাথে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।

নয়াদিল্লির বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ভারত ওয়াশিংটনের প্রধান অংশীদার হিসেবে থাকবে।

অবশ্য, নিরাপত্তার সম্পর্কগুলো সম্ভবত একই থাকলেও ট্রাম্পের অধীনে বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি 'আমেরিকা ফার্স্ট' অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করবেন, ওয়াশিংটনের সাথে বাণিজ্য উদ্ধৃত্ত রয়েছে এমন দেশগুলোতে শুল্ক আরোপ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যবিষয়ক ভারতের বৃহত্তম অংশীদার। গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ হাজার কোটি ডলার, ভারতের পক্ষে যেখানে উদ্ধৃত্ত ছিল তিন হাজার কোটি ডলার।

বাইডেন প্রশাসনের আমলে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে যে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা গতি পেয়েছিল, তা কিভাবে এগোবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ভারত কেবল সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম কেনার ওপর নির্ভর না করে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সহ-উৎপাদনের দিকে জোর দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের অধীনে এটি টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
সূত্র : ডিওএ


আরো সংবাদ



premium cement