০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত ৯

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

ভারতীয় নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের প্রধান শহরে রোববার জনাকীর্ণ একটি বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যে একজন হামলাকারী একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ জানিয়েছে, এতে কমপক্ষে নয়জন আহত হয়েছে।

শ্রীনগরে দিনব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে একজন সন্দেহভাজন উগ্রবাদী নিহত হওয়ার একদিন পর এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। নিরাপত্তা কঠোর থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা শহরটিতে বিরল।

পুলিশ বলছে, একজন অজ্ঞাত হামলাকারী ফ্লাইওভার ব্রিজের ওপর থেকে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, যা সম্ভবত শ্রীনগরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে অবস্থানরত আধাসামরিক বাহিনীর একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। রোববারের এই হাটবাজারে হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয় এবং এতে কমপক্ষে নয়জন আহত হয়। আহত সকলকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পুলিশ ও আধাসামরিক সৈন্যরা হামলাকারীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।

অতীতে এই ধরনের গ্রেনেড হামলার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত কাশ্মির অঞ্চলে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদেরকে দায়ী করেছে।

অন্যদিকে, বিদ্রোহীরা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যে সরকারি অ্যাজেন্টরা তাদের আন্দোলনকে অপবাদ দেয়ার জন্য এসব হামলা চালাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ লিখেন, ‘নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষদের টার্গেট করার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। এই হামলার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে যাতে মানুষ বিনা ভয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।’

পাকিস্তান ভারত যুদ্ধ
ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মিরের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, তবে উভয় দেশই পুরো অঞ্চলের অধিকার দাবি করে।

পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তাদের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে এই অঞ্চল নিয়ে দুটি যুদ্ধে লড়াই করেছে।

কাশ্মিরের ভারত-নিয়ন্ত্রিত অংশে বিদ্রোহীরা ১৯৮৯ সাল থেকে নয়া দিল্লির শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

অনেক মুসলিম কাশ্মিরি দুটি অঞ্চলকে পাকিস্তানি শাসনের অধীনে অথবা একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে একত্রিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিদ্রোহীদের লক্ষ্যকে সমর্থন করেন।

ভারত দাবি করে, কাশ্মিরের বিদ্রোহী কার্যক্রম পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং কাশ্মিরের অনেক নাগরিকই একে তাদের বৈধ স্বাধীনতার সংগ্রাম বলে মনে করে।

সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনী নিহত হয়েছে।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement