বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে আসাম চুক্তিতে সমর্থন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৪
চার দশক আগের ‘আসাম চুক্তি’ স্বীকৃতি পেল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। ১৯৭১-র ২৫ মার্চের পরে ওই রাজ্যে যে ‘বিদেশীরা’ এসেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন না।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে সে দেশের নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-র ধারা ৬(এ)-কে ‘সাংবিধানিকভাবে বৈধ’ ঘোষণা করেছে– আইনের যে ধারাটি ১৯৮৫-তে ‘আসাম চুক্তি’ করার সময় যোগ করা হয়েছিল।
আইনের ওই ৬(এ) ধারায় বলা হয়েছিল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যে বিদেশী অভিবাসীরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে (অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে) আসামে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে মোট পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন ৪-১ ফলাফলে এই রায়টি অনুমোদন করেছে।
পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র বিচারপতি জে বি পারডিওয়ালা সতীর্থদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘ডিসেন্টিং জাজমেন্ট’ দিয়েছেন এবং ধারা ৬(এ) অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছেন।
১৯৭৯ থেকে শুরু হওয়া আসাম আন্দোলনে সে রাজ্যে কথিত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়েছিল– যার অবসান ঘটাতে কেন্দ্রের রাজীব গান্ধী সরকার ১৯৮৫-তে আন্দোলনকারীদের সাথে আসাম চুক্তি করে। তখনই এই নতুন ধারাটি নাগরিকত্ব আইনে যুক্ত করা হয়।
কিন্তু বিদেশী নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে আসামে ও বাকি ভারতে ‘কাট অফ ডেট’ আলাদা হবে কেন, এই যুক্তিতে ‘আসাম সম্মিলিত মহাসঙ্ঘ’ নামে একটি নাগরিক গোষ্ঠী ২০১২ সালে এই ধারাটির বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়।
কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের বেশিরভাগ বিচারপতি কার্যত মেনে নিয়েছেন, আসামকে এভাবে আলাদা করে দেখাটা যৌক্তিক। কারণ ভারতের অন্য সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর তুলনায় আসামে অভিবাসী জনসংখ্যার শতকরা হার অনেক বেশি। সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা