আবার উত্তপ্ত মণিপুর, এবার ৩ যুবক অপহৃত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫
আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে ভারতের মণিপুর রাজ্য। চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে তিন যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাকি দু’জন তাদের বাঁচানোর আর্তি জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ রোববার দাবি করেছেন, ওই দু’জনকে ‘কুকি উগ্রবাদীরা’ অপহরণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিধায়কদের একটি বৈঠকও ডেকেছেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সাদা টিশার্ট পরা দুই যুবক মুখ্যমন্ত্র্রীর উদ্দেশে বলছেন, ‘আমাদের বাঁচান।' অপহরণকারীরা যে শর্ত দিয়েছেন, তা মেনে নেয়ার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছেন তারা। সূত্রের খবর, তারা মেইতেই সম্প্রদায়ের। এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষত কুকি উগ্রবাদীদের হাতে অপহৃত দুই নিরপরাধ যুবকের উদ্ধারের বিষয়ে নজর দেয়া হচ্ছে। এই ঘৃণ্য অপরাধকে ধিক্কার জানাই। ওই দু’জনের মুক্তির জন্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, থৌবল জেলার বাসিন্দা তিন যুবক কেইথেলমানবিতে স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার একজনকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। বাকি দু’জনের এখনো সন্ধান মেলেনি। যে যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে, তার নাম নিঙ্গোমবাম জনসন। সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে, তার শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে। বাকি দুই যুবকের নাম ওইনাম থইথই সিংহ এবং থকচম থইথইবা সিংহ। অপহরণকারীরা দু'যুবককে মুক্তি দেয়ার পরিবর্তে কী শর্ত দিয়েছে, তা জানাতে চায়নি সেনাবাহিনী বা প্রশাসন। মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজন সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছেন, এনআইএর হাতে ধৃত ‘কুকি উগ্রবাদী’ মার্ক থাঙ্গমাঙ্গ হাওকিপের মুক্তির শর্ত দেয়া হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি। একটি সূত্রের দাবি, অপহরণকারীরা সত্যিই সেই দাবি করে থাকলে তারা অবশ্যই ‘কুকি উগ্রবাদী’।
কুকিদের গ্রাম মূলত মণিপুরের পার্বত্য এলাকায়। আর মেইতেইদের বাস মূলত উপত্যকায়, যেগুলোকে ঘিরে রেখেছে কুকিদের পার্বত্য গ্রাম। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মণিপুরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২২০ জনের। ঘরছাড়া ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা