২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কোটা আন্দোলনের লাভক্ষতি

কোটা আন্দোলনের লাভক্ষতি - নয়া দিগন্ত

অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শালের মতে অর্থনীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে। তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কার্যাবলীর মূল উদ্দেশ্য হলো বস্তুগত কল্যাণ অর্জন তথা মানবীয় কল্যাণ সাধন। অর্থাৎ তার মতে, অর্থনীতি মানুষের কল্যাণে কেবল লাভ-লোকসানের জন্য নয়, যেমন মানুষের জীবনযাত্রার মান, সম্মান-মর্যাদা, বাকস্বাধীনতা, মতামত প্রকাশের সুযোগ ইত্যাদিও অর্থনীতির বিবেচ্য বিষয়। শুধু লোকসান হিসাব করে হিসাববিজ্ঞান।

কোটা আন্দোলনে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এসব অর্থনীতিবিদ শুধু আন্দোলনকারীদের বাধাবিঘœ সৃষ্টির ফলে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন হবে না; মূল্যস্ফীতির জ্বালা আরো বাড়বে; রফতানি খাতের বড় ধরনের ক্ষতি হবে ইত্যাদি। সাথে এ আন্দোলনে মানুষের অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা এবং শঙ্কার কথা ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়ার কথা বলেছেন।

আন্দোলনে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট যোগাযোগসহ সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় শুধু চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসের প্রায় ১ হাজার ১০৮ কোটি টাকার রাজস্ব হারানোর কথ বলেছেন। বিজিএমইএর সভাপতি এই ক’দিনের স্থবিরতায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হওয়ার কথা বলেছেন। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত এক সপ্তাহে অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার ঘটনায় অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সত্যি। অগ্নিসংযোগে বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানে হাজার কোটি টাকা ক্ষতির কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী। যদিও এ অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনা কোন পক্ষ ঘটিয়েছে, সব এক পক্ষ ঘটিয়েছে কি না সে বিষয়েও আলোচনা-পর্যালোচনা রয়েছে।

এ কথা সত্যি যে, দেশের অর্থনীতি আগে থেকে সঙ্কটে ছিল, এখন পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষতির কথা বলেছেন অনেকে। ওপরে বর্ণীত অর্থনীতির ক্ষতির হিসাব-নিকাশের সাথে একজন অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে আমরাও একমত, তবে অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শালের মতো আমরাও অর্থনীতির ক্ষতি কেবল টাকা-পয়সার হিসাব করতে নারাজ বরং অর্থনীতি তার চেয়েও একটু ব্যাপক।

আন্দোলনে দেশের দুই শতাধিক ছাত্র-শ্রমিক-মজুর-পথচারী এমনকি ঘরের মধ্যে থেকে শিশুর প্রাণ চলে গেলো সে প্রসঙ্গে একটি শব্দও বলেননি বস্তুবাদী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদরা। তাদের দৃষ্টিতে মনে হয় অর্থনীতি মানে আমদানি-রফতানি, মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়; ব্যাস। এই বিপুল প্রাণহানি হলো তাদের জীবনের যেন কোনো অর্থনৈতিক মূল্য নেই। দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা, জীবনমান, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার যেন কোনো মূল্য নেই। কেন ছাত্রদের প্রতি সমর্থন দিয়ে সাড়া দেশের লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এলেন, কেনইবা গুলির সামনে উদীয়মান তরুণরা বুক পেতে দিলেন সে প্রসঙ্গে কোনো কথা তাদের আলোচনায় নেই। সরকার ঘরানার এসব বিশেষজ্ঞের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এমনি হওয়ার কথা। তারা দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। ফলে এ ধরনের বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ দেশের যতটা উপকার করে তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করে; বরং সত্য তুলে ধরলে দেশের নীতিনির্ধারকরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন।

কেন কোটার মতো ছোট্ট একটি ইস্যুতে দেশব্যাপী এত বড় আন্দোলন হলো, এত মানুষকে জীবন দিতে হলো, কেনই বা এত সম্পদের ক্ষতি হলো দেশের, কেনই বা বিশ্ব মানচিত্রে বাংলদেশের মান দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে, কেন অর্থনীতির সব সূচকে দেশটি বিশ্বের র‌্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে। আসলে কোটা আন্দোলন যেন ‘টিপ অব আইসবার্গ’। টিপ অব আইসবার্গ হলো পানিতে নিমজ্জমান বিশাল পাহাড়সম বরফের একটি ক্ষুদ্র ভেসে থাকা চূড়া মাত্র। জাহাজের নাবিকরা সময়মতো ওই চূড়ার গুরুত্ব বুঝতে না পারলে, ক্ষুদ্র বরফ বলে পাত্তা না দিলে ঘটে যেতে পারে টাইটানিকের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

তিউনেশিয়া থেকে আরব বসন্তের সূত্রপাত। সামান্য রুটি কেনা নিয়ে যা ঘটেছিল। ঘটনাটি ছিল এমন- দিন এনে দিন খাওয়া একজন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রুটির দাম দেয়া সম্ভব না হওয়ায় দোকানির সাথে বচসা শুরু করেন। একপর্যায়ে দোকানি ক্রেতাকে আক্রমণ করে বসেন। অনাহারি ওই ক্রেতা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেখানে মারা যান। ওই লাশ হয়ে ওঠে নিরন্ন মানুষের প্রতীক। এক লাশের ভার আর বহন করতে পারেননি স্বৈরাচার বেন আলী। তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়।

ছাত্রদের সর্বশেষ কোটা আন্দোলন যে শুধু চাকরির জন্য, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কোটা আন্দোলনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অনেক বঞ্চনার চাপা দীর্ঘশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শহরে আশ্রয়হীন ছাত্ররা বছরের পর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পান না। মানসম্মত খাওয়া নেই, লাইব্রেরিতে পড়ার জায়গা নেই, বই নেই, গণরুম নামক বন্ধিশালায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের শর্তে জায়গা পাওয়া, বড় ভাইদের সম্মান করার পদ্ধতি শিখতে গিয়ে মাঝে মাঝে থেরাপির শিকার হওয়া ইত্যাদি তো রয়েছে। পদে পদে বঞ্চনা ও বৈষম্যের স্বীকার আছে। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন তারা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। এত কিছু মেনে নিয়েও তারা এগোচ্ছিলেন। আশায় বুক বাঁধেন চাকরি নামক সোনার হরিণের জন্য। কোটার নামে সে আশায় যখন গুড়েবালি হওয়ার আশঙ্ক দেখা দেয় তখন তারা বসে থাকতে পারেননি। তার উপরে স্বজনপ্রিতি, প্রশ্ন ফাঁস ইত্যাদি তো রয়েছে।

এর পাশাপাশি সাধারণ জনগণের ক্ষিপ্ততা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অর্থনীতির অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর মতে কেবল কোটা ইস্যু নয় বরং দীর্ঘদিন মানুষ তার ভেতরের আকাক্সক্ষা, কষ্ট ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেনি। একটা চাপা ক্ষোভ দিনের পর দিন পুঞ্জীভূত হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি, গরিবে-ধনীতে বৈষম্য, জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যাওয়া থেকে শুরু করে ভোট দিতে না পারা ও ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে না পারা, এসব ক্ষোভ একত্রে তারা এ আন্দোলনে প্রকাশ করেছে। এটা একটা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা। বাংলাদেশকে আমরা যারা জানি, তারা এটুকু বুঝতে পারি, এ দেশের জনগণ দীর্ঘদিন অন্যায় ব্যবস্থা মেনে নেয় না। তারা একসময় প্রতিবাদ করে। বাষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে সেটা লক্ষ করেছি। আমরা দেখেছি, মানুষ দীর্ঘদিন সহ্য করে, অপেক্ষা করে, কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে তখন বিস্ফোরণ ঘটে। যারা দেশ চালান, দেশের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা যদি মানুষের এই মনোভাব বুঝতে না পারেন, তাহলে বিপত্তি ঘটে। এবারে সে রকমই একটা কিছু ঘটেছে।

কোটা সংস্কারের মতো নির্দোষ, নির্দলীয়, রাজনীতির গন্ধহীন একটা নির্দিষ্ট দাবি ঘিরে এত বড় একটা ঘটনাও মূলত সরকারের জনগণের মনোভাব বুঝতে না পারা এবং জনগণের ক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করার ফলে হয়েছে। পাশাপাশি অতীতের সব আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করে করে সরকার দমনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ফলে সরকার ছাত্রদের দাবিকে প্রথম দিকে মোটেই ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি। বরং আন্দোলন দমাতে তাদের অনুগত ছাত্রসংগঠন, যুবসংগঠনের নেতাকর্মীকে ব্যবহার করা হয়েছে। ছাত্রদের নিয়ে নানা রকম উপহাস করা হয়েছে। ফলে ছাত্রদের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের একটা বিস্ফোরণ ঘটে।

প্রথম থেকে ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছেন, কোনো রকম সহিংসতায় জড়াননি। ছাত্রদের ওপর যখন বাইরে থেকে আক্রমণ এলো, তখন তাদের প্রতিবাদ কিছুটা হলেও মারমুখী হয়ে উঠল। সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার মতো অবস্থানে চলে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কারণ ছাত্রলীগেরর প্রতি ছাত্রদের এই ক্ষোভের পেছনেও দীর্ঘদিনের বেদনা লুকিয়ে আছে। গেস্টরুমের অত্যাচার, সিট বণ্টনের নৈরাজ্য, দলের মিছিলে-মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য চাপ, না গেলে নানা ধরনের অত্যাচার, এসব ক্ষোভ ছাত্রদের মধ্যে ছিল।

দেশে গত কয়েক দশকের ইতিহাসে মাত্র অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে এত মানুষের মৃত্যু কখনো ঘটেনি। স্বাধীনতা-পূর্ব ঊনসত্তরের তিন মাসের গণ-আন্দোলনেও এতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়নি। এর কারণ হয়তো এবারের আন্দোলনে বাড়াবাড়ি রকম বল প্রয়োগ। অথচ বল প্রয়োগের বিকল্প ছিল। অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত বল প্রয়োগ কখনোই মঙ্গল ডেকে আনে না। আন্তর্জাতিকভাবে জনগণের ওপর বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে বল প্রয়োগের কথা বলা হয়। অর্থাৎ প্রতিপক্ষ যতটা শক্তি প্রয়োগ করছে, সরকারের বাহিনীগুলোর শক্তি প্রয়োগ তার চেয়ে বেশি হলে বিষয়টা নির্মম অত্যাচারে পরিণত হয়। চলতি আন্দোলনে হয়েছেও তাই। ছাত্রদের আন্দোলনে পরের দিকে সাধারণ মানুষকেও বিক্ষোভ করতে দেখা গেল। কারণ সাধারণ মানুষ আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মাত্র।

এবারের কোটা আন্দোলনে কেবল বহু ছাত্র-জনতার মৃত্যু হয়েছে এমন নয় বরং ২০০৯ সালের পীলখানায় দেশের ৫৭ জন চৌকস সেনাকর্মকর্তার মৃত্যু; পরে অনেক বিডিআর জওয়ানের মৃত্যু এবং চাকরিচ্যুতির ঘটনা, পরিণতিতে দেশের গর্বিত দু’টি বাহিনীর ক্ষতি এবং সর্বোপরি দেশের ভাবমর্যাদা এবং সার্বভৌমত্বের কী ক্ষতি হলো তার হিসাব জাতি আজও জানেনি। শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের হেফাজত আন্দোলনে জান-মালের ক্ষতির হিসাব আজও করা হয়নি। ২০১৩ সালে দেশের একজন জনপ্রিয় মাওলানার ফাঁসির রায় ঘিরে শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষের জানমালের যে ক্ষতি হলো তার হিসাব আজও জাতি জানে না। সাধারণের ধারণা, ওসব ঘটনার ব্যাপারে রীতিমাফিক ব্যবস্থা নিলে ২০২৪ সালে এত বড় জানমালের ক্ষতি হয়তো হতো না।

দেরি হয়ে গেলেও, এখনো রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের দেশের সম্পদের সাথে আন্দোলনকারীদের জানের ক্ষতি এবং কেন তারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছেন সে হিসাব বোধকরি করা দরকার; অন্যথায় ভবিষ্যতে হয়তো এর চেয়েও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এ দেশের।

আন্দোলন দমাতে সরকার এবারো যা করছে তা সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হয়ে বরং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের বীজ বপন করছে যেন। একদিকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন করেছে, অন্যদিকে মামলায় হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে, নির্বিচার গণগ্রেফতার চলছে। সরকার বিষয়টাকে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মনে করে এটাকে আইনশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করাতে চাচ্ছে। অথচ বিষয়টি যতটা আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক, সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক ও আস্থা-বিশ্বাসের সমস্যা; এ দিকে নজর দেয়া দরকার।

সরকার এবং জনগণের এ সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারে মিডিয়া, সঠিক তথ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে অথচ মিডিয়া কেবল ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করে যাচ্ছে। শত শত মানুষের প্রাণ ঝরে গেল তার মূল্য যেন মিডিয়ার কাছে নেই। এ একতরফা প্রচার কোনো পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক নয়। বরং মিডিয়া সরকার ও জনগণের মধ্যে আলোচনার সুযোগ করে দিয়ে সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায়, মানুষের মধ্যে বিশ্বাস-আস্থা ফিরিয়ে আনা, দেশে গণতান্ত্রিক ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায় বেড় করায় সহযোগিতা করতে পারে। রাতারাতি দীর্ঘদিনের এ পুঞ্জীভূত জঞ্জাল দূরীভূত হবে না এ কথা সত্য, তবে আমরা শুরু করতে পারি। এর জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, যা এ সমস্যা সমাধানের একটি ভিত্তি তৈরি করবে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement