বাজেটের প্রণয়নপ্রক্রিয়া ও বাস্তবায়নযোগ্যতা
- ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
- ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫
নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার-অবয়ব নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ এমনিতে এসে যায়। বিষয়টি এ কারণেও গুরুত্ববহ, মহামারী মোকাবেলার পর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থির পরিস্থিতিতে একটি উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে তা কী ধরনের কৌশল অবলম্বনে উতরানো যাবে তার একটি পথনকশা, পদক্ষেপের পদাবলি বাজেটে প্রত্যাশিত থেকে যাচ্ছে, যাবে।
আপাতত আগামী জুনে সংসদে যে জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত ও আলোচিত হয়ে ‘কণ্ঠভোটে’ পাস হয়ে রাষ্ট্র্রপতির সম্মতির জন্য যাবে, যার বাস্তবায়ন শুরু হবে পয়লা জুলাই থেকে, সেটির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। গত বছর যে বাজেটটি পাস হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পরিসংখ্যানের প্রতি প্রশ্ন-আগ্রহ ইদানীং বড় একটা দেখা যায় না। সবাই দেখতে চান নতুন বাজেট। বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতির প্রতি নজর থেকেও যেন নেই। অথচ বাস্তবায়নের মধ্যে বাজেটীয় সাফল্য বা প্রভাব, প্রত্যাশার প্রকৃত প্রাপ্তি নির্ভর করে এবং এ অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন বাজেটে কৌশল পুনর্নির্ধারণের তাগিদ উঠে আসে। বলা বাহুল্য, এটি বাজেট নামক বস্তুটির প্রতি গণ আকর্ষণ-আগ্রহ তথা প্রত্যাশা-প্রাপ্তি শুমারের বশংবদ সীমাবদ্ধতা- যে কারণে বাজেটের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা মাঠে মারা যায়, শুধু মিডিয়া যেন সে আগ্রহ-আকাক্সক্ষা কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। বাজেট নিয়ে যে মিথ বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে এর তাৎপর্য দিন দিন দীনহীন হয়ে পড়ছে, তার কার্যকারণ বিশ্লেষণে গেলেও তা দেখা যায়।
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম ভাগে, আইনসভা অধ্যায়ে, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে, ‘আইন প্রণয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি’ অনুযায়ী ৮১ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত ‘অর্থবিল’-ই ব্যবহারিক অর্থে বাজেট। সংবিধানের কোথাও বাজেট শব্দের নাম-নিশানা নেই অথচ লোকসমাজে বাজেট একটি বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত শব্দ। সংসদে সম্পূরক এবং নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশকালে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে যে ‘বাজেট বক্তৃতা’ দেয়া হয় তা আইনত বাজেট নয়, সেটি পারতপক্ষে অর্থবিলের নির্বাহী সারাংশ এবং এটি বড়জোর সরকারের ‘ভাবাবেগ-মিশ্রিত রাজনৈতিক অর্থনীতির বার্ষিক বিবৃতি’, কখনো সখনো নির্বাচনী ইশতেহারও বলা যায়। ‘অর্থবিল’-এর দর্শন, ফাঁকফোকরসহ সচরাচর লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়, রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে সংসদে উপস্থাপিত নথিতে অর্থবিলের অবস্থান ‘সংযোজনী’ হিসেবে। বাজেট প্রস্তাব পেশের পর ‘বাজেট আলোচনায়’ অর্থবিলের পর্যালোচনা ও প্রাসঙ্গিকতা খুব একটা দেখা যায় না। প্রসঙ্গত, ‘অর্থবিলের’ আওতা ও পরিধি-সংক্রান্ত সংবিধানের ৮১ (১) উপ-অনুচ্ছেদে (ক) করারোপ, নিয়ন্ত্রণ, রদবদল, মওকুফ বা রহিতকরণ; (খ) সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ বা কোনো গ্যারান্টি দান, কিংবা সরকারের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত আইন সংশোধন এবং (গ) সংযুক্ত তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ, অনুরূপ তহবিলে অর্থ প্রদান বা অনুরূপ তহবিল থেকে অর্থ দান বা নির্দিষ্টকরণের দায়িত্ব সংসদের বলা আছে, কিন্তু সরকারের ঋণ গ্রহণ বা কোনো গ্যারান্টি দান (বিশেষ করে নানা শর্তসাবুদে ভরা বিদেশী ঋণ গ্রহণ সম্পর্কে), কিংবা সরকারের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত সংসদে আলোচনার নজির দেখা যায় না। তদুপরি পর্যাপ্ত বা প্রযোজ্য পরীক্ষা-পর্যালোচনায় চলতি বাজেটবর্ষের সম্পূরক (বাজেট) বিল পাসের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বা ক্ষেত্রে সংসদের সে অধিকার ও দায়িত্ব পরিপালনের সুযোগও সীমিত। সংবিধানের ৮১(৩) মতে, রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য সংসদে উত্থাপিত, পর্যালোচিত ও ‘পাসকৃত’ বাজেটটি পেশ করার সময় স্পিকারের স্বাক্ষরে এটি একটি অর্থবিল মর্মে সার্টিফিকেট দিতে হয়, যা সব বিষয়ে চূড়ান্ত এবং সে সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
অর্থবিলের বিধান, বরাদ্দ, করারোপ সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না- এ ধরনের অনুশাসন বাজেটীয় সিদ্ধান্তের অয়োময় প্রয়োগকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা যেমন দেয়, একই সাথে সরকারের করনীতি, বণ্টনব্যবস্থায় সংসদের ছত্রছায়ায় নির্বাহী বিভাগের স্বেচ্ছা আচরণকেও সুরক্ষা দেয়। এ কারণে অর্থবিল পাসের পর কেউ আদালতে যেতে না পারলেও করনীতি বাস্তবায়ন পর্যায়ে গিয়ে উচ্চ আদালতে এনবিআরের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়ে নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতায় রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমে বাদসাধার সুযোগ পেয়ে থাকে। সংসদীয় কমিটিগুলোর মাধ্যমে অর্থবিলের বিধি-বিধান বরাদ্দসমূহ যাচাই-বাছাই উত্তর সুপারিশ গ্রহণের ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে বাস্তবায়ন পর্যায়ে আমলাতান্ত্রিক লুকোচুরিসহ মামলা মোকদ্দমা এড়ানো সম্ভব হতো। সমস্যা হচ্ছে, আইন প্রণয়নের সময় ঔপনিবেশিক নিবর্তনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করলে সেই আইন ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’ দেশে ও পরিবেশে বাস্তবায়নের সময় সমস্যার ডালপালা ছড়াতেই থাকে। বায়ান্ন পার করে তিপ্পান্নয় পা দেয়া বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ ও পাসের পদ্ধতি প্রক্রিয়ায় পরিলক্ষিত সীমাবদ্ধতা সংস্কারের কথা ভাবনার পর্যায়ে থেকে যাচ্ছে।
সংবিধানের ‘প্রস্তাবনায়’ সর্বপ্রথমে উচ্চারিত তিন শব্দ ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণ’। সঙ্গত কারণে জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত হওয়া উচিত সে ‘সব’ জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিধি-বিধান, খতিয়ান। এ বাজেট বিশাল টাওয়ার কিংবা বড় গ্রুপ কোম্পানির কর্ণধারের যেমন, এ বাজেট নীলফামারীর ডোমার উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র কৃষকের, শরৎচন্দ্রের গফুর ও মহেশের, চাষাদের, কামার-কুমার-মজুরের। ‘জাতীয়’ বাজেটটি হবে রাষ্ট্র্রের, শুধু সরকারের নয়, শুধু পক্ষের নয়- বিপক্ষেরও, সবার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি খাতে অগ্রাধিকার এবং বরাদ্দ বাড়ালে বাজেট জনগণের বাজেট বা ইতিবাচক হয় না, স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ালে মহামারী মোকাবেলা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বাস্থ্যসেবার জৌলুস অটোমেটিক্যালি বাড়ে না, এ খাতের ব্যয়ের সক্ষমতা ও সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন যদি বহাল থাকে, দুর্নীতি- অব্যবস্থাপনা-অপারগতায় আকীর্ণ থাকে এবং তা নিরসন নিয়ন্ত্রণে তথা জবাবদিহিকরণে ‘কথায় নয় কাজে’ অগ্রগতি না থাকে। বাজেটে বরাদ্দ বড় কথা নয়, অর্থনীতিতে সেই বরাদ্দের কতটা সম্পদ ও সেবা সৃষ্টি হলো, প্রভাব ফেলতে পারল সেটি বড় কথা।
করোনা সঙ্কটে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কর্মসংস্থান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার মতো খাতগুলোর অগ্রাধিকার প্রাপ্য। গত বছর (এখন পর্যন্ত চলতি বাজেটবর্ষে) করোনার প্রভাবে বাজেট প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের গুরুত্ব আলোচিত হলেও সেখানে বরাদ্দ নমিনাল টার্মে আপেক্ষিকভাবে কিছুটা বাড়লেও দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শিক্ষা, দক্ষ জনসম্পদ তৈরি, ফর্মাল ও ইনফর্মাল সেক্টরে কর্মসৃজনমূলক শিল্পোদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপের, বাস্তবায়নের খাতে বরাদ্দ সে হারে আরো বাড়ানো প্রয়োজন ছিল, যেভাবে বা হারে জনপ্রশাসনসহ অন্যান্য অনেক অগৌণ খাতে বরাদ্দ বেড়েছিল সেভাবে বা হারে করোনা যে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি করেছে তা পুনরুদ্ধারে পরিপূরক ও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারত, সেসব খাত যেমন- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাড়েনি। তথাপি এবং তদুপরি সে বরাদ্দকৃত অর্থের বণ্টন ও ব্যবহার বা বাস্তবায়নের হিসাব মেলানোর সুযোগ সীমিত।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নিম্ন থেকে নিম্নমধ্যবিত্তের তকমা পেতে হলে সব খাত ও ক্ষেত্রে একযোগে উন্নয়নশীল হতে হবে। বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রাণবায়ু কৃষি খাতে উৎপাদন তথা সামগ্রিকভাবে কৃষি খাতের উন্নতি একটি সম্মিলিত প্রয়াস। যেখানে কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক ও কৃষি উপকরণের সাথে সম্পৃক্ত প্রাইভেট সেক্টর, আমিষ, শর্করা সরবরাহকারীরাও সরাসরি সম্পৃক্ত। কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকি/প্রণোদনা যেন যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে সত্যিকার প্রান্তিক চাষিরা, খামারিরা পায়। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরের অবদান কম নয়। সে জন্য পাবলিক সেক্টরের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরেও বাজেট বরাদ্দ থাকা উচিত। রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈবসারে মাটির স্বাস্থ্য ভালো করে বিধায় রাসায়নিক সারের মতো বাজেটে জৈবসার উৎপাদনে ভর্তুকির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। দেশের প্রান্তিক চাষিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান তার সুস্পষ্ট কৌশল, মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রতিরোধ, প্রতারক, পথে পথে চাঁদাবাজের দৌরাত্ম্য, প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত দুর্নীতি কমানোর কমিটমেন্ট বাজেটে থাকা দরকার। বাংলাদেশের প্রায় সব সেক্টরে বীমার ব্যবস্থা থাকলেও গত বাজেটে কৃষি ও কৃষকের বীমার প্রস্তাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তা, খামারি, মাছচাষির কাছে স্টিমুলাস প্যাকেজের টাকা পৌঁছায়নি। ব্যাংক বা আর্থিক খাতে বিশাল ব্যাধির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ধনী আরো ধনী হওয়ার সহজ সুযোগে আয়-বৈষম্য বেড়ে চলেছে। অন্তর্ভুক্তির নামে বিচ্ছিন্নতা বাড়তে থাকলে ‘কাউকে পেছনে ফেলা যাবে না’ এসডিজি গোল অর্জনের এ মর্মবাণী সকরুণ ব্যর্থতার বিবরে উন্নয়নশীল অর্থনীতির কপোলে কালো তিলক আঁকতে থাকবে।
গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বরাদ্দ আরো কর্মসৃজনমূলক সৃজনশীল খাত সৃষ্টি এবং নমিনাল টার্মে বেশি থাকা দরকার এবং বণ্টনে পক্ষপাতিত্বহীন ও স্বচ্ছ হওয়া আবশ্যক। ৫০ লাখ প্রাপককে যে বিশেষ অর্থ দেয়া হয়েছিল এবং ঈদ উপলক্ষে এক কোটি প্রাপককে প্রদানের ঘোষণা আসছে তা বিলি বণ্টনে ন্যায্যতা, সঠিক গন্তব্য ও প্রাপ্যতা নিয়ে এখনো যে সংশয় রয়ে গেছে, তা নিরসনে ব্যবস্থা বা নজর থাকা আবশ্যক হবে।
ইদানীংকালের প্রায় বাজেটে এক দিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে অর্থ আত্মসাতের, কর ও ঋণখেলাপিদের পরোক্ষ প্রেরণা থাকে, তা স্ববিরোধিতায় আকীর্ণ। জরিমানা ছাড়া হ্রাসকৃত হারে কর দিলে ‘কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না’ এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বারবার দেয়াতে সৎ ও নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারী ও করদাতাদের আরো নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আস্থার পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। ঋণখেলাপি, দুর্নীতিবাজদের যথাযথ জরিমানা ও প্রযোজ্য কর দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা সাদা করার সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া না হলে এবং অর্জিত আয় উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন না তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়ার অর্থ হবে সংবিধানের ২০(২) ধারায় বর্ণিত বিধান (‘রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসেবে কোনো ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না’) এর পরিপন্থী অবস্থান গ্রহণ। রাষ্ট্রের দায়িত্ব যেখানে কালো টাকা আয় উপার্জনের পথ বন্ধ করা এবং উদ্ধারে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়া, তার পরিবর্তে রাষ্ট্র যদি দুর্নীতিজাত অর্থ উদ্ধারের নামে উৎসাহব্যঞ্জক কিংবা প্রণোদনামূলক পদক্ষেপে যায় বা দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে তবে তা হবে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি সহায়তার নামান্তর। কেননা, যখন যে সমাজে ও অর্থনীতিতে পুকুরচুরির, পর্যাপ্ত আত্মসাতের, দুর্নীতির এবং শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ থাকে এবং পরবর্তীতে তোষণের সুযোগ হাতছানি দেয়, তখন কালো সাদা করার তাগিদ থাকে না; বরং কালো টাকার স্ফীতমেদ দেশ সমাজ ও অর্থনীতিকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়। কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কেন ও কিভাবে বাড়ছে, কেন ও কিভাবে সেই দুর্নীতিজাত আয়ের অর্থ পাচার হচ্ছে সেদিকে মনোযোগ না দেয়া হবে আত্মঘাতী, ব্যবসায়-বাণিজ্য বিনিয়োগবান্ধব বাজেট ঘোষণার প্রতি প্রতারণা।
লেখক : উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা