শিক্ষালয়ে অনৈতিকতার চর্চা
- ড. এ কে এম মাকসুদুল হক
- ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৮
গত কিছুদিন ধরে তিনটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে শিক্ষকের যৌন নিপীড়ন অভিযোগের বিচার এবং একটিতে ছাত্রদের দ্বারা গণধর্ষণের বিচার চেয়ে। এসব ঘটনা অত্যন্ত লজ্জা ও দুঃখের। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেখানে যাচ্ছে নীতি-নৈতিকতা শিখতে সেখানে যারা শেখাবেন তাদের বিরুদ্ধেই ছাত্ররা অভিযোগ তুলছেন। জাতি হিসেবে অত্যন্ত লজ্জাকর সংবাদ এগুলো।
গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন ছাত্রী ভিসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার স্নাতকোত্তর থিসিসের তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিচার চেয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে (প্রথম আলো, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগ’ বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের জনৈক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগে বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে আন্দোলন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলে ওই শিক্ষককে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয় এবং বর্তমানে তদন্ত কমিটি অভিযোগের বিষয়ে কাজ করছে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী একজন বহিরাগত যুবকসহ ক্যাম্পাসে ভ্রমণ করতে আসা এক গৃহিণীকে গণধর্ষণ করে। জানা যায়, গৃহিণীর স্বামীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ছয়জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে।
অবশ্য ধর্ষণের অপরাধ এ দেশে নতুন কিছু নয়। আমাদের মনে আছে, সিলেট এমসি কলেজে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে ছিল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জাতীয় নির্বাচনে অপছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার অপরাধে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য দলবলসহ এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন। অনেকেরই মনে আছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ছাত্রী ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন। অতি সম্প্রতি খুলনার পাইকগাছায় এক গৃহবধূকে চোখে বিষাক্ত আঠা দিয়ে চোখ বন্ধ করে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এরই মধ্যে রাজধানীর বিখ্যাত ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মেয়ে শিশুদেরকে যৌন নির্যাতনের খবর পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। গণিত শিক্ষক মুরাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট কোচিংয়ের ফাঁদে আটকে এ ধরনের জানোয়ারতুল্য বিকৃত আচরণ করে আসছিল স্কুলের মেয়েদের সাথে। এর আগে জনৈক সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আবার ডেপুটি সেক্রেটারি পদের একজন কর্মকর্তা সৌদি আরবে বাংলাদেশের দূতাবাসে আশ্রিতা বাংলাদেশী গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতন করেন বলে জানা যায়।
উপরের ধর্ষণ ঘটনাগুলো কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের একটি নৈমিত্তিক অপরাধ চিত্র। ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল’ সম্প্রতি একটি জরিপে দেখিয়েছে, বাংলাদেশে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী দুই হাজার ২৩২ জন ছাত্রীর মধ্যে ৭৪ শতাংশই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয় (ডেইলি স্টার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। পত্রিকার প্রকাশিত খবরের বাইরেও অসংখ্য ধর্ষণ ঘটনা রয়েছে যেগুলোর আনঅফিসিয়াল তথ্য অনেকের কাছেই শোনা যায় বা পাওয়া যায়। দিনমজুর থেকে শুরু করে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্যন্ত এসব অপরাধে জড়িত। অর্থাৎ শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরিব, ছাত্র-শিক্ষক সব শ্রেণীর লোকই ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধ বিজ্ঞানে এসব নিয়ে অনেক গবেষণা ও যুক্তিতর্ক থাকতে পারে। তবে একজন সাধারণ মানুষের কাছে সাদাচোখে দেখা বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে হয়।
বিচারহীনতা বা অপরাধীর পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি এই ধর্ষণ অপরাধের সয়লাবের একটি প্রধান কারণ। সাধারণত মিডিয়ার কল্যাণে যে সমস্ত ঘটনা চাঞ্চল্যকর হয়ে ওঠে সেগুলোর কিছু কিছু বিচার হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধী বিচারের আওতার বাইরেই থেকে যায়। অপরাধী প্রভাবশালী হলে বিভিন্নভাবে স্টেকহোল্ডারদের ম্যানেজ করে বিচারের বাইরে থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে উল্টো ভিকটিমকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলে। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই ধর্মের দোহাই দিয়ে অথবা ভ্রষ্ট ফতোয়ার ফাঁদে ফেলে অবিচার করা হয় এবং স্বার্থপর মাতব্বররা স্বার্থের বিনিময়ে নিজেদের মতো করে রায় দিয়ে প্রভাবশালী অপরাধীকে খালাস দিয়ে দেয়।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ধর্ষকরা উৎসাহিত হয়ে থাকে। সুবর্ণচরের গণধর্ষণের অপরাধীরা ২০১৯ সালে অপরাধ করলেও তাদের বিচারের রায় হয়েছে মাত্র কিছু দিন আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ কিন্তু এখনো বিচার চলমান। আর সরকারি কর্মকর্তাদের এসব হীন অপরাধের শাস্তির গতি আরো জটিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত জনৈক সহকারী পুলিশ সুপারকে ঢাকার একটি আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এমনকি পুলিশের তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও তিনি জামিনে বের হয়ে নিজ পদে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। বগুড়ার সরকারি আযিযুল হক কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে দাপটের সাথেই স্বপদে চাকরি করছেন! ২০২০ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসাবে কর্মরত অবস্থায় জনৈক উপসচিব সেফ হোমে আশ্রয় নেয়া নারী শ্রমিকদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তদন্ত, বিচার ইত্যাদি সমাপ্ত করে ২০২৩ সালের ৬ জুলাই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয় (প্রথম আলো, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। সেই উপসচিবের ধর্ষণের এটিই চূড়ান্ত শাস্তি। তবে এটিই নাকি সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় দ্রুততম শাস্তির রেকর্ড। বিভাগীয় কার্যধারায় দোষী সাব্যস্ত কোনো কর্মচারীকে সর্বাধিক শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে এ ধরনের শাস্তি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
দলীয় ছায়া একটি বড় ধরনের ঢাল হয়ে থাকে ধর্ষকদের জন্য। আমাদের দেশের রাজনীতির সংস্কৃতি মোতাবেক শাসক দলের নেতাকর্মীরা এক ধরনের ‘সেলফ ইমিউনিটি’ ভোগ করে থাকে। বিশেষ করে ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে। একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব ছাত্রসংগঠনের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাড়ায়-মহল্লায় এক ধরনের আনচ্যালেঞ্জন্ড স্ট্যাটাস ভোগ করে থাকে। থানা-পুলিশও তাদেরকে যথেষ্ট সমীহ করে চলে। তারা সাধারণত স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং অন্যান্য দলীয় মুরব্বি নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকে। এর ফলে পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এত বেশি সংবাদ এবং দুর্নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনের তো নেই-ই, এমনকি খোদ ছাত্রলীগও কোনো কালেই এত বেশি দুর্নামের ভাগী হয়নি।
বিশ্বায়ন ও উন্মুক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ধর্ষণ অপরাধ বৃদ্ধির একটি অন্যতম প্রধান কারণ। দেশের দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোট-বড় প্রায় সবার হাতে আজ রয়েছে ‘স্মার্টফোন’। এর মধ্যে করোনাকালীন সময়ে লেখাপড়ার বিকল্প মাধ্যম হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে চলে আসে স্মার্টফোন। প্রায় দুই বছর মহামারীর কারণে ঘরবন্দী মানুষ এবং শিশুরাও আসক্ত হয়ে পড়ে স্মার্টফোনে। এর মধ্যে ছোট-বড় নির্বিশেষে একটি বড় অংশ স্মার্টফোনে অতি সহজে প্রাপ্য পর্নোগ্রাফিতে আটকে যায়। এতে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের একটি বড় অংশের মধ্যে মানসিক বিকৃতি ঘটে। ফলে ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশেষে সবার মধ্যে এই প্রবণতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো গবেষণা না থাকলেও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এই প্রবণতার ব্যাপকতার তথ্য জানা যায়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-ছাত্রদের যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ হলো- শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক গলদ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আমরা বিজ্ঞানমুখী বলি এবং বর্তমানে ‘দক্ষতাভিত্তিক’ করতে চাচ্ছি। কিন্তু এই শিক্ষাব্যবস্থায় কিভাবে নৈতিকতার শিক্ষা সমন্বিত করব সেটি আমরা চিন্তা করছি না। আমরা মনে করছি, যেন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে একসময় বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে গেলেই নৈতিকতার প্রশিক্ষণ হয়ে যাবে। কিন্তু এটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই তো বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও নিজের যৌন লালসা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হতে দেখা যায়। কারণ তিনি শিক্ষিত হয়েছেন, স্কুল-কলেজে ধর্মীয় পাঠ পড়ে পরীক্ষায় পাস করেছেন, কিন্তু প্রকৃত নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন। নৈতিক শিক্ষা শুধু ধর্মীয় বই মুখস্থ করে হয় না। এটি অনুশীলনের বিষয়। মুখস্থ বিদ্যায় তাদের মধ্যে বিবেক বোধ এবং সৃষ্টিকর্তার ভয় জাগ্রত হয়নি। ধর্ষণ যে নিষিদ্ধ সেটি সে জানে কিন্তু এই অপরাধ করে পৃথিবীতে পার পেয়ে গেলেও পরবর্তী জগতে সৃষ্টিকর্তা যথাযথ শাস্তি দেবেন- এই বোধটুকু তাদের জাগ্রত করতে আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই নৈতিক শিক্ষার অভাবই আজকের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-ছাত্রদের ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ার মূল কারণ। সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ফোকাস এই শিক্ষাব্যবস্থায় কমই রয়েছে। আর সমাজে চারদিকে প্রতিটি ক্ষেত্রে অসততার সয়লাবের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে শুধু তাত্ত্বিক নৈতিকতার জ্ঞান দিয়ে সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এই সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলোতেও শিক্ষাঙ্গনে ধর্ষণের ঘটনা রোধ করতে পারেনি। ‘ইউএন ওইমেন’ একটি গবেষণায় দেখেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী শিক্ষাঙ্গনে ৭৬ শতাংশ ছাত্রী বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই হার ৪৫.৫৫ শতাংশ এবং ভারতে ৬৬ শতাংশ ছিল।
যৌন নির্যাতনের এই ভয়াবহ চিত্র থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে প্রথমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধর্ষক যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক ছত্রছায়া, আইনের ফাঁকফোকর, স্বজনপ্রীতি, ভিকটিমের অসহায়তা ইত্যাদির মাধ্যমে আইনের বাইরে থাকতে না পারে সে জন্য সরকারকে একটি ‘কম্প্রিহেনসিভ’ পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে। সেই সাথে নৈতিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে শিক্ষার্থীদের জন্য। নৈতিক প্রশিক্ষণের সেরামাধ্যম হলো ধর্মীয় অনুশীলন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে মূল্যবোধ বদ্ধমূল করার পাশাপাশি ধর্ষণের মতো অন্যায় যে পৃথিবীতে ও পরজগতে অত্যন্ত অমর্যাদাকর এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ সেটি তাদের মনোজগতে প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে। সর্বোপরি ধর্ষণবিরোধী একটি সামাজিক আন্দোলনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সমাজের মধ্যে। এই সামাজিক আন্দোলনে ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী, মর্যাদা নির্বিশেষে সবাইকেই শরিক করতে হবে। তবে এই আন্দোলন কারা শুরু করবে সেই প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশীলসমাজ, আলেম-উলামা, রাজনৈতিক নেতা, সরকার যারাই মনে করেন আমাদের দেশ, জাতি ও সমাজকে এই ধর্ষণের বিষবাষ্প থেকে মুক্ত করতে হবে, তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে দেশের প্রতি দরদ নিয়ে।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email: [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা