আফগানিস্তান কি পরাশক্তি হতে যাচ্ছে?
- ড. মো: মিজানুর রহমান
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৯
দুই দশকের যুদ্ধ শেষে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সেনাদের হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান। ইসলামিক শরিয়াহ আইনের ভিত্তিতে দেশ চালানোর সিদ্ধান্ত দেশটির। ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছরেও দেশটিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের কোনো দেশ। আসতে থাকে নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ। তালেবান নেতারা সেই প্রাথমিক ধাক্কা সামলিয়েছেন সফলভাবেই।
সমাধান করেছেন বিভিন্ন গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দ্বন্দ্ব। তাই তো বিশ্বের সমর্থন ব্যতিরেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান পুনরুদ্ধার, দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। বদলেছে আফগানিস্তানের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পেক্ষাপট।
বর্তমানে তালেবান সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো- বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জন করা। চলতি বছরের জুনে প্রথমবারের মতো উচ্চপর্যায়ের কোনো আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে আফগানিস্তান সফর করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। এ বছর কাতারের দোহায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাথেও বৈঠক করেছেন তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। স্বীকৃতি না পেলেও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের প্রত্যাশায় অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন, কাজাখস্তানসহ বিভিন্ন দেশের সাথে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আফগান সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে আটকে থাকা দেশটির শত শত কোটি ডলার অর্থ ছাড়ে আলোচনা করছে। কিন্তু এসব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বরাবরই আফগানিস্তানে নারীদের ওপর তালেবানের বিভিন্ন বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তালেবান বলছে, তারা ইসলামী শরিয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে আফগানিস্তান
অর্থনীতির মূল সূচকগুলোতে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে ইতিবাচক বলেছে বিশ্বব্যাংক। তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলেছে, ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি হ্রাস, জাতীয় মুদ্রামান স্থিতিশীল রয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ১৮.৩ শতাংশ থাকলেও নভেম্বরে তা ৯.১ শতাংশে নেমে আসে। শিগগিরই মুদ্রাস্ফীতি ৬.১ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে। ২০২২ সালের ২২ মার্চ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটি ১৩ হাজার ৫৯০ কোটি আফগানি (১৫৪ কোটি ডলার) রাজস্ব আদায় করেছে। রফতানি আয় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়ে ১.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯০০ ও ৮০০ মিলিয়ন ডলার। দ্য অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটির (ওইসি) মতে, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের মোট রফতানি ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের জাতীয় মুদ্রার মান বৃদ্ধির বিষয়টিও উঠে এসেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে আফগানিস্তানের জাতীয় মুদ্রা আফগানির মান ৮৭ থেকে ৮৯ এককের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল বছর ধরে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা থেকে পাওয়া বিলিয়ন ডলার এবং এশীয় প্রতিবেশীদের সাথে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের কল্যাণেই দ্বিতীয় প্রান্তিকে আফগানিস্তানের মুদ্রা বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে। ভয়াবহ দারিদ্র্যপীড়িত একটি জনগোষ্ঠী নিয়ে এমন অবস্থানকে অস্বাভাবিকই ভাবা হচ্ছে।
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলার ও অন্যান্য বিদেশী মুদ্রার মোকাবেলায় আফগানি অর্থের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিলামে মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে। সেখানে বিদেশী মুদ্রার লেনদেনের বড় একটি অংশই হয় মানিচেঞ্জারের মাধ্যমে। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কারণে আফগানিস্তানে এখন প্রায় সব রেমিট্যান্সই শতাব্দী প্রাচীন হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো হয়। স্থানীয় লেনদেনে ডলার ও পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং দেশের বাইরে থেকে কাগজের নোট আকারে ডলার আনার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অনলাইন বাণিজ্যও অবৈধ ঘোষণা করেছে। এসব আইন না মানলে কারাদণ্ডের হুমকি রয়েছে। ফলে গত কয়েক মাস ধরে ডলারের সাথে আফগান অর্থের এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল রয়েছে। একই সাথে ইরান ও পাকিস্তানের মুদ্রার বিপরীতেও আফগানি মুদ্রার মান দ্রুত মূল্য বাড়ছে।
মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, নগদ অর্থের প্রবাহ ও রেমিট্যান্সের কারণে চলতি প্রান্তিকে আফগানির মান ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর আফগানির মান ১৪ শতাংশ বাড়ল। সেই হিসেবে এ বছর কলম্বিয়া ও শ্রীলঙ্কার পরই বিশ্বের তৃতীয় সেরা মুদ্রা হচ্ছে আফগানি। তবে দেশটিতে বেকারত্বের হার ব্যাপক। দুই-তৃতীয়াংশ পরিবারই মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এত দিন ছিল মূল্যস্ফীতি, এখন তা মূল্য-সঙ্কোচনে রূপ নিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা থেকেই দেশটির অর্থনীতি নিয়ে পশ্চিমা-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম নানা ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আসছে। অথচ বাস্তবে কথিত বিশ্ব-সম্প্রদায়ের নানান নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং রফতানির পরিসংখ্যান দ্রুত বাড়ছে। ফলাফলস্বরূপ, বিশ্ব ব্যাংক নিজেই বলছে যে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে যে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়ছে না; বরং ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে। দেশে রফতানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নও গতি পেয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ২-৩ শতাংশের মধ্যে থাকবে। মুদ্রা শক্তিশালী হলে তেল, বিশেষ করে অপরিশোধিত তেলসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য আমদানির চাপ কমতে পারে আফগানিস্তানের ওপর। এদিকে আর্থিক সঙ্কটে থাকা তালেবান প্রশাসন দেশটির সমৃদ্ধ খনিজসম্পদে বিনিয়োগ খুঁজছে।
খনির উন্নয়নে আফগানিস্তান
আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে খনিজসম্পদসমৃদ্ধ দেশগুলোর একটি, যেখানে এক হাজার ২০০টিরও বেশি খনিজ ক্ষেত্র রয়েছে। দেশটিতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজসম্পদ রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, তিন কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন টন লোহা, ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন মার্বেল ও ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন বিরল খনিজসম্পদ এবং ১৮৩ মিলিয়ন টন অ্যালুমিনিয়াম মজুদ আছে। দেশটির দু’টি খনিতে আনুমানিক দুই হাজার ৬৯৮ কেজি সোনা মজুদ আছে। চলতি বছরে আন্তর্জাতিক করপোরেশনগুলোর সাথে সাতটি খনি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলো আগামী তিন দশকে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে। চুক্তি অনুযায়ী, আফগান রাষ্ট্রের হাতে সোনার ৫৬ শতাংশ, তামার ১২ শতাংশ, সিসার ২০ শতাংশ এবং লোহার ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
আফগানিস্তানে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন জনপ্রিয় গোলাপি মার্বেল, ৫০০ মিলিয়ন টন চুনাপাথর ও বেলেপাথরসহ নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন খনিজ ও পাথর আছে। ঐতিহাসিকভাবে ল্যাপিস লাজুলি, পান্না ও রুবির অন্যতম প্রধান উৎস আফগানিস্তান। লিথিয়াম, ইউরেনিয়ামসহ আফগানিস্তানে আনুমানিক ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন বিরল খনিজসম্পদ আছে। দেশটিতে আনুমানিক ১৫২ মিলিয়ন টন ব্যারাইট আছে, যা সাধারণত তেল ও গ্যাস শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
তালেবান সরকার কোনো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পেলেও কাজ করছে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও পাকিস্তানের সাথে। দেশটির একটি তেলক্ষেত্রের ১০টি কূপের মধ্যে ৯টি থেকে ২০০ টন জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হচ্ছে চীনের সহযোগিতায়, যার উত্তোলন ক্ষমতা এক হাজার টনের বেশি। আফগানিস্তানের রুক্ষ শুষ্ক উত্তরাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে পুষ্টিপা নামে একটি খাল খুঁড়ছে। সরকারের আশা, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাদের সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি সবুজ কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হবে।
আফগানিস্তানের পুনরুদ্ধারে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা
বিশ্বব্যাংকের অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও ক্রমাগত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হচ্ছেন সরকার। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে ইতিবাচক তথ্য দেশটির ভবিষ্যতের জন্য খুবই ইতিবাচক। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, ‘আফগানিস্তান বিশ্বাস করে, যদি তাদের ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এবং আটকে রাখা অর্থ ফেরত দেয়, তবে আফগানিস্তানের অর্থনীতি অতি দ্রুত আরো উন্নতি ও স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে। এর ফলে দেশটিতে শান্তি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। মধ্যপ্রাচ্যে জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯-পরবর্তী ভঙ্গুর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের অর্থনীতি এবং শাসনব্যবস্থা উল্লেখ করার মতো।
ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের মতে, দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় পঙ্গুত্ব এবং পশ্চিমাদের উন্নয়ন সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া সত্ত্বেও তালেবান সরকার আফগান মুদ্রার স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি রোধ, আমদানি পুনরুজ্জীবিতকরণ, রফতানি বৃদ্ধি এবং শুল্ক ও কর সংগ্রহ বৃদ্ধিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইউএনডিপি ২০২৩ সালে দেশটিতে ১.৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য আফগানিস্তানের ৩.৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সাহায্যের প্রয়োজন হবে। তবে এর জন্য আফগানিস্তানের নীতিগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে বলেছে।
বিশ্বে আফিম উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে স্থান ছিল আফগানিস্তান। জাতিসঙ্ঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত দফতর (ইউএনওডিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৩ সালে দেশটিতে আফিম চাষ দুই লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর থেকে কমে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টরে নেমেছে; উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমে ৩৩৩ টনে দাঁড়িয়েছে। অথচ পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকার আফিম চাষ করিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করত আর তালেবানদের দোষারোপ করত। এখন তালেবান সরকার আফিম চাষ বন্ধ করে সেখানে কৃষি কাজ, বিশেষ করে ডালিম ও আঙুর চাষ করে, জুস তৈরি করে বিদেশে রফতানি করে অর্থ উপার্জন করছে। তালেবানের ইসলামী শরিয়াহ বাস্তবায়নের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে দেশটিতে।
পরিশেষে বলতে হয়, আফগানিস্তানের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে দেশটির সম্পর্কের উপর। তালেবান সরকারের শাসনামলে দেশটিতে সহিংস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হ্রাস পেয়েছে; নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে তালেবানের শক্তিশালী রাজনৈতিক কিংবা সশস্ত্র কোনো প্রতিপক্ষও নেই। এ ছাড়া দেশটি দুর্নীতি ও বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠীকে দমন করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। রফতানি প্রধানত কৃষি, খনিজ ও বস্ত্রপণ্যকেন্দ্রিক যা দিন দিন বাড়ছে। সর্বোপরি, বিশ্বের দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে যেহেতু আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত করতে পেরেছে, সুতরাং আর কোনো পরাশক্তি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করবে না; যুদ্ধবিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে আফগানিস্তান তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়তে পারবে। সুতরাং পরাশক্তির নিয়ন্ত্রণবিহীন, সামরিক কৌশলে অভিজ্ঞ, খনিজসম্পদে ভরপুর সৎ, যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আফগানিস্তানের রয়েছে সময়ের ব্যবধানে পরাশক্তি হওয়ার সম্ভাবনা।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা