২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আসছে অজ্ঞান দানব

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আসছে অজ্ঞান দানব। - ছবি : সংগৃহীত

যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সেরা উপায় হলো আলোচনা, সংলাপ বা সামাজিক বিতর্ক। কারণ এটি গণতন্ত্রসম্মত। মানব সমাজের অগ্রগতির নানা পর্যায়ে এমন অনেক বিতর্কের অবতারণা হয়েছে যেগুলোর বিষয়ে কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি মানুষ। ডিম আগে না মুরগি- এমন সস্তা তর্কে যাচ্ছি না আমরা। কিংবা ধর্মের উপযোগ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে বিতর্কের মতো গুরুতর প্রসঙ্গও তুলছি না; বরং স্মরণ করি যে, বিজ্ঞানের বিশাল বিস্তৃত মঙ্গলময় বরাভয়ের ছায়ায় প্রতি মুহূর্তে নিঃশ্বাস নিলেও আমরা ‘বিজ্ঞান মানুষের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ’ এমন বিতর্ক থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারিনি। তবে বিশ্ববাসী সম্ভবত সেই বাস্তবতা কখনো অস্বীকার করেনি যে, কোনো দুর্বৃত্তের হাতে যে ছুরি প্রাণঘাতী, সেই একই ছুরি শল্যবিদের হাতে নতুন জীবনের আশ্বাস। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সম্প্রতি পুরো বিশ্বে বিশেষ করে বর্তমানকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, গবেষক, চিন্তাবিদ, মানবহিতৈষীদের মধ্যে যে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেটিও ওই একই বীক্ষণযন্ত্রের নিচে রেখে দেখা যেতে পারে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আশীর্বাদ না অভিশাপ সে প্রসঙ্গে না গিয়ে আমরা বরং বিজ্ঞানের এই সবশেষ উদ্ভাবনের গুরুত্ব ও এ নিয়ে চলমান বিতর্কের স্বরূপ বোঝার চেষ্টা করব।

বিল গেটস নামটি সবার জানা। কম্পিউটার ঘরে ঘরে মানুষের নিত্যব্যবহার্য হয়ে উঠবে এমন ভাবনা যখন এর স্রষ্টারাও ভেবে উঠতে পারেননি সেই সময় কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বুঝেছিলেন গেটস। তিনি উইন্ডোজের মতো সফটওয়্যার ইত্যাদি তৈরি করে কম্পিউটারের ব্যবহার সহজ ও সুলভ করেন। এতে যন্ত্রটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা-ই শুধু নয়, বিল গেটস নিজেও বিশ্বের এক নম্বর ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। এখন তিনি সমাজহিতৈষী মানুষ। সমাজসেবায় দুনিয়াজোড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চলমান বিতর্কে অংশ নিয়ে বিল গেটস বলেন, ‘মানুষের জীবনধারা পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে এমন প্রযুক্তি তিনি জীবনে দেখেছেন দু’বার। প্রথমবার মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের আবির্ভাবে; দ্বিতীয়বার এই এখন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ শুরুর মধ্যে।’

পাঠক, একটু স্থির হয়ে ভাবলেই আপনি গত ১০০ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এমন অনেক আবিষ্কার, উদ্ভাবনের কথা মনে করতে পারবেন যেগুলো বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের লাইফস্টাইল সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে। বিদ্যুতের কথা ভাবুন। বিদ্যুৎবিহীন বিশ্ব কল্পনা করতে পারবেন? এমনই তথ্যপ্রযুক্তি। ইন্টারনেটবিহীন দুনিয়া অকল্পনীয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই তথ্য প্রযুক্তিরই একটি শাখা। যা এখনো বিকাশমান। বলা হচ্ছে- আগামী ১০ বছরের মধ্যে এটি বুদ্ধিমত্তায় মানুষকে ছাড়িয়ে যাবে। তখন এর প্রভাব প্রতিক্রিয়া মানুষের জীবনে যে সুদূরপ্রসারী ও সুগভীর অভিঘাতের সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। চ্যাটজিটিপির মতো প্রযুক্তি এরই মধ্যে কত পেশাজীবী মানুষকে চাকরি হারানোর হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে সে খবর জানতে কারো বাকি নেই। উদ্যত এই খড়গের নিচে বলীর পাঁঠার মতো কাঁপছে পেশাজীবীরা। এআই নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র তো বটেই, তৈরি হয়ে গেছে ঘাতক সৈনিকও। শুধু রণক্ষেত্রে নামানো বাকি।
এআই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি, যা এমনকি বিশেষজ্ঞদেরও কপালে দুশ্চিন্তার গভীর ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, এটি গোটা মানব জাতির অস্তিত্বের জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়াহ হারারি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যদি ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ব্যবহার’ করা হয়, তবে সেটি আমাদের ‘সভ্যতার মূল ভিত্তির জন্য হুমকি’। হারারি একটি লেখায় বলেন, ‘জিপিটি-৪ এবং এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুলগুলোর সক্ষমতা চিন্তা করতে গিয়েই আমাদের মানব মস্তিষ্ক দিশা হারিয়ে ফেলছে। আর এগুলো যত দ্রুত আরো উন্নত ও সক্ষম হয়ে উঠছে, তাতে এগুলো ভবিষ্যতে কেমন সক্ষমতা অর্জন করবে চিন্তা করা আরো কঠিন হয়ে উঠবে।’

এআই মানবসভ্যতার জন্য প্রভুত রকমে উপকারীও হতে পারে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চিকিৎসা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি, পরিবেশের ভারসাম্য ও জ্বালানি সঙ্কটের সমাধানসহ অসংখ্য কাজে এআই সহায়ক হতে পারে। তবে হারারির মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপজ্জনক, কারণ এখন মানব জাতির ভাষার ওপর এখন দখল রয়েছে। যার অর্থ এখন সভ্যতার মূল অপারেটিং সিস্টেম এর দখলে, যার ফলে এটি এখন সভ্যতাকে ‘হ্যাক কিংবা ম্যানিপুলেট’ করতে সক্ষম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কেমন হবে সেই পৃথিবী যেখানকার গল্প, সাহিত্য, ছবি, আইন আর নীতিমালার বেশির ভাগই হবে অমানবের তৈরি? মানবসভ্যতা কীভাবে এর সাথে খাপ খাওয়াবে?’ তার মতে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুরো মানব সংস্কৃতিকেই ‘খেয়ে’ ফেলবে। আমরা, মানুষেরা গত কয়েক হাজার বছর ধরে যা কিছু সৃষ্টি করেছি, তার সব কিছু ‘হজম’ করে একের পর এক নতুন সাংস্কৃতিক কনটেন্ট উৎপাদন শুরু করবে এআই।

এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, সোনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান একটি ইভেন্ট। এতে সব মানবশিল্পীদের পরাস্ত করে পুরস্কার জিতে নিয়েছে এআইয়ের তৈরি ছবি। এআইয়ের তৈরি সেই ছবি জমা দিয়েছিলেন জার্মান শিল্পী বরিস এলডাগসেন। তিনি পরে ঘটনা ফাঁস করে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু প্রমাণ হয়ে যায়, মানুষকে ছাড়িয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। চিত্রশিল্পীরাও এই এআই টুলগুলোর বিরুদ্ধে তাদের তৈরি ছবি ‘গ্রাস করার’ অভিযোগ করেছেন, মামলাও করেছেন। তারা দাবি করেন, ব্যবহারকারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী এআই টুলগুলো যে জটিল চিত্রকর্ম তৈরি করে দেয়, সেগুলো তৈরির জন্য এই এআইগুলো ইন্টারনেটে বিদ্যমান বিলিয়ন বিলিয়ন ছবির সাহায্য নেয়। এই ইন্টারনেটের ছবিগুলোর অনেক শিল্পীই তাদের কাজ ব্যবহার করার অনুমতি দেননি, তাদের ছবি ব্যবহারের জন্য কপিরাইট আইন অনুযায়ী তারা কোনো অর্থও পান না।

নোয়াহ হারারি বলছেন, ‘আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, আমাদের দৈনন্দিন জীবন একসময় পুরো এআইনির্ভর হয়ে উঠবে। আমরা যদি সেই চরম বিশৃঙ্খলার জন্য অপেক্ষা করি, তাহলে সেই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে ফিরে আসার জন্য আমাদের অনেক দেরি হয়ে যাবে।’

জিটিপি-৪-এর নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেছেন গুরুত্বপূর্ণ কথা। এআইয়ের সাথে মানিয়ে নিতে সমাজের আরো সময় লেগে যাবে। কীভাবে মানুষ এগুলো ব্যবহার করতে চাচ্ছে, কীভাবে এআইয়ের সাথে সমাজ মানিয়ে নিচ্ছে, পরিবর্তিত হচ্ছে, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো বুঝতে আমাদের বেশ সময় লাগবে।

তিনি আরো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চ্যাটজিপিটি বা জিপিটি-৪-এর বিপজ্জনক ব্যবহার প্রতিরোধ করার জন্য তারা একটি কাজ করেছেন। ‘কীভাবে এক ডলার দিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ খুন করা যাবে’ এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর না দেয়ার ব্যবস্থা তারা চালু করেছেন। কিন্তু অন্য এআই নির্মাতারা এমন নীতি অনুসরণ করছেন না। হারারি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনই সময় এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে কাজ করা, যার প্রথম ধাপ হলো ঊনবিংশ শতাব্দীর ছাঁচে তৈরি সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে এআই যুগের উপযোগী করে ঢেলে সাজানো। আমাদেরকে এআইয়ের ওপর প্রভুত্ব করা শিখতে হবে তারা আমাদের ওপর প্রভুত্ব করার আগেই।’

আমাদের মনে আছে, ২০১৯ সালে ওপেনএআইয়ের গবেষণা দল জিপিটি-টু নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করে, যেটি মাত্র কয়েক অনুচ্ছেদের একটি অর্থবহ টেক্সট লিখতে পারত। এ ছাড়া এই সফটওয়্যার সুনির্দিষ্ট নির্দেশ ছাড়া কোনো কিছু পড়ে মোটামুটি তা বুঝতে পারত, কিছুটা বিশ্লেষণ করতে পারত। ওপেনএআই এটি সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করেনি। তাদের আশঙ্কা ছিল, লোকে এটি ব্যবহার করে খারাপ উদ্দেশ্য ব্যাপক হারে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার চালাবে। তখন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ওপেনএআইয়ের গবেষক দল বলেছিল, ‘এটি খুবি বেশি বিপজ্জনক’। এখন তারা যে জিপিটি-৪ তৈরি করেছে সেটি মহাশক্তিশালী। এটি মানুষের কোন কাজটি করতে জানে না সেটিই ভাবার বিষয়। বলা যায়, যন্ত্রও এখন সৃষ্টিশীল এক অস্তিত্ব।

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এক সম্মেলনে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্বের প্রযুক্তি খাতের নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও নির্বাহীরা। সেখানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সম্ভাবনা ও সক্ষমতা।

সেখানে হোয়াইট হাউজের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নীতিবিষয়ক দফতরের পরিচালক আরতি প্রভাকর বলেন, ‘আমরা এক অসম্ভব শক্তিশালী প্রযুক্তির আবির্ভাব দেখছি। এটি সংক্রমণের পর্যায় মাত্র। ইতিহাসে সব সময় দেখা গেছে, এ ধরনের শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তি ভালো ও মন্দ- উভয় কাজেই ব্যবহৃত হয়।’ লন্ডনেও সম্প্রতি বড় ধরনের সম্মেলন হলো এ বিষয়ে। এসব সম্মেলনে এআই ব্যবহারের নৈতিক দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
পরমাণু বোমা নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানের অভিশপ্ত আবিষ্কার। এটি নিমেষে শহর নগর ধ্বংস করতে পারে, চোখের পলকে কেড়ে নিতে পারে লাখো মানুষ ও প্রাণীর জীবন। এটির প্রয়োগ নৈতিকতার কোনো মানদণ্ডেই পড়ে না। তবু তা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এটি সব মানুষের ওপর একসাথে পড়বে না। বিশ্ববাসী এখনো এতটা অমানুষ হয়নি যে, সব পরমাণু বোমার বোতাম একবারে দাবিয়ে দেবে। কিন্তু এআই দিয়ে সেটি সম্ভব। অনলাইনে সব মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাবে এআই। বিশ্বের সমস্ত শিক্ষার্থী, লেখক, গবেষক, বিজ্ঞানী, সব পেশাজীবী এই প্রযুক্তি নিজের মতো ব্যবহার করতে পারবে।

তেমন হলে কী ঘটতে পারে? সেটির ইঙ্গিত এরই মধ্যে স্পষ্ট। শিক্ষার্থীরা জিপিটি ব্যবহার করে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট লিখে ফেলছে। পড়ালেখা করার দরকার হচ্ছে না। গবেষকরা জিপিটিকে সহকারী দেখিয়ে তাদের গবেষণাপত্র লিখেছেন। বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করার দরকার হয়নি। লেখক অনায়াসে লিখে ফেলছেন গল্প, উপন্যাস, নাটক। এ পরিস্থিতি যদি মাত্র এক দশকও চলে তাহলে পৃথিবীর জ্ঞান ও মনন চর্চার অবস্থা কী দাঁড়াবে? স্কুলে অশিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি হবে যারা নিজ নিজ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। এই অশিক্ষিত প্রজন্ম শেষ পর্যন্ত রোবটের ওপর দায়িত্ব দিতে বাধ্য হবে। কারণ দেশ পরিচালনার জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা তাদের নেই। ঘটনা যেদিকে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তার সাথে এ অবস্থা মেলে। জাপানের শীর্ষ ধনী টেলিকম কোম্পানি সফট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসাওসি সন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আজ থেকে ৩০ বছর পর বিশ্বে স্মার্ট রোবটের সংখ্যা হবে ১০ বিলিয়ন। এসব রোবট গণহারে মানুষের কাজ দখল করে নেবে। যত শিল্প মানুষ গড়ে তুলেছে, সবই নতুন করে পুনর্বিন্যস্ত হবে।’ আর তা হবে রোবট-চালিত।

উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণের নতুন নিয়ম-কানুন তৈরি করছে, যাতে তারা পড়ালেখা করতে বাধ্য হয়। বিশ্বের সেরা গবেষণা পত্রিকাগুলো গবেষকদের জন্য নতুন নির্দেশনা তৈরি করছে যাতে গবেষকরা বিন্দুমাত্র ফাঁকি দেয়ার সুযোগ না পান। তবে বাস্তবতা এই, কোনো গবেষক এআইয়ের সহায়তা নিয়ে কাজটি করলেও তা ধরার মতো প্রযুক্তিগত উপকরণ মানুষের হাতে নেই।
কিন্তু আমাদের কী অবস্থা হবে? আমরা তো কোনো আলোচনাই করছি না। না সামাজিক পরিমণ্ডলে, না নীতিনির্ধারণী স্তরে। আমাদের জন্য ভাবার লোক কোথায়?

e-mail: [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement