২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভাইরাসের নাম কি দুর্ভিক্ষ!

- ছবি : সংগৃহীত

উদ্যোক্তারা। বণিক সমিতিগুলোর শীর্ষ নেতারা এবং গার্মেন্ট ও বস্ত্র খাতের শিল্প মালিকরা সমস্যা সঙ্কটে জেরবার হয়ে এখন এক আধটু মুখ খুলতে শুরু করেছেন। মিডিয়ায় সেসব খবর আসছে। খবরের শিরোনাম লেখা হচ্ছে, ‘প্রয়োজনে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রাখব’, ‘অসহায় উপদেষ্টা, ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন’, ‘বিটিএমএর সংবাদ সম্মেলন, ৯০ শতাংশ বস্ত্রকল গ্যাস সঙ্কটে’, ‘বিটিএমএ সভাপতির দাবি, গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কটে ৬০% বস্ত্রকল ঝুঁকিতে’। এ সব মাত্র একটি প্রধান দৈনিকের সাম্প্রতিক কয়েক দিনের খবরের শিরোনাম। দেশের প্রধান সব দৈনিকেও একই রকম খবর আসছে। খবরের মাঝখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে একটু বড় টাইপে প্রধানমন্ত্রীর জ¦ালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরীর বক্তব্য তুলে দেয়া হয়েছে। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, তাতে এলএনজি কেনার সিদ্ধান্তে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আগামী ছয় মাসে রিজার্ভ বাড়ারও সম্ভাবনা নেই।’

ওই বাক্যটির আগের অংশে তিনি বলেন, ‘স্পট মার্কেটে দাম অনেক বেশি। এটা কিনতে ছয় মাসে অন্তত ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার লাগতে পারে। কিন্তু’... এসব দেখে শুনে তাই কোনো পাঠকের জানতে বাকি নেই যে, দেশের পা পড়েছে একটা বড় গাড্ডায়। তারা বুঝতে পারছেন, দেশে সত্যিই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং সেটি এতটা গভীর যে, এ মুহূর্তে সমাধানের কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না।

যে খবরে জ্বালানি উপদেষ্টাকে ‘অসহায়’ বলা হলো, সেটি গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর এক পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভা সম্পর্কিত। শিল্প খাতে জ্বালানি সঙ্কটের প্রভাব হ্রাস বিষয়ে ওই আলোচনার আয়োজক ছিল শিল্প ও বণিক সমিতি বিসিআই। এ অনুষ্ঠানে জ্বালানি উপদেষ্টার কিছু বক্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে তাকে অসহায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে মনে হয়। কিন্তু অসহায়ত্বের কোনো ছাপ তার মধ্যে দেখা যায়নি। ‘অসহায় উপদেষ্টা,’ শিরোনামের এই অংশটি সাংবাদিকের বিবেচনায় ঠিক থাকলেও একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে ভাবতে গেলে মোটেও যথার্থ মনে হয় না। বিষয়টা দু’ভাবে ভাবা যেতে পারে। প্রথমত, যদি এমন হতো যে, উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সরকারপ্রধানকে যা যা উপদেশ বা পরামর্শ দিয়েছেন তার কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়নি বা তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে হয়নি, তাহলে তাকে অসহায় বলা যেত। আরেক হলো, তিনি জনগণের জন্য এত ভালো ভালো সব প্রস্তাব দিলেন, প্রকল্প নিলেন কিন্তু টাকার অভাবে বা কারো বিরোধিতায় অথবা কোনো দৈব দুর্বিপাকে সব পণ্ড হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে অসহায় অবস্থায় দেখতে পেতেন। অনুষ্ঠানে পেশ করা উপদেষ্টার যেসব বক্তব্য পত্রিকার রিপোর্টে জায়গা পেয়েছে তা থেকে অসহায়ত্ব বোঝার উপায় নেই। তার মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের দুরবস্থায় নিজের দায় স্বীকারের কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি। বরং তিনি বলছেন, প্রয়োজনে সবাই দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করার শপথ নেবো। কিন্তু কোটি কোটি মানুষ সারা দিন বিদ্যুৎহীন থাকবে? কী আশ্চর্য কথা! তাহলে গত ১৪ বছরে যে লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা হলো, কুইক রেন্টাল বানিয়ে কেউ সিঙ্গাপুরের চতুর্থ শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন তার দায় কে নেবে? উপদেষ্টা যদি সত্যি অসহায় হতেন তাহলে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে থাকতেন। ৭৭ বছর বয়সে তার তো বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু তিনি অক্লান্ত। কী হবে দেশের যদি তিনি বসে যান!

উল্লেখিত অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেছেন বিভিন্ন খাতে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে শিল্প খাতে বাড়ানোর কথা। বলেছেন, আমরা অঙ্ক করে দেখেছি, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে সরবরাহ কমানোর খাত হিসেবে বিদ্যুৎ খাত হবে উত্তম জায়গা। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে বাসাবাড়ির মানুষ না হয় ঘরে বসে তাল পাখার বাতাস খেলো, অফিস আদালত কি চলবে? কারখানা চলবে? হাসপাতাল, ক্লিনিক? বাজার ঘাট শপিংমল? শুধু গ্যাসচালিত কারখানা চালু রাখবেন, বিদ্যুৎ চালিত কারখানা বসে থাকবে? এটা কেমন সমাধান বোঝা মুশকিল। ব্যবসায়ীরা তাকে ধরেছিলেন সুনির্দিষ্ট সমাধানের আশ্বাস পাবার জন্য। তবে এ দেশের ব্যবসায়ীরা বাহ্যত মনে হয় খুব ভদ্র। না হলে হয়তো তারা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলতেন, হয়তো দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানাতেন। কোনো অগ্রসরমান দেশ হলে তা-ই ঘটত। ঘটতই বা বলি কী করে। সারা দিন বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না, এমন শপথ নেবার প্রস্তাব দেওয়ার আগে অন্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশের মন্ত্রী উপদেষ্টার তো স্বপদে থাকারই কথা না। হয় নিজে পদত্যাগ করতেন অথবা তাকে সরিয়ে দেয়া হতো। অর্থনীতিতে সামান্য ভুলনীতি গ্রহণে যুক্তরাজ্যে মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। গত ১৪ বছরের জ্বালানিনীতি যে ভুল পথে পরিচালিত সেটি সব বিশেষজ্ঞ একবাক্যে বলছেন।

আমাদের ব্যবসায়ীরা ভালো বলে তাদের বক্তব্য সীমিত আছে সরকারের কাছে আবদার অনুরোধ পর্যায়ে। সরকারকে তারা পরামর্শও দিচ্ছেন সঙ্কটের সমাধান করতে না পারলেও কীভাবে খানিকটা সহনীয় করা যায়। যেমন কিছু ব্যবসায়ী বলছেন, বাসাবাড়ি, সার কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস কমানো হলে শিল্প উৎপাদন কমবে। এরই মধ্যে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চিনির দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। এরপর অন্যান্য পণ্যেরও দাম দ্বিগুণ হবে। সার কারখানায় গ্যাস না দিলে সামনের বছর কৃষিতে ধস নামবে। ফসল মার খাবে। খাদ্য নিরাপত্তা এমনিতে নাজুক। ধান-গম সংগ্রহের সরকারি কার্যক্রম তেমন সুফল দেয়নি। রিজার্ভে ভাটার টানে খাদ্য আমদানিও আটকে যাবে। বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা না জ্বললে হাহাকার শুরু হবে। মানুষের হাতে এমন অর্থ নেই যা দিয়ে প্রতিদিন হোটেলে খেতে পারবে। লাকড়ি বা কোরোসিনের চুলা জ্বালিয়ে প্রতি বেলার রান্না করার মতো সঙ্গতি ক’জনের আছে সন্দেহ। ব্যবসায়ীরা এটা জানেন না বা বোঝেন না এমন মনে করার কারণ নেই। তবু তারা সেই পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য বলতে চাই তারা যথার্থই ভদ্র, সভ্যভব্য মানুষ। সেই সঙ্গে নিরীহও। না হলে, অন্তত নিজেদের ব্যবসায় বাণিজ্য সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে সত্যিকারের দরকারি পরামর্শটা দিতেন বা দাবি জানাতেন। সত্যিকারের দরকারি পরামর্শ কী? আমাদের বিবেচনায়, আজকের এ বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভবের পেছনে মূল কারণ সুশাসনের নামনিশানা মুছে ফেলা। সমাজে, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে, নির্বাচনে, অর্থনৈতিক খাতের প্রতিটি উপখাতে গত ১৪ বছরে সুশাসন বলে কিছু ছিল না। চুরি, লুটপাট, আত্মসাৎ, ঋণখেলাপির ধারা এতদূর পর্যন্ত পৌঁছে যায় যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকেনি। এখন রিজার্ভের এমনই দশা যে, কোনো একটি ব্যাংকও প্রতিদিনের আমদানির জন্য এলসি খুলতে চায় না। ডলারের হাহাকার। পথেঘাটে মানুষের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসছে। বলাবলি হচ্ছে শ্রীলঙ্কার দেউলিয়াত্বের প্রসঙ্গ। এখন সব শেষ একটিই উদ্ধারের সম্ভাবনা আছে। সেটি হলো আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া। সাড়ে ৪৫০ কোটি ডলার পাওয়ার একটি সম্ভাবনা আছে বলে। তবে এজন্যে কিছু শর্ত মানতে হবে।

ঋণ দেয়ার আগে চলতি মাসে আইএমএফের দল ঢাকায় এলে শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। শর্তের মধ্যে থাকতে পারে রাজস্ব প্রশাসনের আধুনিকায়ন, রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম গতিশীল করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কর আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো, ব্যাংক খাতে সুশাসন ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা। এ ছাড়া ভর্তুকি ও প্রণোদনা কমানোর শর্তও দিতে পারে সংস্থাটি। খেয়াল করলে বোঝা যাবে, প্রায় সব শর্তই মূলত সুশাসনের অনুষঙ্গ। সেই সুশাসনের বিষয়ে যদি সরকারের কোনো আন্তরিক অঙ্গীকার থাকত তাহলে পরিস্থিতি আজকের পর্যায়ে আসত না।

বিষয়টি একটু ভিন্নভাবে বলেছেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি প্রথম আলো পত্রিকাকে বলেন, ‘আইএমএফ যেসব শর্ত দেবে বলে শোনা যাচ্ছে, সেগুলো এমনিতেই সরকারের করা উচিত। শর্তগুলো পূরণে সরকার কতটা আন্তরিক হবে, সেটা বরং বড় প্রশ্ন।’ তার এই বক্তব্যের মধ্যে ভিন্ন একটি কথা প্রচ্ছন্নভাবে আছে, যেটা মুখে বলেননি। সেটি হলো, এতদিন সরকার আন্তরিক ছিল না বলে এই বড় প্রশ্নটা সামনে আসে।

অর্থনীতির এবং প্রশাসনের ভেতরের অবস্থার যারা খোঁজখবর রাখেন তাদের ভাষ্য, আইএমএফের সম্ভাব্য যেসব শর্তের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো পূরণ করার মতো প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি বা দক্ষতা সরকারি অবকাঠোমোর নেই। কর-জিডিপি অনুপাত এখনো ৮ শতাংশই ছাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এ হার রাতারাতি উন্নীত করে ফেলতে হবে এমন চাপ আইএমএফ দেবে বলে মনে হয় না। তবে এ বিষয়ে কীভাবে কত সময়ের মধ্যে উন্নতি করা যাবে তার একটা সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার রূপরেখা চাইতে পারে সংস্থাটি। সরকার এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা এর মধ্যে তৈরিও করেছে বলে জানা যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উল্লেখিত শর্ত ছাড়াও আইএমএফ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার হিসাবপ্রক্রিয়া ঠিক করতে বলবে। এটি তারা বেশ কয়েক মাস আগে বলেছে। সে সময় আইএমএফ এটাও বলেছিল যে, বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ যেটা সরকার উল্লেখ করে সেটি ঠিক নয়। রিজার্ভ গত বছরের আগস্টে চার হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছিল। তা থেকে কমে এখন তিন হাজার ৬০০ কোটি ডলারে নেমেছে। আবার রিজার্ভ থেকে পায়রা বন্দরসহ একাধিক খাতে দেয়া হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। সেই অর্থ রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দিতে বলে আইএমএফ। কিন্তু সরকার তা এতদিন মানতে চায়নি। আদতে আইএমএফের হিসাবে বাংলাদেশের এখন ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

এ অর্থ দিয়ে সর্বোচ্চ চার মাসের আমদানি ব্যয় হয়তো টেনেটুনে মেটানো যাবে। এ চার মাসের মধ্যে আইএমএফের সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। পাওয়া গেলে হয়তো দুঃসময়ে ব্যয় কাটছাঁট করে আরো দু’মাস চলতে পারে। তাহলে আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারের পর অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সেটাই মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন। অনেকে জানতে চান, তাহলে সরকারপ্রধান যে, বারবার দুর্ভিক্ষের সতর্কতা জানাচ্ছেন সেটাই ভবিতব্য? আমরা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নই। তবে রোগীর শরীরের লক্ষণ ও ভাবগতিক যেরকম আভাস দিচ্ছে তাতে ভাইরাসটির নাম দুর্ভিক্ষ হলেও অবাক হওয়ার কারণ থাকবে কি?

ই-মেইল : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
পেশাদার ও দক্ষ বাংলাদেশী নিয়োগের আগ্রহী লিবিয়া কুড়িগ্রামে সূর্য উঁকি দিলেও মিলছে না উষ্ণতা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পিকআপ-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত বাশারকে আশ্রয় দিলেও সব সম্পদ জব্দ করেছে রাশিয়া মণিপুরে হু হু করে ঢুকছে মিয়ানমারের পাচার হওয়া অস্ত্র! রিজওয়ানের নেতৃত্বে ইতিহাস পাকিস্তানের, ঘরের মাঠে ‘প্রথমবার’ চুনকাম দ. আফ্রিকা আজ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হবেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাত : টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ নিজের বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ পড়েছিলেন বাইডেন! আড়ি পাতায় যুক্তরাষ্ট্রে দোষী সাব্যস্ত পেগাসাস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সব ম্যাচ দুবাইয়ে

সকল