পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদ
- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
- ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৪৭
সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় বিশেষত বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আবার দানা বেঁধে উঠছে। আন্দোলনকারীদের প্রচারিত ভিডিওতে বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণীকে গহিন অরণ্যে শারীরিক এবং একই বর্ণ ও ডিজাইনের সামরিক পোশাকে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে। সেখানে একে-৪৭ রাইফেল, পিস্তল ও কাটা বন্দুক চালানো, বোমা (আইইডি) তৈরি ও চোরাগোপ্তা হামলার কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সংগঠনটি নিজেদের মতো করে মানচিত্র বানিয়েছে, পতাকা তৈরি করেছে। তারা আলাদা রাজ্য বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাহাড়ের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর নারী-পুরুষের সমন্বয়ে প্রশিক্ষিত বাহিনী গড়ে তুলছে। জুম্ম জাতীয়তাবাদী নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) গঠিত জনসংহতি সমিতি ভেঙে কয়েকটি দলের জন্ম হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যে সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এর নাম ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পাহাড়ে অপেক্ষাকৃত নতুন সংগঠন। বম জাতিগোষ্ঠীর একটি অংশের উদ্যোগে এটি গঠিত হলেও তাদের দাবি, তারা ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে। রুমা উপজেলার এডেন পাড়ার নাথান লনচেও বম এ সংগঠনের প্রধান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের স্নাতক। ছাত্রজীবনে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাথে যুক্ত ছিলেন। নিজ এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামে একটি বেসরকারি সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন (প্রথম আলো, ১২ অক্টোবর-২০২২)।
কেএনএফ সংগঠনের নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম- এ উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি করার পর এরা আলোচনায় আসে। তাদের দাবি, তারা বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি- এ ছয় জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে। কেএনএফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা একাধিক বিবৃতিতে জানায়, কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে একটি সশস্ত্র দল গঠন করেছে তারা। তাদের দাবি, তাদের সামরিক শাখার শতাধিক সদস্য গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে পাড়ি জমান বছর তিনেক আগে। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। চলতি বছর তারা আত্মগোপনে যায়। এদিকে প্রশিক্ষণশিবির লক্ষ্য করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান শুরুর পর কেএনএফের একটি ফেসবুক পেজে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘ফিয়াংপাদুং পাড়ার পাশে আমাদের হেডকোয়ার্টারে কোনোভাবে যদি আক্রমণের চেষ্টা চালানো হয়, তবে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে এক-দুই মিনিটের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে’ (প্রথম আলো, ১২ অক্টোবর-২০২২)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কেএনএফের তৎপরতা সম্পর্কে আমরা সতর্ক রয়েছি। কেএনএফসহ আরো কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। এরা সবসময়ই আমাদের সীমান্ত এলাকায় একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে প্রয়াস চালাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতে রয়েছে। যখন যা প্রয়োজন, আমাদের পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা আমাদের এলাকায় থাকতে দিচ্ছি না, তাদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসীদের ধরতে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। তাদের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কেএনএফের প্রধান নেতা নাথান বমসহ সদস্যরা এখন আত্মগোপনে।
ইতোমধ্যে কেএনএফ তাদের ঘোষিত রাজ্যের মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্বাংশের রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক উপত্যকা বাঘাইছড়ি থেকে শুরু করে বরকল, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি এবং বান্দরবানের উপকণ্ঠ থেকে চিম্বুক পাহাড় হয়ে রুমা, থানছি, লামা ও আলীকদমসহ ৯টি উপজেলা রাখা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ তিন জনজাতি চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের পরিত্যক্ত করা হয়েছে কথিত এ রাজ্যে। রাখা হয়েছে বম, খিয়াং, পাংখুয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোদের। সংখ্যার দিক দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের পরে রয়েছে ম্রো জনগোষ্ঠী।
১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ম্রোদের মোট জনসংখ্যা ২২ হাজার ১৭৮ জন। বম জনসংখ্যা ছয় হাজার ৯৭৮ জন। ম্রোদের দাবি, তাদের প্রকৃত সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। বমরাও একই রকম দাবি করে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম, ৩০ জুন-২০২২)। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান বলেন, ‘ইতিহাস আর নৃতত্ত্বের জটিল বিতর্কে যাওয়ার দরকার নেই। তবে সাদা চোখে দেখতে পাচ্ছি, একটি স্বার্থান্বেষী মহল, পাহাড়ে যারা শান্তি চায় না, পাহাড় অশান্ত হলে যাদের লাভ হয়, তারাই একেক সময় একেক পার্টির জন্ম দেয়।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজি মো: মজিবুর রহমান গত ১৭ অক্টোবর রাঙ্গামাটিতে প্রদত্ত দৈনিক নয়া দিগন্তের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শুধু কেএনএফ নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কটি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন আছে তারা সবাই এ ভূখণ্ডকে আলাদা রাষ্ট্র তথা জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। এরা দেশের শত্রু। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য বরাবরই হুমকি। এগুলোর পেছনে মূলত দায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান সন্তু লারমা। তিনি শান্তিচুক্তি করলেও প্রধান দু’টি শর্তই মানেননি। অস্ত্র জমা না দিলে তো শান্তিচুক্তি আর বাস্তবায়ন হয় না। তার কারণে বিভিন্ন গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্রুপ এখন দেশরক্ষা বাহিনী, বিজিবিসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এগুলো কঠোরভাবে দমন করা না হলে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’
এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) মো: আবদুর রশীদ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। তবে প্রভাব সৃষ্টির ক্ষেত্রে সংগঠনের ভিত্তি এবং সদস্যসংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রাথমিকভাবে যেটি দেখা যাচ্ছে- সদস্যসংখ্যার বিবেচনায় কেএনএফ তেমন বড় বা শক্তিশালী কোনো সংগঠন নয়। এ মুহূর্তে তাদের সদস্যসংখ্যা কম। তবে অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাথে জোটবদ্ধ হলে সেটি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্থানীয় জনগণকে আনুগত্যে বাধ্য করতে পারে। তবে আপাতত সামগ্রিকভাবে এটি তাদের অপচেষ্টা।’ তিনি বলেন, ‘কেএনএফ মিয়ানমার থেকে এখন কিছুটা সমর্থন তারা পেতে পারে। সেটি সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়েও হতে পারে। তারা যেহেতু সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাই আমাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে বাংলাদেশের মাটিতে তারা শক্ত ঘাঁটি গড়তে না পারে’ (সময়ের আলো, ১৬ অক্টোবর-২০২২)।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ১২ অক্টোবর সমতল এলাকা থেকে পাহাড়ি অঞ্চলে আসা উগ্রবাদীদের শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তরের কথা বলে যে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছিল র্যাবের পক্ষ থেকে, সে সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখনো কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণ করেনি বলে জানা গেছে। স্থানীয় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্রবাদী সেখানে রয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর র্যাবের পক্ষ থেকে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ার পর কেউ আত্মসমর্পণ না করায় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সীমান্ত এলাকায় শিপ্পী পাহাড়, রনিন পাড়া, সাইজাম পাড়াসহ কেউক্রাডং পাহাড়ের আশপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক অভিযান চলছে। র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো একটি পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনের সাথে উগ্রবাদী সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে। তবে এ জন্য কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল যাচ্ছে। সম্প্রতি অভিযানে এসব এলাকায় এদের কয়েকটি আস্তানা গোলাবর্ষণ করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাঙ্গামাটি বান্দরবান সীমান্ত এলাকায় যৌথবাহিনীর চিরুনি অভিযান চলছে। এ অভিযানে পাহাড়ের চারটি সেনা রিজিওনের আওতায় সহস্রাধিক সেনাসদস্য অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও অভিযান পরিচালনা করছে (নয়া দিগন্ত, ১৮ অক্টোবর-২০২২)।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেনাসদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখায় তৎপর রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আঞ্চলিক দলগুলো হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তিন পার্বত্য জেলার সর্বত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দিয়ে কোনো ধরনের ব্যবসায় পরিচালনা অসম্ভব। একাধিক গ্রুপ চাঁদা সংগ্রহ করে থাকে। চা ও পানের দোকানদারও বাধ্যতামূলকভাবে মাসিক চাঁদা দিতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকায় চলছে সন্ত্রাসীদের সরকার। আওয়ামী লীগ নেতা এবং রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, ‘চুক্তির পক্ষের জনসংহতি সমিতিই দুই ভাগ হয়েছে। তাদের কেউ কেউ চুক্তি বিরোধীদের সাথেও হাত মেলাচ্ছে। ফলে তারা সবাই যে এখন স্বার্থ, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে মূল কাজ হিসেবে নিয়েছে। সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।’
পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ভ‚খণ্ড পাহাড় ও উপত্যকায় পূর্ণ। এখানে ১৬ লাখ মানুষের বসবাস। এ অঞ্চল বাংলাদেশের মোট ভ‚খণ্ডের ১০ শতাংশ হলেও এখানে বাস করে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ। বাসিন্দাদের প্রায় অর্ধেক ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য। বাকি প্রায় ৫৩ শতাংশ বাঙালি। বমসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বেশির ভাগ সদস্য ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান। পার্বত্য এলাকার সাথে মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত থাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দেশীয় খ্রিষ্টান এনজিও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের ধর্মান্তরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
মিজোরামের এনজিওর সাথেও তাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। তারা এখন স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীন রাষ্ট্রের আন্দোলন করছে। এটি রীতিমতো উৎকণ্ঠার বিষয়। ইউনিসেফ ও ইউএনডিপি পার্বত্যাঞ্চলে অগ্রাধিকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তাদের কার্যক্রম বাইরে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট হলেও তারা মিশনারি কর্মকাণ্ডকে প্রমোট করে থাকে। ইতোমধ্যে বিপুল মানুষ খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছে। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদান একইভাবে খ্রিষ্টান রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। সামরিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এখনই নির্মূল করা না গেলে সামনে পরিস্থিতি আরো কঠিন হতে পারে। এটি বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা