২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শিক্ষা শিক্ষাঙ্গন শিক্ষকতা ও ছাত্ররাজনীতি

শিক্ষা শিক্ষাঙ্গন শিক্ষকতা ও ছাত্ররাজনীতি - ফাইল ছবি

বিচারপতি সাহাবুদ্দীন তখন রাষ্ট্রপতি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল। আওয়ামী লীগের শাসনকাল। তাদের ভালো কাজের নমুনা কম। বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে গ্রহণ করা আওয়ামী লীগের ভালো কাজের একটি। যদিও তার শেষ ভালো হয়নি। সাহাবুদ্দীন সাহেব প্রকৃতপক্ষেই জাতির অভিভাবক হিসেবে কাজ করছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আপনি আমার মাথার উপরে ছায়া হয়ে থাকবেন’। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সভা-সমিতি, আলোচনা ও পর্যালোচনা কম হয়নি। যারা সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসেন তারা প্রস্তাবটি সমর্থন করেছিলেন।

ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিরোধীপক্ষ রাজি হলে তিনিও রাজি’। তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তাবটির অনুরূপ জবাব দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, ক্ষমতাসীন দল যদি রাজি হয় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। বিষয়টি নিঃসন্দেহে ছিল সংবেদনশীল। এ দেশে ক্ষমতার ঝুঁকি নিতে কেউ রাজি নন। উভয় নেত্রী না করলেন না। আবার পাছে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়। সে কারণে উভয়েই বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন। এ উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্যরা সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে কথা বলছিলেন। তাদের বক্তৃতায় করতালি পড়ছিল না। আমি সেমিনারে বলেছিলাম, মানুষের চেতনাটাই দু’রকম। একটি সচেতন অবস্থায় মানুষ যখন কথা বলে তখন হিসাব-নিকাশ করে বলে। আবার যখন ব্যক্তি অবচেতন মনে কথা বলে তখন আসল কথাটি প্রকাশ পায়।

ওই সেমিনারে যারা সতত স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলছিলেন তাদের বক্তব্য ছিল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। তারা পাচ্ছিলেন বিপুল করতালি। অবশ্য এটি সঠিক যে, কোনো কোনো সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যিই কঠিন। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মতো যারা ক্ষমতার ঊর্ধ্বে দেশকে ভালোবাসেন তাদের পক্ষে সুকঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া অসম্ভব কিছু নয়।

আমার মনে পড়ে, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএসএস একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করেছিল। সেখানে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ছাত্রনেতারাও সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। রাজনীতিবিদ ও ছাত্রনেতারা কোনো মতেই নিষিদ্ধের পক্ষে গেলেন না। বেশ কিছু আমলা ও আমার মতো নির্বোধ কিছু শিক্ষক ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ বিপদ সম্পর্কে সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন। কেউ হারানোর ঝুঁকি নিতে চায়নি। বিশেষত আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতাপাগল পার্টি। সুতরাং রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীনের উত্তম প্রস্তাবটি সেখানেই সমাহিত হয়ে যায়।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আর তেমন উচ্চবাচ্য হয়নি। কিন্তু যারা দেশকে ভালোবাসেন তরুণ প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন তারা মনেপ্রাণে বিষয়টি নিয়ে সরব-নীরব ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের পরে দেশে বিরাজনীতিকরণ লক্ষ করা যায়। সব কিছুর জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দায়ী করা হতে থাকে। ছাত্ররাজনীতির সর্বনাশা বিষয়টি আড়ালে-আবডালে বেশ জোরেশোরেই আলোচিত হতে থাকে। দেশের অধোগতির জন্য, সন্ত্রাসের জন্য ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য ছাত্ররাজনীতিকে চিহ্নিত করা হয়।

ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ছাত্রসমাজ তথা ছাত্ররাজনীতির প্রতি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের অসহনীয় মনোভাব লক্ষ করা যায়। ভাবখানা এই যে, যেকোনো সময় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে। তবে এ নিয়ে অন্তঃবিরোধও কম ছিল না। ফখরুদ্দীন ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক। আর মইনুদ্দীন ছিলেন দলনিরপেক্ষ ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ। তা ছাড়া ফখরুদ্দীন কেবিনেটের বেশির ভাগ সদস্যই ছিলেন ফখরুদ্দীনের সমগোত্রীয়। সুতরাং মইনুদ্দীন গং চাইলেও ফখরুদ্দীন গং রাজি ছিল না। এসব চিন্তাভাবনার মধ্যেই ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তুলকালাম কাণ্ড। ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনের ফল এতটাই তীব্রতা অর্জন করে যে, অবশেষে কারফিউ দিয়ে শেষ রক্ষা করা হয়। সেবারে সেনাবাহিনী ভালো একটি শিক্ষা পায়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের মতো দুঃস্বপ্ন তারা আর দেখেনি। তবে যখন তারা পিপলস অর্ডার-১৯৭২ সংস্কার করে ও তৎপরবর্তী আদেশ ইত্যাদি তৈরি করে তখন তারা রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে ছাত্রদের ব্যবহার বাতিল করে।

বলা হয়ে থাকে, ১৯৭৭ সালে যখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোকে বৈধতা দান করেন তখন সেখানে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে ছাত্ররাজনীতির স্বীকৃতি ছিল। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে গোটা জাতিকে কর্মে উদ্বেলিত করতে চেয়েছেন সেভাবে হয়তো ছাত্রদের সংশ্লিষ্ট করতে চেয়েছেন। তবে এটি নিঃসন্দেহ যে, সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল না।

জিয়াউর রহমান তার কর্মপরিকল্পনায় যুবকদের সংশ্লিষ্ট করতে চেয়েছিলেন। যুব-কমপ্লেক্স সুনামের পরিবর্তে দুর্নাম কুড়িয়েছিল। এভাবেই সৎ আকাক্সক্ষার নেতৃত্ব ব্যর্থ হয় বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মতো অথবা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো। সে যাই হোক, ছাত্ররাজনীতির গতিপথ আর সঠিকভাবে এগোয়নি। ছাত্ররাজনীতি আগের সেই ঐতিহ্য ফিরে পায়নি। বরং ওয়ান-ইলেভেনের বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাত্ররাজনীতি ফুলে ফলে সুশোভিত করেছে। এখন তা গোটা জাতির জন্য বিষবৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে এক ছাত্রের হাতে একজন শিক্ষকের নির্মম মৃত্যু ও অন্যত্র এক অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানো নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। নাগরিক সাধারণ বিচলিত হয়েছেন। তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন। প্রতিবাদ করেছেন। বিদ্বজ্জনরা আর্থ-সামাজিক কারণ উদ্ঘাটনে চেষ্টা করেছেন।

ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যতটা দেখা যায়- তারা রাজনৈতিক কারণের চেয়ে নৈতিক ও পারিপার্শ্বিক কারণকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আমি বলছি না যে, তাদের কথায় সারবত্তা নেই। আমি মনে করি, এই নৈতিক শক্তির বিপর্যয়ের জন্য সারা দেশে সামগ্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতিই দায়ী। তার কারণ যে রাজনীতি মানুষকে মহৎ করে, নৈতিক করে- সে রাজনীতি আজ আর শিক্ষাঙ্গনে নেই। তার পরিবর্তে ক্ষমতানির্ভর একদল নিকৃষ্ট দুর্বৃত্তের সৃষ্টি হয়েছে।

অনেক আগে থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে। শিক্ষাঙ্গনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আইন-কানুনকে তুচ্ছ করে তাদের সোনার ছেলেদের দুর্বৃত্তে পরিণত করেছে। দেশে এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাকি নেই যে, সেখানে ছাত্রত্ব বাদে আর সব কিছুই ঘটছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অপরাধের কেন্দ্রভ‚মিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে তাদের অপরাধের প্রকাশ ঘটছে গণমাধ্যমে। সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে তারা ঠিকাদারদের থেকে প্রকাশ্যে নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা গ্রহণ করছে। এমনকি একজন ভাইস চ্যান্সেলরও তাদের চাঁদার দাবি থেকে রেহাই পাননি। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে মুখরক্ষার জন্য ওই শীর্ষ দুই ব্যক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলেও সেখানে মৌলিক কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়নি। ভাবতেও অবাক লাগে, একজন ছাত্রনেতা যখন শত কোটি টাকা পাচারের জন্য অভিযুক্ত হন তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, তাদের চাঁদার সর্বাত্মক অবস্থা কেমন। তাদের চাঁদা না দিয়ে কোনো নিয়োগ হয় না। বড় কর্তারা তাদের সাথে ভাগাভাগি করেই রাজত্ব করেন। কোনো অপরাধে তাদের শাস্তি হয় না।

রাশেদ খান মেনন যথার্থই বলেছেন, ওই ছাত্রটি জেনেছে যে, ওই শিক্ষককে মেরে ফেললেও তার কিছু হবে না। ইতঃপূর্বে নারায়ণগঞ্জে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক প্রধান শিক্ষক। একজন অধ্যক্ষকে পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছে সোনার ছেলেরা। নকল ধরার অপরাধে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে শিক্ষককে। শুধু তাই নয়, সারা দেশে যে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে তার বড় অংশীদার সোনার ছেলেরা।

সিলেটের একটি ঘটনায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন যে, মেয়েটিকে সহায়তা করতে কেউ এগিয়ে এলো না কেন? উত্তরটি ক্ষমতা। তারই প্রদত্ত ক্ষমতায় মদমত্ত এরা দুরাচারী হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস ভস্মীভূত হয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত ধর্ষণের ঘটনাবলি পড়লে দেখা যাবে, কোনো না কোনোভাবে সোনার ছেলেদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কতটা অসহায় হলে রাস্তায় নামেন সেটি সহজেই অনুমেয়। তাদের অপকর্মের ইতিহাস লিখলে মহাকাব্য হয়ে যাবে। এমনিতেই সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার যে সর্বনাশ ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ এখন তা আকারে প্রকারে বীভৎস আকার ধারণ করেছে।

গত সপ্তাহের দু’টি ঘটনায় সোনার ছেলেদের প্রত্যক্ষ কোনো ভ‚মিকা নেই এ কথা সত্য। তবে এই পারিপার্শ্বিকতা ও দুঃসাহস ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে পরিপুষ্ট। যারা অন্যায় করেছে তারা ক্ষমতাসীন উচ্চমহলের লোক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার লেবাস দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কিন্তু সেই সাম্প্রদায়িকতাও শাসকদলের লালন পালনে এরকম কুৎসিত রূপ ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো মহল বিষয়টিকে বিরোধী দল বিশেষত ইসলামী দলগুলোর ঘাড়ে তুলে দিতে সচেষ্ট। কিন্তু ধর্ম বা নৈতিকতাসম্পন্ন কোনো লোকই জুতার মালা গলায় পরানোর মতো হীন কাজ করতে পারে না। এখন তাদের সৃষ্ট সিন্দাবাদের ভূত তাদেরই ঘাড় মটকাচ্ছে। অনর্থকভাবে, অযৌক্তিকভাবে বা অন্য আদর্শকে দায়ী করা হবে অন্যায়।

একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এর পেছনে আছে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ এবং তা শাসকদলের স্বার্থের পরিপূরক। স্মরণ করা যেতে পারে, ইসলাম পরমতসহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়। একের অপরাধের জন্য অন্যকে দায়ী করা বা অপদস্থ করা ইসলামসম্মত নয়। এটি সত্য কথা যে, এসব ঘটনার জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সমাজ প্রকারান্তরে দায়ী। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে যে রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে উদ্ভূত ঘটনা তা ক্ষমতাশ্রয়ী। মূলত আমাদের সবারই প্রতিবাদে উচ্চকিত হতে হবে এসব নোংরা ও নিষ্ঠুর রাজনৈতিক আবর্ত থেকে।

এখন সময় এসেছে ছাত্ররাজনীতির এই সামগ্রিক ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে মুক্তির। অতীতে ছাত্ররাজনীতির যে গৌরবময় অধ্যায় ছিল তা আজ পতিত ও শুধুই অতীত। ঔপনিবেশিক আমলে ছাত্ররাজনীতির যে প্রয়োজন ছিল মুক্তির লক্ষ্যে- তা আজ আর প্রযোজ্য নয়। সরকার, সিভিল সোসাইটি, বিশেষ করে রাজনীতিকদের ছাত্ররাজনীতির বর্তমান কলুষিত অবস্থান নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে প্রস্তাবনা বিচারপতি সাহাবুদ্দীন উত্থাপন করেছিলেন তা আবার আমাদের ভাবতে হবে। আমার সুস্পষ্ট প্রস্তাব হচ্ছে- রাজনৈতিক দলের সরাসরি অঙ্গসংগঠন হিসেবে ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটানো। তবে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। একজন শিক্ষার্থী জাতির ভবিষ্যৎ।

সুতরাং সব দিক বিবেচনা করে একটি ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা অবশ্যই প্রয়োজন।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement