১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর নীতি ও চীন

-

আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্র চলতি মাসে তার বহুলালোচিত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর নীতি কৌশল প্রকাশ করেছে। এই অঞ্চলকে আমেরিকান বাইডেন প্রশাসন এবং একই সাথে দেশটির গভীর ক্ষমতা বলয় কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে সেটি অনুমান করা যায় এটি পাঠ করলে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই নীতি অনুযায়ী বৈশ্বিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে চীনকে। আর এই নীতি কৌশলে ভারতকে বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অংশীদার ও নেতা। অকাস কোয়াড আসিয়ান জোটকে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের আধিপত্যবিরোধী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সদ্য ঘোষিত এই আমেরিকান কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরে ইন্দো-প্যাসিফিককে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। আমেরিকার এই সম্পর্ক দুই শতাব্দী আগে তৈরি হয়, যখন আমেরিকানরা বাণিজ্যিক সুযোগের সন্ধানে এই অঞ্চলে আসে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ান অভিবাসীদের আগমনের সাথে সাথে এই গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পায়।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৫৮ শতাংশ যুবকসহ বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস। বৈশ্বিক জিডিপির ৬০ শতাংশ আর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ২/৩ শতাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। আমেরিকানদের দৈনন্দিন সমৃদ্ধি নানাভাবে ইন্দো-প্যাসিফিকের সাথে যুক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর এই অঞ্চলের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য ২০২০ সালে মোট ১.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল এবং পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি ইন্দো-প্যাসিফিক চাকরিকে এটি সমর্থন করে। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই অঞ্চলে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ৯৬৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যা গত দশকে এটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বোমা বর্ষণের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দেয় যে দেশটি কেবল এশিয়ায় থাকলেই নিরাপদ হতে পারে। আর তাই বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুগে, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডের সাথে জোটবদ্ধতার চুক্তির মাধ্যমে এই অঞ্চলের সাথে সম্পর্ককে দৃঢ় এবং নিরাপত্তার এমন ভিত্তি স্থাপন করে যা আঞ্চলিক গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের প্রধান সংস্থাগুলোকে সমর্থন করার ফলে এই সম্পর্কগুলো প্রসারিত হয়। ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং মানবাধিকার থেকে শুরু করে ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মাবলি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতি পালন করে।

নতুন কৌশলে দ্বিদলীয় ঐক্য!
ঘোষিত নীতিতে সময়ের সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক ভূমিকার কৌশলগত প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়। স্নায়ুযুদ্ধের শেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করার ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করে এবং উপলব্ধি করে যে এই অঞ্চলের কৌশলগত যে মূল্য রয়েছে তা ২১ শতকে আরো বৃদ্ধি পাবে। তারপর থেকে রিপাবলিকান ডেমোক্র্যাট উভয় রাজনৈতিক দলের প্রশাসন এই অঞ্চলের প্রতি সাধারণ অঙ্গীকার শেয়ার করে। জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন এশিয়ার ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব উপলব্ধি করে চীন, জাপান ও ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকে। ওবামা প্রশাসন এশিয়ার আমেরিকান অগ্রাধিকারকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করে, সেখানে নতুন কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সম্পদ বিনিয়োগ করে। ট্রাম্প প্রশাসনও ইন্দো-প্যাসিফিককে বিশ্বের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান এবং প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন উত্তর-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও ওশেনিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ এই অঞ্চলের প্রতিটি কোণে ফোকাস করবে। এটি এমন এক সময়ে করা হচ্ছে যখন ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র ও অংশীদার এই অঞ্চলের দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের নিজস্ব দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বাইডেন প্রশাসন মনে করছে, দ্রুত পরিবর্তিত কৌশলগত ল্যান্ডস্কেপে, আমেরিকান স্বার্থ শুধু তখনই অগ্রসর হতে পারে যদি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢভাবে নোঙর করে এবং নিকটতম মিত্র ও অংশীদারদের সাথে নিয়ে এই অঞ্চলকে শক্তিশালী করতে পারে।

প্রধান লক্ষ্য চীনকে ঠেকানো
কৌশলপত্র অনুযায়ী, এই আমেরিকান তীব্রতর ফোকাসের কারণ হলো, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা বিশেষ করে চীন থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া। চীন ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রভাবের ক্ষেত্র বিস্তার করছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শক্তি হয়ে উঠতে তার অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তিকে একত্রিত করছে। চীনের জবরদস্তি এবং আগ্রাসন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকলেও এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র। অস্ট্রেলিয়ায় অর্থনৈতিক জবরদস্তি থেকে শুরু করে ভারতের সাথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সঙ্ঘাত, তাইওয়ানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশীদের উৎপীড়ন এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর জন্য এই অঞ্চলে আমেরিকান মিত্র এবং অংশীদারদের অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে। প্রভাব বিস্তারের প্রক্রিয়ায় চীন মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনকেও ক্ষুণ্ণ করছে, যার মধ্যে ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য।

আমেরিকান কৌশলপত্রে বলা হয়, আমাদের উদ্দেশ্য চীনকে পরিবর্তন করা নয়; বরং কৌশলগত এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে বিশ্বে প্রভাবের একটি ভারসাম্য তৈরি হয়, যা যুক্তরাষ্ট্র, এর মিত্র এবং অংশীদারদের জন্য সর্বাধিক অনুকূল হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চীনের সাথে দায়িত্বের সাথে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রে দেশটির সাথে সহযোগিতা করবে বলেও উল্লেখ করা হয় আমেরিকান নীতিতে।

কৌশলপত্রে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা মুক্ত এবং খোলামেলা, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ এবং অন্যায্যতা প্রতিরোধী। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি নিজস্ব ভূমিকাকেও শক্তিশালী করবে। এটি একা সম্পন্ন করা যাবে না, এ জন্য কৌশলগত ও ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জগুলোর পরিবর্তনের জন্য যারা এই দৃষ্টিভঙ্গির অংশীদার তাদের সাথে অভূতপূর্ব সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। কৌশলপত্রের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অনেক অংশ এশিয়াকে খুব সংকীর্ণভাবে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে দেখেছে। এখন, ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলো আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার প্রকৃতিকে সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করছে। জাপানের মতো যুক্তরাষ্ট্রও বিশ্বাস করে যে একটি সফল ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অবশ্যই স্বাধীনতা এবং উন্মুক্ততাকে এগিয়ে নিতে হবে। এই ইতিবাচক আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী ভারতকে সমর্থন করে। অস্ট্রেলিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় এবং জোরপূর্বক ক্ষমতার অনুশীলন প্রত্যাখ্যান করে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তার পক্ষে অবস্থান নেয়া। আসিয়ানের মতো, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক স্থাপত্যের কেন্দ্র হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দেখে। নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের মতো, আমেরিকা আঞ্চলিক নিয়মভিত্তিক আদেশে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে চায়। ফ্রান্সের মতো যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জন্য ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক ভূমিকার কৌশলগত মূল্য স্বীকার করে। ইইউ তার ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার কৌশলে যে পদ্ধতির ঘোষণা করেছে, আমেরিকান কৌশল হবে সে রকম নীতিগত, দীর্ঘমেয়াদি এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিস্থাপকতায় নোঙর করা।

বহুত্ববাদ গণতন্ত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতাকে সমর্থন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাঁচটি উদ্দেশ্য অনুসরণ করবে বলে কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয় যার মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মিত্র এবং অংশীদারের পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একযোগে কাজ করা। একটি মুক্ত এবং খোলামেলা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর নিশ্চিত করা। এই অঞ্চলের অভ্যন্তরে এবং এর বাইরে সংযোগ তৈরি করে আঞ্চলিক সমৃদ্ধি বাড়ানো। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বিধান করা এবং ট্রান্সন্যাশনাল হুমকির জন্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা তৈরি করা।

আমেরিকান কৌশলপত্রে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ এবং নিকটতম অংশীদারদের একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রয়োজন, যেখানে সরকারগুলো তাদের নিজস্ব সার্বভৌম পছন্দ বাছাই করতে পারে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতার সাথে যা হয় সামঞ্জস্যপূর্ণ; আর যেখানে সমুদ্র, আকাশ এবং অন্যান্য ভাগ করা ডোমেনগুলো আইনিভাবে পরিচালিত হয়। এ কারণে এই অঞ্চলে উন্মুক্ত সমাজকে সমর্থন করার জন্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সরকারগুলো যাতে স্বাধীন রাজনৈতিক পছন্দ বেছে নিতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, মুক্ত গণমাধ্যম ও একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজে প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করবে।

এ লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করবে এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে সমর্থন করবে আর বহুত্ববাদী ও স্বাধীন মিডিয়া আর তথ্য জালিয়াতির হুমকি মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়িয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। দুর্নীতি দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৌশলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুর্নীতি উন্মোচন এবং সংস্কার চালনার জন্য আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নত করার চেষ্টা করবে। কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, বিদেশী সহায়তা এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সাথে কাজের মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন এবং জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার অংশীদার হবে। একই সাথে অর্থনৈতিক জবরদস্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অংশীদারদের সাথে কাজ করবে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্র মিত্র ও অংশীদারদের সমর্থন ও ক্ষমতায়ন করবে যাতে তারা নিজেরাই আঞ্চলিক নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে এবং নমনীয় গ্রুপিংগুলোতে কাজ করবে যা সময়ের সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য বিশেষ করে কোয়াডের মাধ্যমে সম্মিলিত শক্তিকে একত্রিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, জটিল ও বিকাশমান প্রযুক্তি, অবকাঠামো, সাইবার, শিক্ষা এবং পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের বিষয়ে কোয়াড সহযোগিতা জোরদার করবে।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি বিষয়কে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলগত উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে অগ্রসর করা যা আরো সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিস্থাপক হবে। এ জন্য কৌশলগত উপায় হবে, মার্কিন ভূমিকাকে শক্তিশালী করা এবং মিত্র ও অংশীদার ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সম্মিলিত ক্ষমতা তৈরি করা। এর কৌশলগত অর্থ হবে, আধুনিক জোট; নমনীয় অংশীদারিত্ব, যার মধ্যে একটি ক্ষমতাবান আসিয়ান, একটি নেতৃস্থানীয় ভারত, একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য কোয়াড এবং একটি সক্রিয় ইউরোপ তৈরি হবে।

অংশীদারদের প্রতি সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মধ্যে নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক, উন্নয়ন এবং বিদেশী-সহায়তা সংস্থান; মার্কিন সরকারের সব স্তরে এই অঞ্চলের প্রতি টেকসই ফোকাস এবং প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অংশীদারদের পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একবিংশ শতাব্দীর জন্য একটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক কাঠামো ও একটি বহুপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে সামনে রাখবে। এই অর্থনৈতিক কাঠামো অর্থনীতিকে ডিজিটাল অর্থনীতিসহ দ্রুত প্রযুক্তিগত রূপান্তরকে কাজে লাগাতে এবং আসন্ন শক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারদের সাথে এমনভাবে কাজ করবে যাতে প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় প্রান্তের নাগরিকরা এই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সুফল পেতে পারে, একীকরণকে আরো গভীর করে তুলে। যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের জন্য এমন নতুন পদ্ধতির বিকাশ করবে যা উচ্চ শ্রম এবং পরিবেশগত মান পূরণ করে এবং ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ক্রস-বর্ডার ডেটা প্রবাহকে মুক্ত নীতি অনুসারে পরিচালনা করবে, যার মধ্যে একটি নতুন ডিজিটাল অর্থনীতি কাঠামোর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কৌশলপত্র অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিত্র এবং অংশীদারদের পাশাপাশি, যেকোনো ফর্ম বা ডোমেনে আগ্রাসনকে পরাস্ত করতে যুদ্ধের ডোমেইন এবং সঙ্ঘাতের স্পেকট্রাম জুড়ে প্রচেষ্টাকে আরো সংহত করবে। যুক্তরাষ্ট্র এমন উদ্যোগ নেবে যা প্রতিরোধকে শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক সীমানা পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা বা সমুদ্রে সার্বভৌম দেশগুলোর অধিকার ক্ষুণ্ণ করার মতো জবরদস্তির মোকাবেলা করবে। মার্কিন সামরিক বাহিনী মহাকাশ, সাইবারস্পেস এবং জটিল এবং উদীয়মান-প্রযুক্তি ক্ষেত্রসহ দ্রুত বিকশিত হুমকির পরিবেশে যাতে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনের ওপর ফোকাস নতুন করে জোরদার করবে। একই সাথে অপারেশনের নতুন ধারণার বিকাশ করবে, আরো স্থিতিস্থাপক কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ তৈরি করবে, যৌথ অনুশীলন ও অপারেশনগুলোর সুযোগ তৈরি করবে যা মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে এগিয়ে যাওয়ার এবং আরো নমনীয়ভাবে পরিচালনা করার ব্যাপারে আমেরিকান ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।

কৌশলপত্র অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপিন্সের সাথে জোটবদ্ধতা এগিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র; ভারতের সাথে ওয়াশিংটনের প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে স্থিরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নেট নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে এর ভূমিকাকে সমর্থন করবে। একই সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে অংশীদারদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করবে।

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অঞ্চলের অভ্যন্তর এবং বাইরের অংশীদারদের সাথে কাজ করবে। যাতে তাইওয়ানের আত্মরক্ষার ক্ষমতা জোরদার হয় এবং এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত হয় যেখানে তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছা ও সর্বোত্তম স্বার্থ অনুসারে শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু নির্ধারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এবং এর বাইরে মিত্র এবং অংশীদারদের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্ক গড়ে তুলবে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটিগুলোকে সংযুক্ত করার নতুন সুযোগ বের করা হবে। প্রতিরক্ষা সরবরাহ চেইনকে একীভূত করা হবে এবং সহ-উৎপাদন কাঠামো তৈরি করা হবে।

অকাস কোয়াডে গুরুত্ব প্রদান
কৌশলপত্রে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র অকাস অংশীদারিত্বসহ অভিনব উপায়ে ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সমন্বিত করবে। উত্তর কোরিয়া অস্থিতিশীল পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিকাশ অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও এর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলায় গুরুতর এবং টেকসই আলোচনা চালিয়ে যাবে। একই সাথে, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সাথে সমন্বয় জোরদার করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের প্রতিউত্তর কোরিয়ার যেকোনো উসকানি ও আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশেষভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে নতুন দূতাবাস এবং কনসুলেট খুলবে এবং জলবায়ু, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, এবং উন্নয়ন কাজকে তীব্র করে বিদ্যমান দ্বীপপুঞ্জে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে। দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি ও সহযোগিতা প্রসারিত করবে। যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালের গোড়ার দিকে একটি নতুন অংশীদারিত্ব চালু করবে যা উচ্চমানের বাণিজ্য সহজতর করবে, ডিজিটাল অর্থনীতি পরিচালনা করবে, সরবরাহ-চেইন স্থিতিস্থাপকতা ও নিরাপত্তা উন্নত করবে, স্বচ্ছ, উচ্চমানের অবকাঠামোতে বিনিয়োগকে অনুঘটক করবে এবং ডিজিটাল সংযোগ তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে মিত্র ও অংশীদারদের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন রোধ করবে এবং নতুন সক্ষমতা, অপারেশনের ধারণা, সামরিক কার্যকলাপ, প্রতিরক্ষা শিল্প উদ্যোগ এবং আরো অনেক কিছুর বিকাশের মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রসার করবে।

অকাস অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভিতে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলোকে দ্রুততম সময়ে অর্জনযোগ্য তারিখে সরবরাহ করার সর্বোত্তম পথ চিহ্নিত করবে; উপরন্তু, সাইবার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং সমুদ্রের তলদেশে সক্ষমতাসহ উন্নত ক্ষমতার ওপর কাজের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির মাধ্যমে সহযোগিতাকে আরো গভীর করবে এবং আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়াবে।

দক্ষিণ এশিয়ার নেতা হবে ভারত?
আমেরিকান কৌশলপত্রে বলা হয়, এমন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হবে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত একসাথে কাজ করবে আর আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা উন্নীত করবে; স্বাস্থ্য, মহাশূন্য ও সাইবার স্পেস; অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা গভীরতর করার মতো নতুন ডোমেনে সহযোগিতা বাড়াবে। একই সাথে একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য কাজ করবে।

কৌশলপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভারত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে সমমনা এক অংশীদার ও নেতা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সক্রিয় ও সংযুক্ত, কোয়াড ও অন্যান্য আঞ্চলিক ফোরামের একটি চালিকা শক্তি আর আঞ্চলিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি ইঞ্জিন। যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান আঞ্চলিক গোষ্ঠী হিসেবে কোয়াডকে শক্তিশালী করবে এবং এটি নিশ্চিত করবে যে, এটি ইন্দো-প্যাসিফিকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সমর্থন করবে। কোভিড-১৯-এর প্রতিক্রিয়া এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোয়াড একটি নেতৃস্থানীয় আঞ্চলিক ভূমিকা পালন করবে, এই অঞ্চলে এবং বিশ্বকে অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য বিনিয়োগ করবে। কোয়াড একটি সবুজ শিপিং নেটওয়ার্ক তৈরি করবে এবং সামুদ্রিক ডোমেন সচেতনতা ও জলবায়ু প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে স্যাটেলাইট ডেটা ভাগ করে নেয়ার সমন্বয় করবে। এর সদস্যরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে উচ্চমানের অবকাঠামো প্রদানে সহযোগিতা করবে এবং তাদের সাইবার ক্ষমতা উন্নত করতে কাজ করবে। কোয়াড ফেলোশিপ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২ সালে চালু হবে। কোয়াডের শীর্ষ ও মন্ত্রী পর্যায়ে নিয়মিত সম্মেলন হবে। শক্তিশালী ও একীভূত আসিয়ান সমর্থন ভারতের ক্রমাগত উত্থান ও আঞ্চলিক নেতৃত্বকে শক্তিশালী করবে। যুক্তরাষ্ট্র একটি ত্রিপক্ষীয় প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক কৌশলগুলিকে সমন্বয় করবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্মায় গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখবে, মিত্র ও অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে বার্মার সামরিক বাহিনীকে গণতন্ত্রে ফিরে আসার জন্য চাপ দেবে। যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ ও বিশ্বস্ত ডিজিটাল অবকাঠামো, বিশেষ করে ক্লাউড এবং টেলিযোগাযোগ বিক্রেতা বৈচিত্র্যকে উন্নীত করবে।

আমেরিকান মূল্যায়ন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি সময়ে প্রবেশ করেছে যাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র বেশি সংশ্লিষ্ট হবে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাবশ্যক স্বার্থ যেমন আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনি সেগুলো রক্ষা করা আরো কঠিন হয়ে উঠেছে; ক্ষমতার রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক হুমকি মোকাবেলার মধ্যে বেছে নেয়ার বিলাসিতা থাকবে না; কূটনীতি, নিরাপত্তা, অর্থনীতি, জলবায়ু, মহামারী প্রতিক্রিয়া এবং প্রযুক্তি বিষয়ে আমাদের নেতৃত্বের দায়িত্ব বাড়বে।

ইন্দো-প্যাসিফিকের ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র কী পছন্দ করে তার ওপর। এই নির্ণায়ক দশক নির্ধারণ করবে যে, এই অঞ্চলটি জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলা করতে পারে কি না এবং সিদ্ধান্ত নেবে যে উন্মুক্ততা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তির নীতিগুলোকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না। অংশীদারদের সাথে যদি যুক্তরাষ্ট্র ২১ শতকের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য এই অঞ্চলটিকে শক্তিশালী করতে পারে এবং এর সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে ইন্দো-প্যাসিফিক সমৃদ্ধ হবে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বকেও শক্তিশালী করবে।

কৌশলপত্রের অনুসিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘আমরা যখন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি এবং ঐতিহাসিক বাধা দূর করে এমন একটি সিদ্ধান্তমূলক দশকে প্রবেশ করছি, তখন এই অঞ্চলে আমেরিকান ভূমিকা অবশ্যই আরো বেশি কার্যকর এবং স্থায়ী হতে হবে।’

[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
রিজার্ভের শর্ত শিথিল করল আইএমএফ ‘জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের ওপর টার্গেট কিলিং চালাচ্ছে আ’লীগ’ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা নতুন করে তদন্তের অভিমত হাইকোর্টের হামজা চৌধুরী এখন বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার বিএনপির আ.লীগের নির্বাচন নিয়ে বদিউল আলমের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধীদের চলতি বছর পোল্ট্রি ব্রিডার শিল্পে ক্ষতি ৭৫০ কোটি টাকা কর ছাড় নিয়ে আদানির শর্ত লঙ্ঘন, চুক্তি পর্যালোচনা করতে চায় বাংলাদেশ হজ প্যাকেজের বাকি টাকা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে দেশ গঠনে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে : তারেক রহমান পুতিন যেকোনো সময় ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে প্রস্তুত

সকল