এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার!
- সৈয়দ আবদাল আহমদ
- ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ২০:১৮
সুখবরের চরম ঘাটতি। কোথাও আশার আলো নেই। খবরের কাগজে তাকালে মন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। দুঃসংবাদ আর দুঃসংবাদ। শনিবারের কাগজের শিরোনাম- ‘আবার বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’। ‘হাসপাতালে এক সপ্তাহে করোনার রোগী বেড়েছে ৬২ শতাংশ’। ‘সড়কে এক বছরে মৃত্যু বেড়েছে ৩০ শতাংশ’। সড়ক দুর্ঘটনায় শুক্রবার মাতুয়াইলে মা-বাবা ও নানাকে হারিয়েছে ছোট্ট মেয়ে সাকিরা। ‘আহত সাকিরা সুস্থ হলেও মা-বাবার ছায়া ছাড়াই বড় হতে হবে’।
রোববারের কাগজের শিরোনাম- শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণ-আমরণ অনশনের কর্মসূচি দিয়েছেন। ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে- এটাই দাবি। অন্য দিকে, ভিসির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরা। তারা বলছেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে জোর করে পদত্যাগ করালে তারাও একসাথে পদত্যাগ করবেন। আরেকটি খবরে বলা হয়েছে- নির্বাচনের নামে প্রহসন করা আর ঠিক হবে না। আগামী নির্বাচনটি করতে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার করতে হবে, ইভিএমে এ নির্বাচন করা ঠিক হবে না। এতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে। সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নির্বাচনে মেরুদণ্ডহীন লোককে ক্ষমতা দিলে কাজ হবে না। আবার ব্যর্থ অনুসন্ধান কমিটির ব্যবস্থা, বিচার বিভাগের কাঁধের ওপর বন্দুক রেখে শিকারের প্রবণতা এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়মুক্তি জাতির হতাশার কারণ হবে। আমরা অনেক কিছুই পারিনি। একটি গ্রহণযোগ্য শাসন ব্যবস্থা, জনগণের ভোটে জনগণের জন্য সরকার, সম্পদের পর্বতপ্রমাণ বৈষম্য দূরীকরণ, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি।
এ ধরনের হতাশার খবরই প্রতিদিনই পড়তে হচ্ছে। মন ভালো থাকার তো কথা নয়।
সঙ্গীতশিল্পী জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের একটি গান, ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার’। এসব হতাশার খবরের মাঝে করোনা মহামারীর নতুন থাবা, অ্যান্টিবায়েটিক নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এবং ধূলিদূষণের ঢাকায় নতুন খবর গানটির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
নিষ্ঠুর মহামারীর থাবা
করোনাভাইরাস মহামারী বিশ্বব্যাপী এক নিষ্ঠুর মহামারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ নিষ্ঠুর মহামারীর আমরা তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছি। মহামারীতে নথিভুক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬১০ জন (২৩ জানুয়ারি-২০২২ পর্যন্ত)। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা এক কোটি ৯০ লাখের কম নয়। কারণ, অনেক দেশ প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করেছে। করোনা সংক্রমণের শিকার নথিভুক্ত মানুষের সংখ্যা একই সময়ে ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৯ জন। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি।
বর্তমানে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০ লাখ রোগী শনাক্ত হচ্ছে বলে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যে দেখা গেছে। ২১ জানুয়ারি থেকে আগের সাতদিন বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৫৩ জনের। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৮ হাজার ৯৩ জন। ওমিক্রনের প্রভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিবেশী ভারতে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, ২১ জানুয়ারি ভারতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্য ছিল সাড়ে তিন লাখ, যা বিগত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে করোনার সংক্রমণ কমে ১ শতাংশের ঘরে চলে এসেছিল। সেই সংক্রমণ এখন ৩১.২৯ (গত রোববারের পরিসংখ্যান) শতাংশে পৌঁছেছে। এ জন্য সরকার নতুন করে পাঁচ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। স্কুল-কলেজ ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে খোলা রাখা না রাখার বিষয়ে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হওয়ার কথা ছিল বাংলা একাডেমির একুশের বইমেলা। সেই মেলা দুই সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের শুরুর দিকেই। মার্চ ২০২০ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৮ মাস বন্ধ ছিল। আবার তা বন্ধ করা হলো। টিকার আওতায় এখনো সবাইকে আনা যায়নি। এখনো অর্ধেক জনগোষ্ঠী দুই ডোজ টিকা পায়নি।
বাংলাদেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ এখনো সেভাবে হচ্ছে না। তবে যারা আক্রান্ত হচ্ছে বেশির ভাগেই ডেল্টা ধরনে। ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ধরনের মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বেশি। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মানুষ অন্ধকার দেখছে। যদিও টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে এবং বলা হচ্ছে- ফাইজার ও মডার্নার বুস্টার ডোজ খুব কার্যকর, তবু মানুষ ভরসা পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি আশার কথা শুনিয়েছেন, ওমিক্রন ধরনটির মধ্য দিয়েই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর পর্ব শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এ আশার বাণীতেও মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ তাদের চোখের সামনে বিপদের পর বিপদই আসছে। কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিপদ।
গোপন মহামারী এএমআর!
করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে যখন এত দুশ্চিন্তা ও শঙ্কা, ঠিক এ সময়ে বিবিসির এক খবরে জানা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করায় ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ায় এক বছরে ১২ লাখ মানুষের প্রাণ গেছে।
এইডস কিংবা ম্যালেরিয়াতে প্রতি বছর যত সংখ্যক মানুষ মারা যায়, এই সংখ্যা তার দ্বিগুণ। দরিদ্র দেশগুলোতে এর সংক্রমণ পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের উদ্যোগে বিশ্বের ২০৪টি দেশে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টান্ট (এএমআর) বিষয়ে গবেষণটি হয়। ব্রিটিনের স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে একে ‘গোপন মহামারী’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এএমআরের কারণে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ওপর এই গবেষণার ফল স্বাস্থ্য-বিষয়ক প্রখ্যাত সাময়িকী ল্যানসেটে ছাপা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১৯ সালে এএমআরের কারণে ১২ লাখ লোক মারা গেছে। আরো ৫০ লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছে এর সাথে সম্পর্কিত নানা অসুখে। অথচ একই বছর এইডস রোগে মারা গেছে আট লাখ ৬০ হাজার এবং ম্যালেরিয়ায় মারা যায় ছয় লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এএমআরে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় নিউমোনিয়ার মতো লোয়ার রেসপিরেটরি সংক্রমণ এবং রক্তের সংক্রমণকে, যেখানে থেকে পরে সেপসিস হয়।
এমআরএসএ (মেথিসিলিন রেজিস্টান্ট স্টেফাইলোকক্কাস অরিউস) ব্যাকটেরিয়াকে এ গবেষণায় বিশেষভাবে প্রাণঘাতী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষণার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট সবার স্বাস্থ্যের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এর থেকে রক্ষা পেতে হলে ওষুধ নিয়ে গবেষণায় বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে বাজারে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে তা প্রয়োগে বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে। ছোটখাটো অসুখে নির্বিচার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ হচ্ছে। এর ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা অনেকখানি কমে যাচ্ছে। এমআরএসএ বা ‘মেথিসিলিন রেজিস্ট্যান্ট স্টেফাইলোকক্কাস অরিউস’ ব্যাকটেরিয়াসহ ‘ইকোলাই’ এবং আরো কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করেছে। গবেষণা দলের সদস্য ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক ক্রিস মারে বিবিসিকে জানান, এই গবেষণায় উঠে এসেছে, সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব কমে এসেছে।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের চলমান এক গবেষণায়ও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে অন্তত ১৭টি কার্যক্ষমতা কমে গেছে। সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন হাবিব জানান, অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে অনেক ওষুধ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কম কার্যকর হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ ২০-৩০ বছর আগেও যে অ্যান্টেবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল, তা এখন কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। এখানে কয়েক বছর আগেও ইমিপেনাম, মেরোপেনাম গ্রুপের ড্রাগ বেশ কার্যকর ছিল। কিন্তু কোভিড মহামারীতে এ গ্রুপের ড্রাগ অতিরিক্ত পরিমাণে দিয়ে এর কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে এমন জীবাণুর উপস্থিতিও পাওয়া যাচ্ছে না সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। অর্থাৎ কোনো অ্যান্টিবায়েটিকই কাজ দিচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে এখনো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, না হলে কোভিড মহামারীর অবসানের পর এটাই বিশ্বব্যাপী এক বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে।
ধুলাদূষিত ঢাকা!
প্রতিবেশী ভারতের রাজধানী দিল্লি বায়ুদূষণের জন্য বিশ্বব্যাপী দূষিত নগরীর খেতাব পেয়েছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রায়ই শিরোনাম হয়েছে এক নম্বর বায়ুদূষিত নগরী দিল্লি। এই সেদিন অর্থাৎ ২১ নভেম্বর ২০২১ বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে খারাপ হওয়ায় দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছিল। পরিবহন এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্পের নির্মাণকাজ, ১১টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ ও দিওয়ালি উৎসবের ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল দিল্লি। বাতাসে ক্ষুদ্র কণা পিএম ২.৫ এর মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সিজৃত। কিন্তু দিল্লির বাতাসে তা ৪০০ ছাড়িয়ে যায় যা খুবই মারাত্মক। বায়ুর গুণগত মান সূচক বা একিউআই অনুসারে বাতাসে এই কণার মাত্রা শূন্য থেকে ৫০ হলে তাকে ‘ভালো’ এবং ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সন্তোষজনক বিবেচনা করা হয়। দূষণ এত ক্ষতিকর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অনতিবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় ও দিল্লির রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।
করোনাভাইরাস মহামারী দেখা দেয়ার আগে আমাদের ঢাকাও মেট্রোরেল প্রকল্পসহ নানা কারণে বায়ুদূষণের কবলে পড়েছিল। দূষণের মাত্রা বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর, দু’নম্বর পর্যায়েও দু’-এক বার হয়েছিল। এরপর অনেকদিন আর সেই অবস্থা দেখা যায়নি। কিন্তু ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার ঢাকা বায়ুদূষণের জন্য শিরোনাম হয়েছে। ওই দিন বেলা ১১টার সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ছিল শীর্ষে। রাত ১০টা ৭ মিনিটেও ঢাকার অবস্থান একই ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ঢাকার বায়ুদূষণে ধূলির অবদান ৭৭ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. আবদুস সালাম গবেষণাটি করেন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ধূলি এমনিতেই বেশি। এরপর কয়েক বছর ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে উন্মুক্ত পরিবেশে নতুন নতুন নির্মাণযজ্ঞ এই ধূলিদূষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘আইকিউএয়ার’ শুক্রবার বায়ুদূষণে ঢাকা যে শীর্ষ নগরী তা প্রকাশ করে। ধূলির ফাইন পার্টিকল বা ক্ষুদ্রকণা শরীরের ফুসফুস, কিডনির ক্ষতি করে। ব্লাড ক্যান্সার এবং ফুসফুসজনিত রোগগুলোও বাড়িয়ে দিচ্ছে এই ধূলিদূষণ।
আমার সুন্দর একটি সকাল দেখতে চাই। যে সকালের সূর্য মিষ্টি কিরণ ছড়াবে। নির্মল হাওয়ায় আমরা প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেবো। পাখির গান আর ফুলের সৌরভ আমাদের মুগ্ধ করবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
abdal62@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা