২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বঞ্চিতদেরও করোনা থেকে নিরাপদ করতে হবে

-

নানা বিষয়ে মানুষ সুবিধা ভোগের অধিকারী হয়। তা শুধু বিশেষ কোনো দেশেই নয়, এটি বিশ্বজনীন নীতি। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিবেচনার কিছু হেরফের আর সম্পদ বণ্টনে মানবিক চেতনার অভাব হলে সেই নীতির ব্যত্যয় ঘটে। তখন একই সমাজের মানুষের একটি অংশ এসব কারণে সুবিধাবঞ্চিত হয়ে পড়ে। এই নীতিভ্রষ্টতার পরও লোকদেখানোর জন্য তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয় বটে। কিন্তু শুকনো কথায় যেমন চিঁড়া ভিজে না, তেমনি এমন সমবেদনায় বঞ্চিতদের দুঃখকষ্ট লাঘব হওয়ার কথা নয়। সমাজপতিদের পক্ষপাতিত্ব আর স্বজনপ্রীতি এবং খলনীতি অনুসৃত হয় বলে মানুষ বঞ্চনার শিকার হয়ে থাকে। বঞ্চিতরা সব সমাজেই দুর্বল বলে তাদের প্রতিবাদ প্রতিবিধানের কোনো শক্তি থাকে না। অথচ তাদের সংখ্যা কম নয়।

তবে যে দেশ বা সমাজে বাস্তবিকই সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকে, সেখানে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর আর দুর্বিষহ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বিশ্বের বর্ধিষ্ণু নানা দেশ আর আন্তর্জাতিক সব সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা পেতে চেষ্টা তদবির আর তাকিয়েই তাদের থাকতে হয়। আজ বিশ্বব্যাপী সাহায্য পাওয়ার আবেদন বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর বহু জনপদের মানুষকে দুর্বিষহ তথা অমানবিক জীবনযাপন করতে হয়।
পৃথিবীতে দারিদ্র্যক্লিষ্ট দেশের যে স্বীকৃত বৈশিষ্ট্য সে বিবেচনায় হয়তো বাংলাদেশ পড়ে না। সরকারিভাবে বলা হয় এখন স্বল্পোন্নত দেশের যে গণ্ডি তা অতিক্রম করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছার চেষ্টা চলছে। তবে সে জন্য অনেক বাধাবিপত্তি বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে হবে। সেই সাথে উন্নয়নের জন্য নানা অনুশীলন প্রশিক্ষণ আর অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে অধিকারবঞ্চিত মানুষ সম্পর্কে যে মত ও ধারণা, সে আলোকে আমাদের অনেক কিছুই বিবেচনার দাবি রাখে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ জনপদের মানুষ মানবিক কারণে এমন সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়। বিশ্ব রাজনীতির ক‚টচালের কারণে সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে যা কাজ করে। নানা স্বার্থ আর বিবেচনার নিরীক্ষে এখন বিশ্ব বিভক্ত। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন বলয়ের কোনোটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার শর্তে সাহায্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন ইস্যু তথা কার্যকারণে সেই বলয়কে সমর্থন দেয়াটা সাহায্য পাওয়ার সাথে যুক্ত রয়েছে। বিশ্বে দরিদ্র দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি হতে সংশ্লিষ্ট বলয়ের মদদ পাওয়া প্রয়োজন। সত্য কথা বলতে কী বহু সামর্থ্যবান দেশই নিঃস্বার্থভাবে কিছু করে না।

সে যাই হোক, পৃথিবীতে দারিদ্র্যক্লিষ্ট দেশের যে স্বীকৃত বৈশিষ্ট্য; এর সাথে দ্বিমত না থাকলেও বাংলাদেশে এ প্রশ্নে বিস্তর আলোচনা বিচার বিশ্লেষণ জারি রয়েছে। বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী কারা, তা নিয়ে যে প্রশাসনিক ধারণা ও ব্যাখ্যা; তার সাথে সবাই একমত নন। স্থান-কাল-ভেদে পরিস্থিতির ভিন্নতা আর জটিলতা পরিহার করতে আমরা এমন সব বিতর্ক এড়াতে চাই। আমরা দেশের সংবিধানের আলোকে এর সুষ্ঠু নিষ্পত্তির পক্ষপাতী। বাংলাদেশের সংবিধান দেশের প্রতিটি মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষা পাওয়ার অপরিহার্য শর্ত পূরণের দায়িত্ব সরকারের ওপর দিয়ে রেখেছে। সেই সাথে আরো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দেশে যে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য, তা দূর করার দায়িত্ব সরকারকে অব্যাহতভাবে পালন করতে নির্দেশনা দিয়েছে। সংবিধানের এসব স্পষ্ট নির্দেশনা সামনে রেখে বলা যায়, মানুষের যে পাঁচটি অধিকার নিশ্চিত করার কথা সংবিধানে রয়েছে তা থেকে যারা বঞ্চিত বা তার সংস্থান করতে পারছে না। বস্তুত বড় দাগে তাদেরই আমরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আওতায় ফেলতে পারি। সেই হিসেবে বাংলাদেশের এক বিরাট অংশের মানুষ সুবিধাবঞ্চিত বলে নেয়া যায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত, এক গবেষণা সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে করোনার কারণে দেশের ৫০ ভাগেরও বেশি মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে। সেই সাথে এ কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে, বেশ কিছু আগের এক পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ বেকার। এরা যে কেবল অশিক্ষিত, তাই নয়; উচ্চশিক্ষিত বহু মানুষ বেকার হয়ে আছে। যাদের দিন যাপনে রয়েছে সীমাহীন কষ্ট।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে ধরে নেয়া যায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যা এখানে ধারণার অতীত। কিন্তু ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমিয়ে আনার যে নির্দেশনা দেশের সংবিধান সরকারকে দিয়েছে; তার উদ্যোগ আয়োজনের কোনো কর্মপরিকল্পনার খবর আছে বলে আমরা শুনিনি। হাতের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় সেগুলোর কোনো সারবত্তা আছে কি না কেবল বিশেষজ্ঞরা বলতে পারেন। সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদের গবেষণা নিবন্ধের সারসংক্ষেপ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, পাচার কিংবা আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, যারা রাষ্ট্রের অর্থ ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অর্থাৎ যারা এসবের রক্ষক তাদের ভ‚মিকা কতটা রাষ্ট্রের আর কতটা অর্থ পাচারকারী, লোপাটকারী ও আত্মসাৎকারীদের পক্ষে। এভাবে যদি অর্থ গায়েব হতে থাকে তবে কিভাবে রাষ্ট্র ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ঘোচাবে। উন্নয়নের অর্থও তো জাদুমন্ত্র করে সংস্থান করা যাবে না। সুবিধাবঞ্চিতদের অধিকার-ই বা কোন উপায়ে সমাধান হবে। এ জন্য দেশের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অধীনস্থ প্রশাসনের ক্ষমতা ও আমানতদারী কতটা ভ‚তলে লুটিয়ে পড়েছে? এর কী জবাব তারা দেবেন। জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি কোনো জাদুমন্ত্রের ব্যাপার নয়। অর্থ বিনিয়োগ হলেই তা স্ফীত হবে। কিন্তু যেখানে অর্থই লোপাট হচ্ছে সেখানে বিনিয়োগ কিভাবে হতে পারে। দেশের শিল্প আর কৃষির আয় থেকেও তো জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু যে ঝুড়িতে অর্থ রাখা হবে, তা যদি ফোকলা হয়ে থাকে। তবে অর্থ বৃদ্ধির আশা কখনই করা যাবে না।
দেশে হঠাৎ করেই যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে এমনটি নয়। বঞ্চনার শিকার মানুষ আগেও হয়েছে, কিন্তু সম্পদ গড়তে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগহীনতা, পাশাপাশি এর প্রতিবিধানের যে উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা তথা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যর্থতাও কম দায়ী নয়। এসব কারণেই বঞ্চিত মানুষের হার ক্রমেই বাড়ছে।

আগে বঞ্চনার শিকার মানুষ সরকারিভাবে তেমন কোনো সহায়তা পেত না। বরং হৃদয়বান যেসব মানুষ অর্থবিত্তের অধিকারী ছিলেন তারাই বস্তুত সুবিধাবঞ্চিতদের দান খয়রাত করতেন। এতিমদের শিক্ষা-দীক্ষায় বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান তারা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আগে তারা অর্থবিত্ত রোজগারের সাথে সাথে দান-দক্ষিণা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতেন। এ দেশে প্রাচীন এমন বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো অস্তিত্ব বজায় রেখেছে, সেসব দানশীল ব্যক্তির কারণে। তাদের এই দানশীলতার অনুপ্রেরণা কেবল নাম কিনতে নয়, বরং ধর্মীয় চেতনা আর মানবিক মূল্যবোধ সঞ্জাত। মানুষের শিক্ষা-দীক্ষায় তাদের অনুভ‚তি ছিল প্রবল। সেই সাথে আজকের নীতি-নৈতিকতার সাথে তাদের ভাবনার কোনো সাযুজ্য খুঁজে আজ পাওয়া যাবে না। জনসেবা আর জনহিতকর কাজ ছিল তাদের ব্রত। পূর্বের মানুষের দানশীলতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের ধর্মীয় চেতনা আর মানবিক মূল্যবোধের কথা। আজ কেন সেই অনুপ্রেরণা হারিয়ে গেল। সেটি ভেবে দেখার কি কোনো তাগিদ আমরা বোধ করছি? নেতারা দেশকে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন বটে। কিন্তু তার মূল মন্ত্রটা কী? তা কী ভেবে দেখছেন? অতীত অনুসন্ধান করলে তার অনেকটা সুরাহা হতে পারে। আজ আমাদের সমাজে বড় অভাব বিশ্বস্ততা ন্যায়পরায়ণতা আর ধর্মীয় চেতনার। এগুলো ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করাটাই জরুরি।

আগের চেয়ে এখন অর্থবিত্তের অধিকারী মানুষের সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। তবে তাদের হৃদয়ে আগের মতো মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা সে রকম তাগিদ নেই। তাদের শখ এখন কেবলই অর্থ বাড়ানো তথা নতুন নতুন অর্থ উপার্জনকারী প্রতিষ্ঠান গড়া। এটি এ জন্য নয় যে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য কল্যাণধর্মী সুযোগ-সুবিধার আয়োজন করা হবে। এমন কোনো উদাহরণ নেই যে, তাদের দ্বারা এমন কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে; মানুষ যেখান থেকে খেদমত পাবে। তাদের কষ্ট লাঘব হচ্ছে।

দেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের যে ব্যাপকতার কথা আমরা বলেছি; তা কমিয়ে আনতে নিছক কথা বলে দায় সারা যাবে না। এ জন্য বিশিষ্টজন তথা বিশেষজ্ঞদের গবেষণা এবং তাদের প্রদত্ত সুপারিশ নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। আরেকটা কথা সবার ভেবে দেখা উচিত, এত বড় কর্মকাণ্ডকে সামাল দেয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধনবান ব্যক্তিরা দুস্থ মানুষের সহায়তায় বিস্তর কাজ করেন। তা ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও সাধ্যমতো কাজ করে থাকে। সরকারের উচিত বঞ্চিতদের সহায়তায় ধনীক শ্রেণীকে এগিয়ে আসতে উদ্বদ্ধু করা। দেশের ভাগ্য না ফিরলে তাদের উৎপাদিত পণ্যও বিকোবে না, এটি বোঝানো।
তাই সময় এসেছে, বঞ্চিতদের জন্য সুচিন্তিত নীতি প্রণয়নের। বেশ কয়েক দশক আগে ভারতে ‘গরিবি হঠাৎ’ স্লোগান চাউর হয়েছিল। আমরা জানি না তাতে কতটা গরিবি হটেছে, তা তর্কের বিষয়। তবে সেখানে দারিদ্র্যের হার যে খুব কমেছে এর কোনো প্রমাণ নেই। তাই আমাদের অনুরোধ করা প্রয়োজন, আমরা যেন এমন কিছু বলে কয়ে মানুষকে ধোঁকায় না ফেলি। এ জন্য সুচিন্তিত বোধ বিবেচনা দরকার। আমাদের সামনে উন্নয়নের যে রঙিন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেটা যেন আশার চোরাবালিতে হারিয়ে না যায়। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের এগিয়ে যাওয়ার যে মডেল রয়েছে স্থান-কালের ভেদে তার অনুসরণ আমাদের করা যাবে না। আমাদের নিজস্ব অর্থনীতিবিদ, সমাজবিশারদ ও গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের জন্য উপযোগী টেকসই মডেল রচনা করা দরকার, যা সত্যিকার অর্থে দেশের বঞ্চিত মানুষকে উপরে টেনে তুলতে পারে। আমরা জানি এটি খুব সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে দেশে এমন বহু মানুষ আছে যারা সব উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। এই অপশক্তিকে রুখতে হবে। ভুল করলে সব কিছু ভেসে যাবে।

উন্নয়নের জন্য জরুরি স্থিতিশীলতা। তা শুধু অর্জিত হতে পারে সমাজের গণতান্ত্রিক কাঠামোয়। সরকারকে ভাবতে হবে দেশটি সবার। তাই সবার জন্য জায়গা করে দিতে হবে। পরমতে যদি যুক্তি ও কল্যাণ চিন্তা থাকে তা আমলে নিতে হবে। অসহিষ্ণুতা কেবল বিদ্বেষ ছড়ায়। সমাজে শান্তি সহনশীলতা ধ্বংস দেয়।

দেশে এখন বহু এনজিওর সৃষ্টি হয়েছে যারা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা দেয়ার লক্ষ্য বর্ণনা করে বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ আনছে। কিন্তু সে অর্থের হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে কতটা স্বচ্ছতা রয়েছে, তা পরখ করার কেউ নেই। সুবিধাবঞ্চিতরা সত্যিকার অর্থে সেখান থেকে কতটা সুবিধা লাভ করছে তাও রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন হচ্ছে না। কিন্তু যে বিদেশী সংস্থা এ অর্থের জোগান দিচ্ছে তারা তো ভাবছে বাংলাদেশে তারা প্রচুর টাকা দিচ্ছে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য। কিছু এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে; তারা নিজেদের সুবিধার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের নানা সুযোগ দিয়ে থাকেন। আর কিছু এনজিও আছে যারা এখানে মানুষের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তরের মতো অপচেষ্টায় লিপ্ত। এসবের প্রতিও সরকারের নজরদারি আছে বলে মনে হয় না। আগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কেবল ব্যক্তিবিশেষের বোধ বিবেচনাই ছিল মূল চেতনা। এখন সুষ্ঠু পরিকল্পনা আর সরকারি উদ্যোগ দরকার। মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে না পারলে দেশ এগিয়ে নেয়া যাবে না।

সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে আরো একটি অমানবিক আচরণের কথা উল্লেখ করে লেখাটি শেষ করতে চাই। দেশে এখন করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। বহু মানুষ এরই মধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হার কত তা বস্তুত দূরবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে খুঁজে দেখতে হবে। কেননা সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে শিক্ষা আর প্রযুক্তি জ্ঞান একেবারে ন্যূনতম। তাই তাদের পক্ষে এসব ব্যবস্থা করে করোনার টিকা নিতে নাম তালিকাভুক্ত করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের বিষয়টি বিবেচনা করে সহজ একটা উপায় বের করা উচিত ছিল। এটিই নৈতিকতার দাবি। এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হার যে কত ব্যাপক, সেই বিরাটসংখ্যক মানুষের জীবন চরম ঝুঁকিতে রাখা কোনো বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য নয়। বিপুল জনগোষ্ঠী নিরাপদ না হলে এমন রোগবালাই থেকে কারো নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল