২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নির্বাচন এখন উপভোগ্য তামাশা

নির্বাচন এখন উপভোগ্য তামাশা - ফাইল ছবি

নোয়াখালীর স্থানীয় আওয়ামী নেতা আবদুল কাদের মির্জা নিজ দলের নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই এলাকার যারা সরকারদলীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন; নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ‘দরজা তোয়াই হাইতোনো’। এখন নির্বাচনের আয়োজন যে, একটি প্রহসন তিনি সেটিই বলেছেন। তার বক্তৃতার যে ধরন তাতে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলানোর ঝাঁজ রয়েছে। ওই সব লাগামহীন কথাবার্তার স্পিরিট নিজের বঞ্চনা থেকে সৃষ্ট হতে পারে। পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আবার সুর পরিবর্তন করে সরকারি দল ও সেই দলের নেতাদের প্রশংসা করে তিনি কথা বলেছেন।

পৌরসভার একজন মেয়রের বক্তব্য নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা সৃষ্টি করা কতটা যৌক্তিক, যেখানে তিনি নিজে তার অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যথাস্থানে স্থাপনের চেয়ে নিজের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ বা নজর কাড়ার জন্য ওই আপাত ঝড় তিনি তুলেছেন। তিনি যে সত্যিকার অর্থে ওই সব অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান চান তার কোনো প্রমাণ তিনি কিন্তু রাখেননি। তিনি যেসব অনিয়ম-দুর্নীতির কথা বলেছেন নিঃসন্দেহে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তবে একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হিসেবে দায়ী ব্যক্তি ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে তাকে দেখা গেল না।

মির্জা শুধু লিপসার্ভিস দিয়েছেন। আর ওই সব বিপ্লবী বক্তৃতা পৌরসভার মেয়র হওয়ার পথে তার জন্য কোনো প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেনি। ফেনীর পাশাপাশি নোয়াখালীর কিছু এলাকা ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ হিসেবে দুর্নাম পেয়েছে। এ জন্য দায়ী বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করেও বলেছেন। কিন্তু দেখা গেল না, তারা তার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন; অর্থাৎ সরকারের একজন ‘পছন্দের ব্যক্তি’ হিসেবে এখনো তিনি গণ্য। চট্টগ্রামের রাউজানে এবার বিএনপির মেয়র প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। কাদের মির্জার প্রতিবেশী, ফেনীতে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা যাকে খুশি তাকে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বানাচ্ছে। চতুর্থ দফা পৌর নির্বাচনে ৫৫টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র একজন মেয়র বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচিত হতে পেরেছেন। মির্জা সাহেবও বিএনপি-জামায়াতের বিপক্ষে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সন্তুষ্ট চিত্তে তিনি শপথও নিয়েছেন। সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে আজ পদে পদে যে বাধা, তার কিছুই মির্জার বিরুদ্ধে দেখা যাচ্ছে না।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে উপদলীয় বিরোধ এ ধরনের অনেক প্রতিবাদী ব্যক্তির সামনে আসতে দেখা যাচ্ছে। বিবদমান পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে বড় বড় অভিযোগ আনছেন। তাদের ভাষায়- প্রতিপক্ষ লুটপাটকারী, দুর্নীতিবাজ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিগত এবং বর্তমান মেয়রের মধ্যে গরম বক্তব্য উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল সম্প্রতি। কে কত টাকা সাধারণ মানুষের তহবিল থেকে ‘মেরে দিয়েছেন’ একে অপরের বিরুদ্ধে ওই সব অভিযোগ করছিলেন। এ নিয়ে রাজধানীতে ঝাড়– মিছিল পর্যন্ত হতে দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন বিভিন্ন মহলের মধ্য থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ করছেন, তার অর্থ আসলে কী? কেউ তো সেসব অভিযোগ নিয়ে আইনি উপায়ে সামনে এগোচ্ছেন না। কিছুটা পানি ঘোলা হওয়ার পর আবার সবাই মিশে যাচ্ছেন।

এগুলো নিয়ে বিরোধী দলের আসলে খুশি হওয়ার কিছু নেই। বরং এ ধরনের ইস্যুতে নিজেরা জড়িয়ে পড়লে সময় ক্ষেপণ হতে থাকবে। বিরোধী গোষ্ঠী যদি সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকার চায় তা হলে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদের ভাষা তৈরি ও প্রয়োগ করতে হবে। একজন কাদের মির্জা কিংবা অন্য কারো আপাত না পাওয়ায় সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া থেকে উৎফুল্ল হয়ে কোনো লাভ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলের ‘শীতনিদ্রা’র মধ্যে ওই সব বক্তব্যে মাত্র কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়। একজন পৌরসভা নেতার বক্তব্য দিয়ে বর্তমান সময়ের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ হাজির করা বিএনপির মতো দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য কতটা উপকারী? বিএনপিসহ বিরোধী দলের নিজস্ব ইস্যু থাকা প্রয়োজন। তাদের নিজেদের ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। মির্জা, খোকন, তাপস বা অন্য কোনো সরকারি দলের নেতার ক্ষোভ তাদের আন্দোলনে কাজে আসবে বলে মনে হয় না।

আমাদের নির্বাচন এখন জনসাধারণের জন্য বিনোদনের আয়োজনের মতো। তাই ভোটকেন্দ্র, ব্যালট বাক্স এসব নিয়েও আর আলোচনা নেই। বেশির ভাগ নাগরিক আর এমন প্রত্যাশা করে না যে, তারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। ভোটকেন্দ্র এখন সেসবের সাক্ষী হয়ে থাকছে। এ দিকে নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ড ‘উপভোগ্য’ হয়ে উঠছে। মানুষ সেগুলো নিয়ে বিনোদন করে ভোট বঞ্চনার ‘দুধের স্বাদ ঘোলে’ মেটাতে চাচ্ছে।

চট্টগ্রামের রাউজানে সরকারি দলের লোকেরা উপজেলা প্রশাসনের চার দিকে পাহারা বসিয়ে ছিলেন, যাতে নিজেদের প্রার্থীর বাইরে অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন। এতে তারা সফলও হয়েছেন। একজন মাত্র কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের কঠোর বেষ্টনী ভেদ করে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছিলেন। পরে তাকে সমর্থনকারী দু’জন নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। অন্য দিকে প্রার্থী নিজে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে পড়েন। অর্থাৎ ক্ষমতাসীনদের অমতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া তার জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী একজন আইনজীবীর মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়েছিলেন। সন্ত্রাসীদের তাড়া খেয়ে তিনিও প্রাণ নিয়ে বেঁচে এসেছেন। এই স্টাইলের নির্বাচন ফেনীতে আরো আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। জেলাটির বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণ আরো নিরঙ্কুশ। সেখানে কী হচ্ছে সেটি অনেক ক্ষেত্রে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ আপাত নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন বলে অনুমান হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এমন ধরনের নির্বাচনের উদাহরণ। দৃশ্যত মনে হয়েছে, সরকারি দলের সাথে বিরোধী দলের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলো চমৎকারভাবে এ নির্বাচন জমিয়ে দেয়। প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যমের ভাব এমন- দারুণ একটা নির্বাচন হতে চলেছে। উভয় দলের নির্বাচনী কার্যক্রমের একেবারে সমান কাভারেজ তারা দিয়েছেন। অনেকটাই উৎসবের মতো। তবে বাস্তব পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তা কেবল ভোটের দিন এবং তার পরবর্তীতে প্রাপ্ত ফলাফল দেখে স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে দেশের মানুষ।

চট্টগ্রামে নির্বাচনের ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেল, বিএনপি প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন ৪৯টি কেন্দ্রে মাত্র একটি করে ভোট পেয়েছেন। ১০টির কম ভোট পেয়েছেন ১৫১টি কেন্দ্রে। অথচ এগুলো নগরীর ‘বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত এলাকা’ বলে পরিচিত। ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের জয়ী হওয়া ৯ কাউন্সিলরের মধ্যে চারজন ছিলেন ওই এলাকার। একটি পত্রিকা ১০ ভোটের কম পাওয়া কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২০টি কেন্দ্রের এবারের ফলের সাথে ২০১৫ সালের নির্বাচনের ফলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে। তাতে দেখা যায়, তখন এগুলোর ১৭টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছিলেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী। তার আগে ২০১০ সালের সিটি নির্বাচনে ২০টি কেন্দ্রের সব ক’টিতে জয়ী হয়েছিল বিএনপি। এবার এসব কেন্দ্রের কোনোটিতে এক ভোট, কোনোটিতে দুই, তিন ও সাত ভোট পেলেন বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।

এখন স্থানীয় সরকারের যেসব নির্বাচন ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত গড়াচ্ছে, সেখানকার চিত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতোই। জনসাধারণ আর ভোটকেন্দ্র না গেলেও পুরো ভোটের ব্যবস্থাটি উপভোগ্য করে তুলছেন ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা। এরা প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন যাতে কেউ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হয়। আবার কেউ নিজেদের কর্মীদের প্রকাশ্যে ভোট চুরির কৌশল শিখাচ্ছেন। ষড়যন্ত্র করছেন কিভাবে ফাঁকি দিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে ‘জয়ী’ করানো যায়। এ ধরনের অসংখ্য অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার খুব সামান্য কিছু মূল ধারার সংবাদমাধ্যমে আসছে। মানুষ ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার আচার-আচরণ থেকে বিনোদন পাচ্ছে।

সর্বশেষ সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে ১১ ফেব্রুয়ারি ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় মাহমুদা বলেন, ‘যাদের মনে ধানের শীষের সঙ্গে প্রেম আছে, তারা কী করবেন? ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাবেন। ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পর তাদের দেখতে চাই না। তাদের ভোটকেন্দ্রে আসার আর কোনো প্রয়োজন নেই। তা হলে ভোটকেন্দ্রে যাবে শুধু কে? নৌকা, নৌকা আর নৌকা।’

একজন নারী নেত্রী হিসেবে তিনি অনেক মোলায়েম ভাষায় এই হুমকি দিয়েছেন। এর আগে সরকারি দলের পুরুষদের পক্ষ থেকে আরো ‘তেজি’ কথাবার্তা শোনা গেছে। সেগুলোর মধ্যে ভয়ের অনেক উপাদান রয়েছে। এই নেত্রী শুধু চলে যেতে বলেছেন; তবে মারধর করবেন এমনটি কিন্তু বলেননি। এর চেয়ে ঢের বেশি আগ্রাসী কায়দায় হুমকি দেয়ার বেশ কিছু রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর সাথে আগামী দিনে আরো অনেক মজাদার হুমকি-ধমকির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়তো যুক্ত হবে।

যারা নির্বাচনকে এভাবে বানচাল করে এসব অপরাধ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রতিকার দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য একদিনে এ তামাশার সৃষ্টি হয়নি। বছরের পর বছর নির্বাচনী অপরাধ নিয়ে কোনো বিচার না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বর্তমান অবস্থা তৈরি হয়েছে। যারা এমন বেপরোয়া ত্রাস সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখন আর কোনো সামর্থ্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অবশিষ্ট নেই। সংবিধান তাদের সব ধরনের নির্বাচনী অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার দিলেও সেটি তারা আর প্রয়োগ করতে পারছেন না। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের আয়ত্তের বাইরে।

মাহমুদার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য হচ্ছে, মাহমুদার অডিও-ভিডিও পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অরাজনৈতিক বক্তব্য সত্য প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বড় বড় অনিয়ম-দুর্নীতির অডিও-ভিডিও ফাঁস হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে এসব অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সরকারি দল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দেখা যাচ্ছে, সেসব অপরাধ প্রমাণিত হচ্ছে না। তারা সবাই প্রায় একই সুরে কথা বলেন যে, ‘এগুলো কারসাজি করে তৈরি করা। এসবের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’ কিন্তু সরকার কিংবা প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে এগুলোর ফরেনসিক রিপোর্ট করে ঘটনার সত্যতা আর আবিষ্কার করে না। তাই এই সরকারের অধীনে এমন প্রকাশ্য অপরাধের বিচার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঠাকুরগাঁওয়ে পৌর নির্বাচনে মাহমুদা বেগমের হুমকির ফল পাওয়া গেল। সেখানে সরকারবিরোধী মতাদর্শের কর্মী-সমর্থকরা বেশির ভাগ জায়গায় ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেননি।

সংবাদমাধ্যমের সরেজমিন রিপোর্টে ত্রাস সৃষ্টিকারী নির্বাচনী পরিবেশের চিত্র পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন মাহমুদার হুমকির খবর জানে না। তাদের ভাষায়, কেউ তাদের এটি জানায়নি। অন্য দিকে সরকারি দল তার বক্তব্যের অডিও-ভিডিও ক্লিপ কখন যাচাই করে দেখবে, তার নির্দিষ্ট সময়সীমা বলেনি। বাংলাদেশে যে অদ্ভুত নির্বাচনী ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে, তা পৃথিবীর আর কোথাও কখনো দেখা যায়নি। যারা এ নির্বাচন আয়োজন করছেন, অর্থাৎ ইলেকশন কমিশন বা ইসি; তারা বর্তমান ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে উদ্ভট গল্প ফাঁদছেন। কখনো বলছেন, আমেরিকার চেয়ে ভালো নির্বাচন তারা আয়োজন করছেন। আবার কখনো বলছেন ধনী হয়ে যাওয়ায় দেশের মানুষ আর ভোট দিতে আগ্রহ পায় না। সব মিলিয়ে আমাদের নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের পরিবর্তে হাস্যরস সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে এক ধরনের বিনোদন দিচ্ছে।


jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement