এক স্বর্ণালি দশকের রূপকথা
- গোলাম মাওলা রনি
- ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৩৬
আশির দশকে আমি যখন ঢাকায় এলাম তখনকার স্মৃতিগুলোই আমার কাছে ইট-পাথরের এই মহানগরীর স্বর্ণালি সময় বলে মনে হয়। একটি মফস্বল শহর থেকে যে দিন সদরঘাটে এসে পৌঁছলাম, সে দিনের কুয়াশাঘেরা ভোরের বুড়িগঙ্গা, নদীর দুই পাড়ের দৃশ্য এবং আমার মন-মননশীলতা এবং দু’চোখের স্বপ্ন একাকার হয়ে কী যে একটি অনুভূতি সৃষ্টি করল তা স্মরণ করলে আজো শিহরিত হই। সদরঘাট থেকে রিকশায় আজিমপুর কলোনিতে কাকার বাসায় উঠি। তারপর ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্যার এফ রহমান হলে বসবাসের দিনগুলোর সাথে আমার পরবর্তী জীবনের সফলতা, সুনাম, সুখ্যাতি ভোগ-বিলাস ইত্যাদি সব কিছুই কেমন যেন ঠুনকো মনে হয়।
ঢাকা শহরে তখন কাগজ-কলমে গণতন্ত্র ছিল না। এরশাদের সামরিক শাসনের বুটের আওয়াজ, পুলিশের লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাসের তাণ্ডব সত্ত্বেও রাজপথে গণতন্ত্র ছিল। মানুষের গণতান্ত্রিক বোধ, চিন্তা, চেতনা এবং স্বতঃস্ফূর্ত কর্ম-প্রেরণার সাথে উদ্ভাবনী শক্তির এমন একটি রসায়ন তখন রাজধানীর সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, যা দেখে মনেই হতো না দেশে সামরিক শাসন চলছে। শহরের দেয়ালগুলোতে চিত্রকরেরা এরশাদের বিকৃত কার্টুন দিন-দুপুরে আঁকত। পত্রপত্রিকাগুলো সেসব কার্টুন ছাপত। কোনো ব্যক্তি এরশাদকে বিশ্ববেহায়া খেতাব দিয়ে কী ছবি এঁকেছে তা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানত। কিন্তু রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা ওসবে গা করতেন না। কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান তার এরশাদবিরোধী বিকৃত কার্টুন রচনার জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক নাজেহাল হয়েছেন এমনটি আমরা শুনিনি।
ঢাকাসহ সারা দেশে শত শত যুগান্তকরী কবিতা রচনা হতো। এরশাদকে গালাগাল দিয়ে রচিত কবিতা-গান-নাটক ইত্যাদি সাহিত্যকর্মের মঞ্চায়ন প্রকাশ্য দিবালোকে করা হতো। দেশের কিছু সাংবাদিক তখন সবে সামরিক সরকারের তাঁবেদারি শুরু করেছিল বটে কিন্তু বেশির ভাগ পত্রপত্রিকা, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-শিক্ষক ও পেশাজীবীরা ছিলেন সামরিক শাসন বিরোধী। ঢাকা কলেজ, জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিত্যকার মিছিল-মিটিং স্লোগান ও জনসভায় এত বেশি গণতন্ত্রের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শিত হতো যা আজকের জমানায় রীতিমতো স্বপ্ন বলে মনে হয়।
আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন ঢাকা ছিল সুনসান নগরী। বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষ্যা-তুরাগের পানি তখনও ছিল স্বচ্ছ ও নির্মল। কেউ যদি তখনকার দিনে সদরঘাটের কাছে ওয়াইজঘাটে অথবা শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গার এপারে দাঁড়িয়ে ওপারের দিকে তাকাতো তবে মোহময় জাদুমন্ত্র তার মনকে নদীর অপর প্রান্তে নিয়ে যেত। প্রকৃতির অপার আকর্ষণে যদি কেউ দেশী ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে কেরানীগঞ্জের দিকে যেত তবে বুড়িগঙ্গা থেকে কেরানীগঞ্জের খালের মধ্যে ঢুকে চুনকুটিয়া হয়ে শুভাড্ডা খালের ভেতর দিয়ে সারাটা দিন যদি ডিঙ্গি চালাত তবুও কোনো ক্ষুধা-তৃষ্ণা তাকে স্পর্শ করতে পারত না। হাজার হাজার নৌকার চলাচল, মাঝি-মাল্লার হাঁকডাক নদী-খালের স্বচ্ছ পানিতে নারী-পুরুষের স্নানসহ অন্যান্য কর্ম, দুই পাড়ের বাসিন্দাদের কর্মচঞ্চলতা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে সেই পথের নৌকাযাত্রীরা একধরনের অপার্থিব সুখে বিনোদিত হতো।
ঢাকায় তখন অনেক ভদ্রলোকের বাস ছিল। কেউ যদি বাংলাবাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে, বেইলি রোড, ধানমন্ডি, ওয়ারী প্রভৃতি এলাকায় বিকেলে একটু হাঁটাচলা করত তবে সৌম্য দর্শন, কেতাদুরস্ত এবং গাছপাথর প্রকৃতি মানুষকে দেখতে পেতো এবং প্রথম দর্শনেই তাদের ভদ্রলোক বলে মনে হতো। তৎকালীন ঢাকায় জ্ঞানী-গুণী, নাট্যজন ও জ্ঞানপিপাসুদের জন্য এমন কতগুলো স্থান ছিল যেখানে অভদ্ররা প্রবেশ করতে সাহস পেত না। ঢাকার রমনা পার্কে ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল-বিকেল বাহারি আড্ডা হতো। বিভিন্ন পণ্ডিত-মহাপণ্ডিতরা যেখানে প্রাতঃভ্রমণ অথবা বৈকালিক ভ্রমণের জন্য নিয়মিত আসতেন। শত শত বিভিন্ন বয়সী জ্ঞানপিপাসুরা তাদের ঘিরে এমনভাবে ছুটতেন, যা দেখে মনে হতো মধুভাণ্ডার নিয়ে জীবন্ত কোনো ফুলগাছ চলছে আর তার মধুপিয়াসী মৌমাছিরা পাখনা মেলে গুন গুন শব্দে সেই ফুলবৃক্ষকে ঘিরে শুধু নাচছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রফেসর আহমদ শরীফ রোজ বিকেলে হাঁটতে আসতেন। তার ধানমন্ডির এক নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে জ্ঞানপিপাসুরা তার পিছু নিতেন। প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা টানা হাঁটার পর তিনি বাদ মাগরিব আড্ডায় বসতেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ ঘাসের ওপর পা দুটো মেলে দিয়ে তিনি আরো ঘণ্টা দুয়েক জ্ঞানপিপাসুদের পিপাসা মেটাতেন। সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, জীবন-জীবিকা অর্থাৎ জীবনঘনিষ্ঠ প্রায় সব কিছু নিয়েই আলোচনা হতো। যারা প্রশ্ন করতেন এবং যিনি উত্তর দিতেন তাদের যে যোগ্যতা ছিল অমনটি আমি আর কোনোকালে কোনো দেশে পাইনি। মানুষের জ্ঞান যে হিমালয়ের চেয়ে বিশাল এবং মধুর চেয়েও মিষ্ট এবং সেই জ্ঞানের চৌম্বক শক্তি পৃথিবীর যেকোনো ধাতব চৌম্বকের আকর্ষণ করার ক্ষমতার চেয়ে যে বেশি তা আপনি বিলক্ষণ টের পেতেন যদি আপনি সেকালের সেইসব আড্ডার শরিক হতে পারতেন।
সেকালে ধর্মকর্মের চর্চাও হতো অত্যন্ত শালীনভাবে। ধার্মিক লোকেরা কলহ-বিবাদ করতেন না। ধর্মীয় বক্তাদের প্রায় সবাই আমলদার ছিলেন। ফলে তাদের দিকে তাকালে একধরনের প্রশান্তি অনুভব হতো। ধর্মীয় সেক্টরে যারা নেতৃত্ব দিতেন তাদের বেশির ভাগই সচ্ছল এবং অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তাদের শিক্ষা-দীক্ষা, চালচলন ও দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আধুনিক। ফলে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতজনেরাও ধর্মীয় নেতাদের অন্তর থেকে সম্মান করতেন। ঘোরতর নাস্তিকরা যেমন ধর্মবেত্তাদের সম্পর্কে কটুবাক্য ব্যবহার করতেন না, তদ্রুপ বিশ্বাসীরাও নাস্তিকদের নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। ধর্মীয় সম্প্রীতি ছিল উল্লেখ করার মতো। একজন আরেকজনকে কাফের ফতোয়া দেয়া অথবা একজন কর্তৃক অন্যজনকে ফাসেক, বাতেল, কাজ্জাব ইত্যাদি শব্দ দ্বারা আক্রমণের ঘটনা ঘটত না।
গ্রামগঞ্জে তখন আলিয়া-কওমি মাদরাসা ছিল না বটে তবে অসংখ্য মক্তব ছিল। দুই-তিন শ’ ছেলেমেয়ে সেই কাকডাকা ভোর থেকে সমস্বরে আমপারার তালিম নিয়ে তারপর প্রাইমারি স্কুলগুলোতে যেত। ফলে গ্রামের এমন কোনো ছেলেমেয়ে ছিল না যারা কুরআন পড়তে জানত না। মা-বোনেরা ফজরের নামাজ-কুরআন তিলাওয়াত ও তাজবিহ তাহলিল করে তারপর কাজকর্মে হাত দিতেন। ধনী-দরিদ্র সব শ্রেণী-পেশার মানুষ অতিশয় ধর্মপরায়ণ ছিলেন। অন্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও ধর্মকর্মের অনুসরণ ছিল উল্লেখ করার মতো। গ্রামের মতো হয়তো ঢাকা শহরে সামাজিকভাবে ধর্মকর্ম হতো না, তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধর্মের অনুসরণ ছিল শ্রদ্ধা করার মতো পর্যায়ে। ঢাকার রমনা কালীমন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দির, টিকাটুলী রামকৃষ্ণ মিশন, কাকড়াইলের চার্চ এবং বাসাবো এলাকার বৌদ্ধ মন্দিরের বেদিতে সংশ্লিষ্ট ধর্মের অনুসারীরা এক অপার্থিব আকর্ষণে হাজির হতেন।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে দৈনিক পাঁচবার চাঁদের হাট বসত। মসজিদের নিচতলায় তখন ইসলামী ফাউন্ডেশনের অফিস ছিল। সেই অফিসে সারা দেশের আলেম-ওলামা, জ্ঞানী-গুণী- লেখক ছাড়াও দেশের নামকরা ইসলামিক দার্শনিকরা নিয়মিত আসতেন। ইসলামী তাহজিব-তমদ্দুনকে সার্বজনীন ও বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য তৎকালীন আলেম-ওলামারা যে কঠোর পরিশ্রম করতেন তা দেখে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে যেত। আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইংরেজিতে লিখিত মহামূল্যবান ইসলামী কিতাব বাংলায় অনুবাদের জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশন এক মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল এবং সেই কাজে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি এই সংস্থাটি যে সফলতা দেখাতে আরম্ভ করল তার আলোকবর্তিকা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ইসলামপন্থীদের অন্তরে নূরের আলো হয়ে হৃদয়ের অন্ধকার দূরীভূত করতে শুরু করল।
বায়তুল মোকাররম পার হয়ে একটু সামনে এগোলেই দৈনিক বাংলা ট্রাস্ট। এখান থেকে দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস ও সাপ্তাহিক বিচিত্রা বের হতো। এসব পত্রপত্রিকায় যারা সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তাদের কাউকেই সরকারি তল্পিবাহক মনে হতো না বরং তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন ঘোরতর সরকারবিরোধী। কেউ কেউ ঘন ঘন জেলও খাটতেন সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলনের জন্য। কিন্তু এসব কাজের জন্য তাদের চাকরির কোনো সমস্যা হয়নি। দৈনিক বাংলা পার হলেই ঐতিহ্যবাহী অবজারভার ভবন। তারপর টিকাটুলীর ইত্তেফাক ও ইনকিলাব ভবন। এসব ভবনে যেসব সাংবাদিক কাজ করতেন তাদের মেধা, মননশীলতা, যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্বের সাথে টক্কর দেয়ার সাহস কোনো সরকারি দলের পাণ্ডা বা রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের ছিল না।
বাংলাদেশের হাইকোর্ট চত্বর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছিল অত্যন্ত মর্যাদার জায়গা। বিচারপতি, আইনজীবী, ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী সবাই সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র, সুশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সাম্যের গান গেয়ে এই দুই অঙ্গনকে গণতন্ত্র হরণকারীদের জন্য ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদ বানিয়ে ফেলেছিল। ফলে ধড়িবাজ ও ধান্দাবাজ প্রকৃতির রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন কর্তারা এইসব এলাকায় ভুলেও পা মাড়াতে সাহস পেত না। সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্র বলে পরিচিত সচিবালয়ের অবস্থাও খারাপ ছিল না। ঊর্ধ্বতন কয়েকজন সচিব সরকারের তাঁবেদারি করতেন বটে, তবে তাদের মেধা, যোগ্যতা ও কর্মকৌশল সম্পর্কে আপত্তি তোলা সত্যিই দুরূহ ছিল। সিভিল সার্ভিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মধ্যম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক সিএসপি ও আইসিএস ঐতিহ্যের একটি ভাব ছিল। ফলে ঘুষ-দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারি, চুরি-চামারির মতো নোংরা কর্মে সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ ছিল না।
আশির দশকের সবচেয়ে রাজসিক সৌন্দর্য ছিল বিচার বিভাগের সততা ও পবিত্রতা, সহকারী জজ, সাব জজ বা জেলা জজ ঘুষ খাবেন এমনটি কেউ কল্পনাও করতে পারত না। সরকারি কর্মচারীদের বাদ দিয়ে আমরা যদি ব্যবসাবাণিজ্যের দিকে তাকাই তবে সেই জমানায় ওজনে কম দেয়া, খাদ্যে ভেজাল, হোটেলে খাসির গোশতের কথা বলে শেয়াল বা কুকুরের গোশত বিক্রির অভিযোগ, নকল প্রসাধনী, নকল ওষুধ ইত্যাদির কথা শুনেছি বলে মনে পড়ে না। তখনকার সমাজের আরেকটি সৌন্দর্য ছিল সাধারণ মানুষের বিনয়, ভদ্রতা আনুগত্য ও সৌজন্য। ধনীরা তুলনামূলক উদার ছিলেন। ক্ষমতাধররা সহনশীল ছিলেন এবং জ্ঞানীদের অহংবোধ কম ছিল।
তখনকার সমাজে গুণ্ডা ছিল-বদমাশ ছিল এবং মদ-জুয়া-গাঁজা-তাড়িও ছিল। চুরি ছিল-ডাকাতি ছিল এবং এগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে দারিদ্র্য ছিল। ঘুষ ছিল, দুর্নীতিও ছিল এবং কপট মানুষের ভাঁওতাবাজিও ছিল। জুলুম ছিল, অত্যাচার ছিল, বন্যা ছিল, খরা ছিল, রোগ-বালাই আর অভাব ছিল। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে ছিল মানবতা ও সহমর্মিতা। সমাজ-সংসারে বিশ্বাস ছিল, আনন্দ আর ভালোবাসা ছিল। কাজ-কর্মে একাগ্রতা এবং সততার বাহাস ছিল। ভালো কর্মে প্রশংসা ছিল এবং সব কাজে প্রতিযোগিতা ছিল। মানুষের কণ্ঠে গান ছিল, নদীর জলে বান ছিল, বাতাসের ঘ্রাণ ছিল। চাঁদ-তারা আর জোনাকির টান ছিল, ফুল-পাখি আর ফল ফলাদির মিল ছিল। ফলে মানুষ হিসেবে প্রতিটি দিন ও রাতের মাঝে বেঁচে থাকার সান্ত্বনা ছিল এবং একটি নতুন সূর্যের প্রতীক্ষা করা সত্ত্বেও গোধূলি লগ্নে সূর্যের বিদায়ের বেলায় বিগত দিনটির স্মৃতি মনের মধ্যে জাগরূক থাকত।
আশির দশক চলে গিয়েছে এবং পরে আরো তিনটি দশক অতিক্রম করেছি। কিন্তু আমার স্মৃতিতে যদি কোনো দশককে স্বর্ণ মণি কাঞ্চন খচিত মাল্যে ভূষিত করে সংরক্ষণ করার কথা বলা হয় তবে আমি সেই আশির দশকটিকেই বেছে নেব।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা