বিদায় করোনার বছর ২০২০
- জসিম উদ্দিন
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:৪৫, আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:০২
করোনা প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর। অবশ্য তখনো চীন এই ভাইরাসের অস্তিত্ব স্বীকার করেনি। বাকি বিশ্বের মানুষ ভাইরাসটির উৎপত্তির জন্য চীনকে দায়ী করেন। চীনা চেহারার মানুষদের এ জন্য ভর্ৎসনা করা হয়। এশিয়ার মানুষের ওপরও লাঞ্ছনা নেমে আসে। এর আগে কয়েকটি ভাইরাসের জন্য আফ্রিকা মধ্যপ্রাচ্য ও চীনের লোকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছিল। করোনা ২০২০ সালে চরিত্র বদলে ইউরোপ ও আমেরিকায় থাবা বিস্তার করে। উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে এটি হানা দিয়েছে এবার মনে হয়েছে সত্যিকার অর্থে এটি ধনীদের রোগ। তবে অন্য ধনী বিশ্বের বাসিন্দারা দরিদ্র পিছিয়ে পড়া বাকি বিশ্বের মানুষের কাছে তাচ্ছিল্যের শিকার হননি। এই ভাইরাস মানুষের জনমিতিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি। জন্ম মৃত্যুহারে কোনো নতুন মাত্রা যোগ করেনি। তবে এটি সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ওলট-পালট করা প্রভাব ফেলেছে। এতে লাভবান হয়েছেন স্বৈরাচারী শাসক ও ধনীরা।
করোনাকে অতিমারী বলা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের অধিবাসীদের ওপর এর প্রভাব একটু তলিয়ে দেখতে পারি। বাংলাদেশে প্রতি বছর এক হাজার মানুষের মধ্যে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি মানুষ মারা যান। কয়েক দশক আগে এ মৃত্যুহার আরো বেশি ছিল। আমরা যদি আরো পেছনে যাই তাহলে দেখতে পাবো আরো বেশি হারে প্রতি বছর মানুষ মারা গেছেন। কখনো তা বর্তমান হারের চেয়ে ৫ গুণের বেশি। যেসব কারণে মানুষের বৃদ্ধির হার ছিল নগণ্য। কখনো জনসংখ্যা একই জায়গায় স্থির হয়ে থাকত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহামারীর মড়কের পর জনসংখ্যা কমেও যেত। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় এমন চিত্র দেখা গেছে।
অসুখ-বিসুখ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা যেকোনো কারণে একজন মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর বাংলাদেশের এক কোটি মানুষের মধ্যে ৫৫ হাজার মানুষ মারা যান। যদি ধরা হয়, এখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি; তাহলে ২০১৯ বা আজ শেষ হতে যাওয়া ২০২০ সালে ৯ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। জনমিতি নিরীক্ষণকারী গ্লোবাল ইকোনমি ডটকম, জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে কমবেশি বাংলাদেশে প্রতি বছর মারা যাওয়া মানুষের হার এমনই।
দেশে করোনায় প্রথম কেউ আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড এ বছরের ৮ মার্চ। তখন থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ হাজার ৪৫২ জন সরকারি হিসাবে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। করোনাকালীন মোট দশ মাসে যা দিনের হিসাবে ৩০০ দিন। গড় হিসাবে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন করোনায় মারা গেছেন ২৫ জন। অন্য দিকে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশে দুই হাজার ৫৬১ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন। এতে স্পষ্ট যে, প্রতিদিন মানুষ মৃত্যু হারে করোনা নতুন কোনো মাত্রা যোগ করেনি।
ভীতি ছিল ঢাকার বস্তি নিয়ে। শহরের ২০টি বস্তি নাকি ‘করোনার কেন্দ্র’ হয়ে উঠবে। কারণ ঘনবসতির পাশাপাশি বস্তির অনেক লোক একই রান্নাঘর, টয়লেট, পানির উৎস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করেন। এর সাথে রয়েছে এক রুমে পুরো পরিবারের বসবাস, খোলা পয়ঃনিষ্কাশন, অনিষ্কাশিত খোলা আবর্জনা। রয়েছে বস্তিবাসীর আর্থিক অনটন। তাই করোনা বিস্তারের হটস্পট হবে এগুলো। চার মাস পরে ডেইলি স্টার বস্তিগুলোর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সরেজমিন রিপোর্ট করে। প্রতিবেদক রাজধানীর প্রধান বস্তিগুলো ঘুরেছেন। সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলেছেন। জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যসেবা দানকারী এনজিওকর্মীদের সাথেও কথা হয়েছে। প্রতিবেদনে অনেক উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। একটি কেসও এমন উল্লেখ করা যায়নি যে, করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন কিংবা গুরুতর লক্ষণ তাদের অনেকের মধ্যে রয়েছে।
ডেইল স্টার ‘ঢাকার বস্তি যেখানে কোভিড রহস্যজনকভাবে নীরব’ শিরোনাম খবরটি প্রকাশ করে। ব্যাপারটিকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি আমাদের ‘পূর্ব ধারণা’ থেকে। আমাদের কাছে মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ও বিশেষজ্ঞরা যে খবর পাঠাচ্ছেন সে অনুযায়ী এটি রহস্যময়। প্রকৃতপক্ষে করোনাকে আমরা যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেতাম এর বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে পারতাম। আমরা সাধারণত ঘটে যাওয়া ঘটনা দিয়ে এর আসন্ন ফল কী হতে পারে তা নির্ধারণ করি। বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে তা সঠিক হয় না। এর পরও বিভিন্ন বিপরীতমুখী ঘটনার যোগফল তৈরি করে তাকে ভাগ করে ‘গড়’ নির্ণয় করি। ফলে সব সময় আমরা ঘটনার প্রকৃত তাৎপর্য অনুমান করতে ব্যর্থ হই। কোভিড-১৯ মোকাবেলার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।
করোনায় বৈশ্বিক মৃত্যুহার বিশ্লেষণ করলেও আমরা একই প্রবণতা দেখতে পাবো। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। প্রতিদিনে বিশ্বে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুহার আগে উল্লেখ করা বাংলাদেশের মতোই। অর্থাৎ বছরে সারা বিশ্বে প্রতি এক হাজার মানুষে সাড়ে ৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। ধরে নেয়া যেতে পারে, সাড়ে ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে ২০২০ সালে করোনায় মারা গেছেন ১৮ লাখ মানুষ। এটি বিশ্ব জনমিতিতে মাত্রাগত কোনো তফাৎ সৃষ্টি করেনি। পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করলে দেখা যাবে বছরে প্রতি হাজারে মৃত্যুহার সাড়ে ৫ বা তার আশেপাশে রয়েছে। করোনাকালে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগে মানুষের মৃত্যুহার বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ডায়াবেটিস হৃদরোগ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ও যক্ষ্মায় একই সময় অনেক বেশি মানুষ মারা গেছেন।
ঠাণ্ডাজনিত রোগে করোনার চেয়ে মৃত্যু অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে করোনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর বেড়িয়েছে; তাদের অনেকের অন্যান্য রোগ ছিল । করোনার প্রাদুর্ভাব না হলে তাদের বলা হতো ডায়াবেটিস হৃদরোগ ঠাণ্ডাজনিত রোগে মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে কিংবা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। মানবসমাজে বিদ্যমান বড় বড় রোগব্যাধি করোনার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ হলেও করোনার মতো ভীতি ছড়ায়নি। করোণার মাত্রাতিরিক্ত প্রচারণা অনেকের জন্য উচ্চ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ যদি এগুলোকে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে না পারে তাহলে তাদের ক্ষতির মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসাবাণিজ্য সামাজিক মেলামেশার জন্য মানুষ ভর করেছেন অনলাইন প্লাটফর্মে। মহামারী শুরুর প্রথম তিন মাসে জুমের প্রতিষ্ঠাতা ইরিক ইউয়ান কামিয়েছেন এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা আরো কিভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে ওয়াশিংটন কেন্দ্রিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ অ্যান্ড ক্লিয়ারওয়াটারের প্রতিবেদনে জানা গেছে। তাদের হিসাবে মার্চে করোনা শুরু থেকে তিন মাসের মধ্যে ধনীরা ৫৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার কামিয়ে নিয়েছেন। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পত্তি বেড়েছে চার হাজার ৮০০ কোটি ডলার। মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী বালমারের সম্পদ বেড়েছে এক হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। মার্ক জাকার বার্গের সম্পদ বেড়েছে ৯১০ কোটি ডলার। ঠিক একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চার কোটি আমেরিকান বেকার হয়ে গেছেন বলে রিপোর্ট করেছে।
মার্চে করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর সব দেশে অতি ধনীদের অর্থকড়ি বেড়েছে। বিপরীতে প্রতিটি দেশের জাতীয় অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে। আমাদের মতো দেশে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যেক্তা নেই। তবে করোনা উপলক্ষে সরকারের দেয়া ত্রাণ তহবিল মেরে অনেকে অর্থ কামিয়েছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে দেয়া সরকারের বিপুল প্রণোদনা চলে গেছে দুর্নীতিবাজদের দখলে। সাহেদ সাবরিনাদের কথা সবার জানা। তারা করোনার টেস্ট না করেই সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এর আগে নিম্নমানের করোনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নিয়েও কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে- এই করোনাকালেই কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে গেছেন। দেশের জনসাধারণের বিপুল একটা অংশ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক জরিপে ঢাকা শহরের মানুষের আয় গড়পড়তা ৭৯ শতাংশ কমে গেছে। জরিপটি করা হয় মে মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে। ব্র্যাকের ওই জরিপে ২৮ শতাংশ মানুষ বলেছে, তাদের কোনো কাজ নেই। তাদের মধ্যে খুদে উদ্যোক্তা থেকে বড় শিল্পপতিও রয়েছেন। অনেক শিল্প উদ্যোক্তার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ। এর ফলে শুধু একজন শিল্পপতি বিপদে পড়লেন, এমন নয়। এর একটা বিস্তৃত চেইন অভিঘাত পড়েছে। সে শিল্প প্রতিষ্ঠানটিতে কমরত শ্রমিক কর্মচারী সবাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। শহরের দেয়ালে দেয়ালে ‘টু- লেট’ সাইন বোর্ড ঝুলছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ (বিআইডিএস) জানাচ্ছে, নতুন করে এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
সম্পদ বাড়লেও ধনীরা নিঃস্ব দরিদ্রদের দান করছেন না। বিশ্বে এখন প্রায় তিন হাজার বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। করোনার এই দুঃসময়ে এই ধনীদের মাত্র ১১ শতাংশ কিছু দান করেছেন। তাদের অনেকেরই দান আসলে খুব সামান্য। তাদের মোট সম্পদের হিসাবে শূন্য দশমিক শূন্যের পরে সংখ্যা বসালে তারপর তার পরিমাণ জানা যায়। কেউ ব্যতিক্রমও আছেন। কেউ আছেন তার দানের পরিমাণ প্রকাশ করেননি। কেউ আছেন তিনি যে দান করেছেন এটাও প্রকাশ করেননি। কিন্তু মোটের ওপর দানের পরিমাণটা এতটা কম যে, সেটি প্রকৃত চাহিদার চেয়ে নগণ্য। আবার এই দান কোথায় খরচ করা হবে তার শর্ত রয়েছে। অক্সফামের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আফ্রিকার আটটি, আমেরিকার একটি এবং এশিয়ার আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষে প্রাণহানি ঘটবে।
করোনা স্বৈরাচারের মুষ্টিকে আরো শক্তিশালী করেছে। সাবেক বিশ্বনেতা ও নোবেল পুরস্কার পাওয়া ৫০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি এক খোলা চিঠিতে দাবি করেন, মহামারীর মধ্যে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব সারা বিশ্বে আশঙ্কাজনক বেড়েছে। ভিন্নমত বা সমালোচনা দমনে সারা বিশ্বে স্বৈরাচারীরা এই সঙ্কটকে ব্যবহার করছে। স্টকহোম কেন্দ্রিক ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্র্যাসি ওই খোলা চিঠি প্রকাশের আয়োজন করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উভয় প্রকারের সরকার মহামারীর প্রকোপের মধ্যে জরুরি ক্ষমতাকে ব্যবহার করছে। প্রতিবাদী মানুষদের গ্রেফতার করছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লুণ্ঠন করছে।
গরিব ও প্রান্তিক দেশগুলোর অবস্থা আরো করুণ। জনমানুষের প্রাণেরই কোনো মূল্য সেখানে নেই, জনমতের মূল্য তো বহু দূরে। মহামারী মোকাবেলায় সরকারের একচোখা নীতি। কারো জন্য উন্নত চিকিৎসা রয়েছে, সাথে রয়েছে ভালোবাসাও। অবশিষ্টদের জন্য ডাক্তারের সামান্য পরামর্শ পাওয়ারও সুযোগ নেই। গরিব দেশের মন্ত্রীদের জন্য বাসার সামনে বিমান অপেক্ষা করে। অন্য দিকে গরিব মানুষ রাস্তায় প্রাণ দেন। আর রয়েছে কঠিন আইন। পান থেকে চুন খসলেই পুলিশ, আইন-আদালত। করোনাকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে জনগণকে কতটা দমন করলে কেমন প্রতিক্রিয়া হয়। আর সেসব প্রতিক্রিয়া কিভাবে দমিয়ে দেয়া যায়। ‘গণতন্ত্র হলো স্বৈরাচারের হাতিয়ার’ করোনা যেন তাই বলে যাচ্ছে।
মানবাধিকার সঙ্কুচিত করতে, রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ কঠিন করতে মহামারীকে তারা ব্যবহার করছেন। এগুলো করছেন তারা বেআইনিভাবে। সংসদকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। তথ্য পাওয়ার অধিকারকের সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে নাগরিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। সঙ্গনিরোধ ও লকডাউন এমন থেরাপি কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেয়ে মানুষের একত্র হয়ে প্রতিবাদ বন্ধ করার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। জনসাধারণ যদি করোনা ধাপ্পাকে শনাক্ত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে তাদের জন্য পরিস্থিতি আরো করুণ হবে আগামীকাল শুরু হওয়া ২০২১ সালেও।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা