প্রদীপরা নৈতিক সঙ্কটকে গভীর করছেন
- জসিম উদ্দিন
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৩৯
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ মদদে মেজর (অব:) সিনহা মো: রাশেদ খুন হয়েছেন। টেকনাফে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভয়াশ্রম প্রদীপ গড়ে তুলেছিলেন। এ সম্পর্কে জেনে ফেলার কারণেই সিনহাকে খুন করা হয়। গত রোববার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ কথা বলেন। ‘ওসি প্রদীপের অবৈধ কর্মকাণ্ড জেনে যাওয়ায় খুন হন সিনহা’ শিরোনামে সোমবার পত্রিকার প্রথম পাতায় খবরটি প্রকাশ করা হয়।
পুলিশ প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের মানুষের সেবা পাওয়ার ব্যাপারটি নতুন করে খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। কারণ আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশের একপক্ষীয় বয়ান গ্রহণ করি বা গ্রহণ করতে বাধ্য হই। যেমন সিনহা হত্যার জন্য টেকনাফের ওসি প্রদীপ লিয়াকতরা একটি ভাষ্য দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী তারা তিনটি মামলাও সাজিয়ে নিয়েছিলেন। ওই তিন মামলায় সিনহা মো: রাশেদ এবং তার দুই সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে মাদক ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। র্যাবের এই তদন্ত থেকে জানা যায়, ওই মামলায় আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সে জন্য র্যাব আদালতের কাছে ওই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়েছে।
নাগরিকদের কাছে মাদক পাওয়া যাওয়া প্রায় সবসময় পুলিশের একটি সাধারণ অভিযোগ। সিনহা হত্যা নিয়ে র্যাবের এ তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত দল ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে, তাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। থানায় বসে ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে ওই খুনের চক্রান্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা টিমে থাকা সেনাকর্মকর্তা মাদকসেবী হতে পারেন না। তিনি মাদক চোরাকারবারি হবেন এমনটাও ‘আষাঢ়ে গল্প’। মূলত মাদকের অভিযোগ আনা পুলিশের একটা কমন থেরাপি। একজন মানুষকে যখন কোনো অপরাধে আটকানো যায় না, কিন্তু পুলিশের নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য তার বিরুদ্ধে একটি আমলযোগ্য অপরাধের অভিযোগ দরকার, তখনই এ থেরাপিটি তারা প্রয়োগ করে থাকে। সিনহা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও তা ঘটল।
অন্য কমন থেরাপি হচ্ছে ‘সরকারি কাজে বাধাদান’। এ ধরনের একটি ব্যাপার রাখা হয়েছে, সরকার যাতে সহজে তার বৈধ কর্মকাণ্ড চালাতে পারে। এখন দেখা যাচ্ছে, এটিকে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার একটি হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে। সাধারণত রাজনৈতিক কর্মসূচি কিংবা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহজে পুলিশ এ অভিযোগ আরোপ করতে পারে। সরকারও এ ধরনের অ্যাকশনে সন্তুষ্ট হয় এবং স্বস্তি পায়। সামরিক বাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা পুলিশের চেকপোস্টে এসে সরকারি কাজে বাধাদান করছেন, এই গল্প রচনা করছেন প্রদীপরা।
যা হোক, র্যাবের তদন্তের পর ১৫ জনকে আসামি করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার বরখাস্ত পুলিশ সদস্য ৯ জন, এপিবিএনের তিনজন ও বেসামরিক সদস্য তিনজন। এই বেসামরিক সদস্যরা কি তথাকথিত সোর্স নন? পুলিশের ‘সোর্স’ মানে এখন গুরুতর একটা ব্যাপার। সারা দেশে প্রতিদিন পুলিশের সোর্সদের নানা ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কথিত এই সোর্সরাও পুলিশের মতো শক্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনে নেমে পড়েছেন। পুলিশের সোর্স হওয়ার ধাপ্পা দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন। অনেক সময় নিজেরা জড়িয়ে পড়ছেন দ্বন্দ্বে। কিছু দিন পরপর সোর্স খুন হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। র্যাবের আসামিদের মধ্যে থাকা ওই তিনজন যদি পুলিশের সোর্স হয়ে থাকেন এখন জোরালো প্রশ্ন ওঠা উচিত, পুলিশের সোর্সের আসলে কাজ কী? পুলিশ কাকে সোর্সরূপে নিযুক্ত করবে? প্রদীপের অধীনে থাকা সোর্সরা তো সিনহা হত্যায় সহযোগী ভূমিকা নিয়েছেন।
প্রবল চাপের মুখে সিনহা হত্যার বিচার অগ্রসর হচ্ছে। একইভাবে মাদকের অভিযোগ থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন হয়তো সিনহা। এটি কোনো সাধারণ মানুষের হত্যার ঘটনা ছিল না। যদি একজন সাধারণ মানুষ প্রদীপ চক্রের হাতে চেকপোস্টে খুন হতেন তাহলে প্রদীপদের দেয়া এসব অভিযোগই প্রাধান্য পেত। দেখা যেত, খুন হয়ে যাওয়া মানুষটির পরিবার কোনো প্রতিকারই পেত না। বরং তাদের প্রিয় মানুষটির বিরুদ্ধে সরকারের নথিপত্রে উল্লেখ থেকে যেত, তিনি একজন মাদকসেবী ছিলেন। কিংবা তিনি ছিলেন মাদকের চোরাকারবারি। বাস্তবে টেকনাফে যে দুই শতাধিক ক্রসফায়ারে ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে তাদের কারো ব্যাপারে কাউন্টার কোনো বয়ান প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত আসেনি। তবে তিনি আটক হওয়ার পর ওই এলাকার শত শত মানুষ এসবের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন।
ওই সব নৃশংস ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, প্রদীপদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিকার পাওয়ার ন্যূনতম অধিকারও হারিয়েছিলেন। সিনহা হত্যার দুই সপ্তাহ পর প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে বোঝা গেল, পুরো রাষ্ট্র সচেতন কিংবা অচেতনভাবে নিরীহ সাধারণ মানুষের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরকার, সরকারি ক্ষমতা, পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ কোথাও সাধারণ মানুষ প্রদীপদের বিরুদ্ধে আর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ পায় না। মনে হতে পারে, রাষ্ট্রকাঠামো পুরোটাই একচেটিয়া প্রদীপদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী যেহেতু প্রতিকার পাননি, তাহলে ধরে নিতে হবে রাষ্ট্র প্রদীপের একচেটিয়া বয়ানকে সত্য বলে ধরে নিয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে ঘটনাটি আমরা আরো একবার উল্লেখ করেছিলাম, আবারো এখানে উল্লেখ করছি, রাষ্ট্র হয়তো ব্যাপারটির প্রতি মনোযোগ দিতেও পারে। এতে হয়তো প্রদীপদের মতো পুলিশের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মানুষের বিচার পাওয়ার পথ খুলতেও পারে।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক লবণচাষির বিরুদ্ধে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটান প্রদীপ। তখন কক্সবাজারের মহেশখালীর ওসি তিনি। লবণচাষির স্ত্রী হামিদা বেগম তখন উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বন্দুকযুদ্ধের নামে তার স্বামীকে হত্যার পর মহেশখালী থানায় মামলা নেয়া হয়নি।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ওসি প্রদীপকে আদেশ দেন নিহত ব্যক্তির এজাহার গ্রহণ করার জন্য। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হত্যার শিকার আবদুস সাত্তার একজন লবণচাষি। অন্য দিকে, পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে- সাত্তার একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং তখন তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল। হামিদা বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তার স্বামী আবদুস সাত্তারের সাথে স্থানীয় কিছু লোকের বিরোধ ছিল। প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে আঁতাত করে টাকার বিনিময়ে মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তার স্বামীকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছেন। থানায় মামলা করতে না পেরে ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
হামিদা বেগম যখন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাশ হয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলেন সেখানেও প্রদীপের শক্তির দৌড়টি দেখতে পেলেন। উচ্চ আদালতে নির্দেশ দিয়েছিল, হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে স্বয়ং পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। অন্য দিকে উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এরপর মামলার গতি কোন দিকে যাবে, সেটি বোঝা যায়। হামিদা তার সামান্য শক্তি নিয়ে অনেক দূর গিয়ে প্রদীপের শক্তিটি কেমন তা বুঝে এসেছেন। আবদুস সাত্তার কিভাবে মরেছে তা জানারও কারো আগ্রহ নেই। হামিদা বেগমের আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তার ওপর বড় আশঙ্কা সৃষ্টি হলো, দুই ছেলের জীবন নিয়ে। তার দুই ছেলেকেও ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি তত দিনে তিনি পেয়ে গেছেন।
মহেশখালীর হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা হলে এরপরের মানুষগুলো হয়তো প্রদীপের হাতে হত্যার শিকার হতেন না। এমনও হতে পারত, প্রদীপ সেখানে থেমে যেতেন। সে ক্ষেত্রে প্রদীপ হয়তো নিজেও বাড়তি অপরাধ করার হাত থেকে বেঁচে যেতেন।
প্রদীপরা যে রাষ্ট্রের আইনকানুনের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন, তার আরেকটি উদাহরণ স্থানীয় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা। এ ঘটনাটি রীতিমতো বিস্ময় জাগায়। কারণ বাংলাদেশ কোনো মাফিয়া স্টেট নয়। তাহলে কেন একজন সাংবাদিক একজন পুলিশ কর্মকর্তার মাদক কারবারের খবর প্রকাশ করে ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়বেন? আরো আশ্চর্যের বিষয়, দেশের বিশাল সাংবাদিক সমাজ এমন বড় একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামান্য আওয়াজ তোলারও গরজ অনুভব করল না। ফরিদুল মোস্তফা দাবি করেছেন, তিনি প্রদীপের হাত থেকে বাঁচতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও ধরনা দিয়েছিলেন। তাকে দিনের পর দিন বন্দী রেখে থানায় নারকীয় নির্যাতন করেছেন প্রদীপ। চোখে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে দিয়েছেন। বিবস্ত্র করে পিটিয়েছেন। তৃষ্ণায় কাতর হলে পেশাব ও মলমূত্র মিশ্রিত পানি খাওয়ানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করেছেন প্রদীপ। স্বাধীন রাষ্ট্র্রের ভেতরে আরেকটি ‘রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করে যখন এমন অন্যায় চালানো হচ্ছিল, কেউ দেখেনি। শুধু তা-ই নয়, তার বিরুদ্ধে প্রদীপের আনা সব অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ হয়ে গেল। তাই তাকে জেলে পুরে দেয়া হলো। সিনহা হত্যা দুঃখজনক, তবে দুই শতাধিক মানুষ বলির পর একটা দানবীয় সীমারেখা টানা গেছে। বিচারকরা বুঝতে পেরেছেন, ফরিদুলকে জামিন দেয়া যায়। তিনি এখন মুক্ত। এসব কাজ একা একজন প্রদীপ করতে পারেন না, সবাই তা জানে। তবে এখন ফোকাস শুধু প্রদীপের ওপর। তিনি যখন মহেশখালীতে লবণচাষিকে হত্যা করেছেন সেখানে অন্যান্য পুলিশের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন খুন হওয়া ব্যক্তির পরিবার। টেকনাফে তিনি একাই শত শত ক্রসফায়ার দিচ্ছিলেন, এমনটি পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কয়েকজন মিলে রাস্তায় বেঁধে ধরে একজনকে গুলি করে মেরে ফেলা যায়। হয়তো এক গণ্ডা মানুষকেও মেরে ফেলা যায়। কিন্তু ডজন ডজন মানুষ খুন একজন প্রদীপ এবং তার সাথে একজন লিয়াকত আর কয়েকজন সিপাহি মিলে সম্পন্ন করেছেন, এমন হিসাব মিলে না।
একজনকে বলি দিয়ে বাকিদের উদ্ধারের ধারাবাহিক ক্রিয়াকলাপ একসময় এমন নৈরাজ্য বয়ে আনবে যে, তা আর সামাল দেয়া যাবে না। সিনহা হত্যার পর কক্সবাজারের সব পুলিশকে বদলি করে দেয়া হয়েছে। সব পুলিশ খুনি, এমনটা কেউ বিশ্বাস করেন না। এমন পুলিশও রয়েছেন, খুন দূরের কথা সামান্য একটি অন্যায়ও করেন না। এমন ভালো পুলিশের এ দেশে অভাব নেই। কিন্তু সিনহা হত্যার পর কক্সবাজারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকণ্ড নিয়ে একটা বিশদ তদন্ত করলে পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যেত। কারা প্রদীপের সাথে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের মদদদাতা বা সহযোগী ছিল, সব জানা যেত। বদলি করার ফলে অপরাধের বিচার হয়ে যাবে না। বরং দেখা যাবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অপরাধী পুলিশ সদস্যরা আবারো মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে যাবে। র্যাবের তদন্ত থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, প্রদীপ ও লিয়াকতরা একটি বৃহত্তর অপরাধী চক্রের ফ্রন্টলাইন। তাদের সাজা দিয়ে সরকার হাত মুছে ফেললেও মূল চক্রটি থেকেই যাবে। প্রয়োজন, পুরো চক্রকে শনাক্ত করা। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া। বাংলাদেশের পুলিশকে জনমুখী করতে এর কোনো বিকল্প নেই।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা