২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শিক্ষা ও নৈতিকতা : পাঠ্যসূচি প্রসঙ্গে

শিক্ষা ও নৈতিকতা : পাঠ্যসূচি প্রসঙ্গে - নয়া দিগন্ত

এরিস্টটল বলেছেন, রাষ্ট্র একটি নৈতিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র অন্যায় করতে পারে না। ন্যায়কে নিশ্চিত করাই তার দায়িত্ব। রাজা, রাজ্য ও রাজনীতিতে অন্যায়-অসত্য-অপকর্ম নিয়ত ঘটলেও এর স্বীকৃতি নেই। নীতিগতভাবে চোরও যেমন বলে না- চুরি করা মহাপুণ্যের কাজ তেমনি রাজা-বাদশা-নেতানেত্রীরা কর্মে যাই করুক মুখে মুখে এখনো ন্যায়ের কথা বলেন। তারা ভালো ভালো কথা বলেন, আর মন্দ মন্দ কাজ করেন। রাজা মন্দ মন্দ কাজ করলেও তিনিও চান প্রজারা ভালো মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠুক। চোরের রাজত্ব কেউ চায় না। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পরিকল্পিতভাবে নাগরিক সৃষ্টির ব্যবস্থা আছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলো রাষ্ট্রের প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে জনসম্পদ তৈরি করে। আমাদের রাষ্ট্র অপরিকল্পিতভাবে অপ্রয়োজনে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার তৈরি করে। যেখানে নীতি-নৈতিকতার বালাই নেই বলেই কষাই চিকিৎসক, ডাকাত প্রকৌশলী ও ঘুষখোর আমলা তৈরি হয়। অথচ কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সৃষ্টির উপায় আছে।

রাষ্ট্রের নাগরিক সাধারণ যে প্রথা, প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক গড়ে তোলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তার নাম ‘সোস্যালাইজেশন’ বা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া। রাষ্ট্র চায় তার নাগরিকরা সৎ, সাহসী ও নৈতিক হয়ে বেড়ে ওঠুক। এই ‘সামাজিকীকরণ’ প্রক্রিয়া তার মাধ্যম বা বাহন। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায় তার নাগরিকরা সহনশীল ও সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করুক। ঘৃণা না করুক। হিংসা না ছড়াক। সেভাবেই তার শাসন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। অপর দিকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নাগরিকদের বস্তুবাদী, অনুগত ও সাম্যবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। আর একটি ইসলামী রাষ্ট্র চাইবে তার নাগরিকরা সৎ, শুদ্ধ ও ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে উঠুক। বাংলাদেশ বাস্তবে না হলেও খাতাপত্রে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর নেতানেত্রীরা গণতন্ত্রের জন্য অশ্রু বিসর্জন করেন। আশাবাদটা এরকম যে সরকার ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’ বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রথমত : ‘গণ’ অর্থাৎ গণমুখী এবং দ্বিতীয়ত : ‘গণতন্ত্রী’ করে তোলার ব্যবস্থাদি গ্রহণ করবেন। বিগত প্রায় ৫০ বছরে এটা দৃশ্যমান যে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কোনো সরকারই কাম্য সোসাইলাজেশন বা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। নৃবিজ্ঞানী আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী এবং অন্যরা সামাজিকীকরণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ সামাজিক বিধিসম্মত আচরণ শেখে এবং এরই দ্বারা মানুষ সমাজের সদস্যরূপে গড়ে ওঠে। প্রধানত পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মহল্লা, প্রভৃতি সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিকীকরণ সম্পন্ন হয়ে থাকে।

মনস্তত্ত্ববিদ ফ্রয়েড, সামাজিক মনস্তত্ত্ববিদ মিড ও কুলি এবং সমাজতত্ত্ববিদ ডুর্খাইম- সবাই প্রত্যয়টি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করেছেন। খুঁটিনাটিতে পার্থক্য থাকলেও মোটামুটিভাবে এঁদের মতে, সামাজিকীকরণ হলো : একটি প্রক্রিয়া যেখানে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ সামাজিক আচরণ রপ্ত করে। ফলে প্রক্রিয়াটি একান্তভাবেই শিক্ষণের অঙ্গ। অনেকে ঢালাওভাবে শিক্ষণের সাথে সামাজিকীকরণকে সমার্থক ভাবতে চান না। তাদের সামাজিকভাবে স্বীকৃতি বা বিধিসম্মত আচরণ শিক্ষণই সামাজিকীকরণ। বস্তুত, যে সমাজে শিশু জন্মগ্রহণ করে সে সমাজের সংস্কৃতিকে আত্মস্থকরণই হলো সামাজিকীকরণের মূল বিষয়। এ বিষয়টি লক্ষ করেই পারসনস এবং বেলস মত প্রকাশ করেছেন যে, সামাজিক মূল্যবোধের বিন্যাসটি সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফ্রয়েডিয় মতবাদীরা মনে করেন যে, সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশু পিতা-মাতার আদর্শ আত্মস্থ করে এবং তদ্বারা অধিসত্তা অর্জন করে। এদের মতে, ব্যাপারটি ধারণা-মূল্যায়ন ও পরিজ্ঞান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ধারণা মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বলতে পুরস্কার বা তিরস্কারের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিশেষ ধারণা বদ্ধমূল হওয়া বা দূরীভূত হওয়া বুঝায় এবং পরিজ্ঞান প্রক্রিয়া দ্বারা ভালোবাসা বা শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কোনো বিষয় অনুকরণ বা কোনো বিষয়ের সাথে একাত্মবোধকরণ বোঝায়। বিশেষভাবে প্রত্যয়টি শিশুদের প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হলেও এটা একটা সাধারণ প্রক্রিয়া যা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একজন মানুষ যে কোনো বয়সে নতুন সামাজিক গোষ্ঠী বা পরিবেশে ন্যস্ত হতে পারে এবং উক্ত নতুন সামাজিক গোষ্ঠীর মূল্যবোধ আত্মস্থ করতে পারে (সমাজবিজ্ঞান শব্দকোষ, ১৯৮৫, ২৯৯)। মূল্যবোধ আত্মস্থকরণ বা জাতীয় আদর্শ ধারণের পরিবর্তে নাগরিক সাধারণকে দলীয় আদর্শে দীক্ষা দেয়া হয়। দলীয় নেতনেত্রীদের স্তবকে পরিণত করা হয়। উগ্রদলীয় মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করা হয়। একটি ‘হোমোজেনিয়াস নেশন’ বা সমমনোভাবাপন্ন জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান সত্ত্বেও শুধু উগ্রবাদী মনোভাবের কারণে যে তীব্র অথচ কৃত্রিম ভাবাদর্শের সঙ্ঘাত সৃষ্টি হয়েছে গত দু’এক সপ্তাহের রাজনীতিতেই তার প্রমাণ মিলেছে। কাক্সিক্ষত নৈতিক নাগরিক তৈরির কর্মসূচি পরিত্যক্তই থেকে যায়। রাষ্ট্রশক্তির বাইরে মানুষকে নৈতিকতায় অনুপ্রাণিত করার যে স্বাভাবিক কার্যক্রমগুলো রয়েছে বর্তমানে তাও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। ‘সোস্যালাইজেশন’ বা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া শিক্ষা ব্যবস্থা। ঘরে, পরিবারে, লোকাচারে নাগরিক যা শেখে তা পরিশীলিত ও প্রাতিষ্ঠানিকতা পায় শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে। শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়টি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। শিশু-কিশোর কাঁচা মাটির মতো। কাঁচা মাটি দিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন গড়া যায়। মাটি পাকালে কাঠিন্য অর্জন করে। গ্রামদেশে বলে, ‘কাঁচাকালে না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস।’

পৃথিবীর তাবৎ সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা একমত যে, ধর্মই হচ্ছে নৈতিকতার প্রধানতম উৎস। পৃথিবীতে সব ধর্মের আবেদনই সমান। নীতি-নৈতিকতা, সততা, সাহস, সহনশীলতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা- সব ধর্মের শিক্ষা। কোনো ধর্মই বলে না সততা নিকৃষ্ট পন্থা। এ ছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শ, মহত ব্যক্তিও নৈতিকতার উৎস হতে পারে। কিন্তু এগুলো আপেক্ষিক ও অসম্পূর্ণ। যে যে ধর্মকে ধারণ করে তার জন্য সে ধর্মই তার কাছে আবেগময়। সতত, সহজ, সরলভাবে সে ধর্মকে অনুসরণ করতে পারে। শিক্ষা যদি অনুসরণের পরিপূরক হয় তা রাষ্ট্রের জন্য আদর্শ নাগরিক তৈরি করবে। আচরণে তথা আমল ও কর্মে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। নৈতিক শিক্ষার সঙ্গে যেসব বিষয় সরাসরি সম্পর্কিত সেগুলো হলো- সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি প্রতিরোধ, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক উন্নয়ন। আর শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্ম ও নীতি শাস্ত্র সংযোজনের মাধ্যমেই এ গুণাবলি অর্জন সম্ভব।

শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমানে অরাজকতা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন সরকার যেসব ক্ষেত্রে সর্বনাশ সাধন করেছে তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রের সর্বনাশ দীর্ঘস্থায়ী হতে বাধ্য। এরা শিক্ষাকে গবেষণার গিনিপিগ বানিয়ে ফেলেছে। তাদের গবেষণার সর্বশেষ অধ্যায় হলো নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত যে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা প্রচলিত আছে তার সাধারণীকরণ। বিষয়টি চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে তারা ইসলামী শিক্ষাকে বাদ দিতে চাচ্ছে। পরে সংশোধনী এসেছে যে একেবারে বাদ দেয়া নয় : বাধ্যতামূলক থেকে ঐচ্ছিকে পরিণত হবে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে- আগামী ২০২২ শিক্ষা বর্ষ থেকেই ইসলাম শিক্ষাকে ঐচ্ছিক বিষয়ে পরিণত করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। এতে স্পষ্ট হয়েছে যে, পূর্বের শিক্ষাক্রমে ইসলাম শিক্ষা যেভাবে ছিল সেভাবে আর থাকছে না। সুতরাং তা গুরুত্বহীন বিষয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এনসিটিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বোর্ড পরীক্ষায় বাদ দেয়া হলেও ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে থাকছে। আবশ্যিক থেকে ঐচ্ছিকে পরিণত করলে কিভাবে গুরুত্ব বাড়ে? বোর্ডের এ মন্তব্য হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর। বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী আগের তুলনায় নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা ইসলাম বিষয়ে আরো বেশি কিভাবে গুরুত্ব আরোপিত হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে এ বক্তব্য ইতিবাচক যে, ‘আমরা চাইছি তারা (শিক্ষার্থীরা) ভালো কিছু শিখবে এবং সেটির বাস্তবায়ন করতে হবে।’ ধর্মীয় বিষয়ের ব্যাপারেও ব্যবহারিক শিক্ষাদীক্ষার সুযোগ রয়েছে। যে জন্য বাস্তব কর্মসূচি প্রয়োজন। তবে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর এর কার্যকারিতা নির্ভর করে।

নৈতিকতা ব্যতীত যে সুনাগরিক সৃষ্টি সম্ভব নয় তা একটি স্বতঃসিদ্ধ সত্য। আমরা যেমন চাই ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ তেমনি আমরা চাই আমার সন্তান যেন থাকে নিরাপদে। আরো চাই : তারা যেন থাকে সুখে শান্তিতে। আর তা করতে হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। এই চিরন্তন সত্যকে মেনে নেয়ার পর আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় : শিক্ষার প্রতিটি স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার বিন্যাস। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ধর্মীয় শিক্ষাকে পুনর্গঠন করতে হবে। যেখানে যতটুকু ধারণযোগ্য হবে তা বাস্তবভাবে নির্ণয় করা শিক্ষাবিদদের দায়িত্ব। বাস্তব জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে তা প্রণয়ন করতে হবে। তা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। ২০২০ সাল থেকে যে শিক্ষাসূচি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেখানে এমনসব জীবনমুখী বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে যেগুলো আসলেই মুখস্থ করার বিষয় নয়। ধারণ করা, শেখা ও জীবনাচারে পরিণত করার বিষয় সেগুলো। তবে এটাও একটি অপ্রিয় সত্য যে, বাধ্যতামূলক না হলে তা ফাঁকির নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়ে আরো প্রায়োগিক পর্যালোচনার সুুযোগ রয়েছে।

সব দলমতের শাসক এলিটরা যদি বোঝেন, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত উন্মেষ, উন্মোচন ও উৎকর্ষতা সম্ভব নয় তাহলেই কেবল জাতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি হবে- এমন কথা বলেছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। (বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম,২৩ আগস্ট ২০১৫) আজও যদি তা নীতিগত অবস্থান হয়ে থাকে তাহলে খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমাদের শাসক এলিটরা ভালো ভালো কথা বলেন, আর কাজ করেন উল্টোটি। গোটা জাতির নৈতিক অবক্ষয়ের সর্বনাশা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেও যদি তারা সত্যকে অনুধাবন না করতে পারেন- তার চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কিছু হবে না। তেঁতুলগাছ লাগিয়ে যেমন মিষ্টি আম খাওয়া যায় না, তেমনি বিগত ৫০ বছরের নীতি নৈতিকতাবিহীন শিক্ষা দিয়ে নৈতিক নাগরিক পাওয়া যাবে না।

সাম্প্রতিক সমাজচিত্র প্রমাণ করছে যে, ‘চোরচোট্টা, গুণ্ডা-পাণ্ডা, বাটপাড়-বদমায়েশে’ দেশটা ছেয়ে গেছে। কারো হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই। রাতারাতি এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এ জন্য চাই ধর্মীয় ভাবধারা সমৃদ্ধ সামগ্রিক নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা। মনীষী রাস্কিন বলেন, ‘থ্রি আর (রিডিং, রাইটিং, এরিথমেটিক) এরপর জীবন গড়তে চতুর্থ আর অর্থাৎ রিলিজিওন প্রয়োজন। আর তা না হলে, অনিবার্য পরিণতি হবে পঞ্চম আর অর্থাৎ রাস্কেল বা দুর্বৃত্ত।’ আমরা অনাদি অনন্তকাল দুর্বৃত্তায়িত সমাজে বসবাস করতে চাই না।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement