দুটি হত্যার বিচার অধিক গুরুত্বপূর্ণ
- জসিম উদ্দিন
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২৪
‘প্রত্যেকটি মৃত্যু পুরো মানবতার মৃত্যুর সমান’। স্রষ্টার পক্ষ থেকে তার সৃষ্ট মানুষের প্রত্যেকটি প্রাণই সমান গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আর একটি হত্যাও হবে না এটিই শেষ ঘটনা। এমন প্রতিশ্রুতি শুধু সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা না করার ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে । এ ধরনের আশ্বাস জাতিকে হতাশ করে। দুর্ভাগ্য, আমাদের শাসকরা জাতিকে ভাগ করেছেন। কয়েক ভাগ করে কিছু মানুষের প্রাণকে একেবারেই গুরুত্বহীন করে দিয়েছেন। এরাই খুন গুমের শিকার হয়েছেন। ক্রসফায়ারে এনকাউন্টারে জীবন দিয়েছেন।
প্রথমে এদের একটা খারাপ নাম দেয়া হয়েছে। সরকার ও মিডিয়ার একটা বড় অংশ যখন এদের বিরুদ্ধে এই নাম ট্যাগ করে দিচ্ছিলেন তখন তাদের বাঁচার অধিকার, সম্পত্তির নিরাপত্তা, সম্মান ও মর্যাদা একেবারে ঠুনকো হয়ে গিয়েছিল। এই ধরনের একটি শব্দ ছিল ‘জঙ্গি’। যাদের পিঠে এ দাগটি সেটে দেয়া হয়েছিল তাদের আর রেহাই ছিল না। অথচ এরা এ দেশের সাধারণ মানুষ। হয়তো বা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য। বিশেষ করে বিরোধী দলের সদস্য।
সরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ মানুষের প্রাণের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মূল্যায়ন করছেন। যেমন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলো, সেনাবাহিনীর আর একজন সদস্যকেও হত্যা করা হবে না। আমরা মনে করি, কিছু হত্যার বিচারকেও গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। ইতোমধ্যে বোঝা গেছে এই হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আলাদা করে কোনো ব্যক্তির বিচারকে গুরুত্ব দিচ্ছি এমন নয়। বরং প্রত্যেকটি হত্যার সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে কিছু হত্যার বিচার অগ্রাধিকার পেতে হবে। আমরা মনে করি এ বিচারগুলো হলে বাকি হত্যাকাণ্ডের বিচার করাও সহজ হবে। একই সাথে বিচারবহির্ভূত হত্যার যে মিছিল সেটা বন্ধ হবে। শুধু সেনাবাহিনীর সাবেক এবং বর্তমান সদস্য নয়, বরং আর কাউকেই যেন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে না হয়।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রাশেদ সিনহা হত্যার বিচার হওয়া নিয়ে জনমনে প্রবল সংশয় রয়েছে। একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কেন পুলিশ নৃশংসভাবে হত্যা করল, এই প্রশ্নের উত্তর খোলাসা করা যায়নি। তার মৃত্যু নিশ্চত করার জন্য অতিরিক্ত গুলি করা, গলায় বুট দিয়ে চেপে ধরে চরম ঘৃণা প্রকাশ কেন পুলিশ সদস্যরা করলেন, ভবিষ্যতের জন্য তা জানা জরুরি। এ দিকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে রহস্য সৃষ্টি করা হলো। সরকারের মনোভাব, তারা এটি প্রকাশ করবেন না। ”চাঞ্চল্যকর নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট কেন প্রকাশ করা হবে না তার পক্ষে কোনো যুক্তি সরকারের পক্ষ থেকে নেই। যা হোক, সরকার না চাইলেও সংবাদমাধ্যমে সেটা প্রকাশিত হয়ে গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন দেখে বোঝা যাচ্ছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করেছেন। তাদের যেন পেছন থেকে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। আবহটা এমনÑ আর বেশি উদঘাটন করতে যেও না। সিনহার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভেতর গরমিল থাকার ব্যাপারে কমিটি কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিতে পারেনি। টেকনাফ থানার সিসিটিভির ফুটেজ তারা পাননি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনের তালিকা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে তারা পারেননি। হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল ও টেলিগ্রামের কোনো কল রেকর্ড তারা পাননি। সিনহা হত্যার যুক্তি হিসেবে ডাকাতির প্রসঙ্গটি উঠানো হয়েছিল। ডাকাত প্রতিহত করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন লিয়াকত। ওই প্রস্তুতির মধ্যে সিনহাকে হত্যা করেন তিনি। এই সময় ডাকাতি বিষয়ে তার সাথে ফোনে যাদের সাথে কথা হয়েছিল সে ব্যাপারে তদন্ত করা যায়নি। লিয়াকত ডাকাতের আশঙ্কাজনক আক্রমণটি মোকবেলার জন্য স্থানীয় জনপ্রতনিধি এমনকি টেকনাফের স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কারো সাথে আলাপ করেননি। কিন্তু এসব ব্যাপারে তদন্ত কমিটি বেশি অগ্রসর হতে পারেনি।
প্রদীপের ব্যাপারে যৎসামান্য কমিটি জানাল। তাতেই তার ভয়াবহ দাপটের চিত্রটি ফুটে উঠল। তিনি প্রজাতন্ত্রের সামান্য একজন কর্মী হয়েও রাজার মর্যাদায় টেকনাফে থাকতেন। থানার দেয়ালে তার রাজকীয় প্রতিকৃতি সাঁটানো ছিল। সেখানে তিনি তালাক নিয়ে সীমালঙ্ঘন করে বক্তব্য রেখেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মচর্চা নিয়ে এমন মন্তব্য দুঃসাহসিক।
প্রদীপ সাড়ে ৭ লাখ টাকা দামের একটি পিস্তল ব্যবহার করতেন। কমিটির কাছে তিনি বলেছেন, দামি ব্র্যান্ডের পিস্তলটি তার কাছে ‘আরামদায়ক’। ক্রসফায়ারে তার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মানুষ হত্যার অভিযোগ। মানুষ হত্যা তিনি কি আরামের সাথেই করেছেন। এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক। তিনি যেসব অভিযানে এটি ব্যবহার করেছেন তাতে গুলির হিসাব কিভাবে রেখেছেন, তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। কিংবা তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠানো যায়নি। বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীতে এমন দানবিকতার জন্ম হলো কিভাবে? এই প্রশ্ন জনগণের সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে। প্রদীপ একটি বিদেশী দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। একজন সামান্য পুলিশ কর্মকর্তা যিনি বাংলাদেশের মানুষকে পাখি শিকারের মতো গুলি করে হত্যা করেছেন তার সাথে কিভাবে বিদেশী দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ থাকে? সাধারণ মানুষ সিনহা হত্যার ন্যায়বিচার নিয়ে তাই সন্দিহান।
সাধারণ মানুষ পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন দেশে অসংখ্য মানুষ গুম খুনের শিকার হয়েছেন। পুলিশ যাদের ধরে নিয়ে গেছে, রিমান্ডে নেয়ার পর তারা পঙ্গু হয়ে গেছে। এ ধরনের নির্যাতিত মানুষের সংখ্যা সারা দেশে হাজার হাজার। অন্য দিকে সেনাবহিনীর সাবেক একজন চৌকস অফিসার হত্যার আগে আরো দুই শতাধিক নাগরিক হত্যার পরও প্রদীপের পক্ষ থেকে এসব হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশের পুলিশ। রিমান্ডে রাখার সময় তাকে প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তার সুস্থতার কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। একজন চিহ্নিত অপরাধীর প্রতি আমরা অত্যন্ত মানবিক আচরণ দেখতে পাচ্ছি। এমন আচরণ আমরা অন্যান্য বাংলাদেশীর প্রতিও পুলিশের পক্ষ থেকে দেখতে চাই। তবে প্রদীপ সুরক্ষিত এবং তার পক্ষে বড় ধরনের শক্তি কাজ করছে এই অবস্থায় এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক। একজন চিহ্নিত অপরাধীর প্রতি বিদেশী দূতাবাসের সখ্যতা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা রয়েছে। এসব ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের একটি জবাবদিহিতা থাকা উচিত।
সিনহা রাশেদের মতো আরেকটি হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যা। একজন মেধাবী যুবকের এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড সারা দেশে শোকের নদী বইয়ে দেয়। বাংলাদেশের স্বার্থহানির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। ওই সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ফেনী নদীর পানিপ্রাপ্তিসহ আরো কিছু প্রাপ্তি ঘটে ভারতের। অথচ ওই সময় ভারতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির আগ্রাসী তৎপরতায় বাংলাদেশে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বভাবত সবার প্রত্যাশা ছিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশ্বস্ত করবেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রসঙ্গটি উঠানো যায়নি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে একটা কিছু হবে এমন প্রতাশা ছিল আরো প্রবল। সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা করা যায়নি, এর মধ্যে উল্টো ফেনী নদীর পানি তারা নিয়ে নিলো। নিকট অতীতে ভারত যা চেয়েছে সব পেয়েছে। আর বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতাটি শূন্য রয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশের সামান্য কিছু দাবি-দাওয়ার প্রতি ভারত ভ্রুক্ষেপ করবে এমন সঙ্গত আকাক্সক্ষা ছিল জনগণের মধ্যে।
একজন বাংলাদেশী মেধাবী তরুণ হিসেবে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থের বঞ্চনা আবরারকে ভাবিয়ে তুলছিল। ইতিহাস-সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আবরার তাই কিছু কথা লিখেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। এগুলো একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে দেশের সবার স্বার্থসংশ্লিষ্ট। ক্ষমতাসীন দলের বুয়েট শাখার ছাত্রনেতারা এতে ‘শিবিরের কানেকশন’ দেখেছেন আবরারের সাথে। তাদের মতে, বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা সরকারের বিরোধিতা করার শামিল। আর এগুলো করা মানে তারা ‘শিবির’।
আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ছাত্রাবাসের ভেতর হত্যা করা হলো। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি যাতে করে সরকারি ছাত্র সংগঠনের ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হতে পারেন। তিনি যা বলেছেন একজন বাংলাদেশী হিসেবে ছাত্রলীগেরও স্বার্থের পক্ষে বলেছেন। দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের কাছে নিজেদের দেশের পক্ষে কথা বলাও যেন অন্যায়। বুয়েটের এই মেধাবী ছাত্রদের কারা মিসগাইড করল আমরা জানি না। তাদের কাছে দেশের স্বার্থ কোনো গুরুত্বই বহন করে না। আবরার নিশ্চয়ই বুঝেছিলেন সচেতন না হলে প্রতিবেশী হিসেবে আমরা আরো দুর্বল হয়ে পড়ব। ভৌগোলিকভাবে একটি রাষ্ট্র হয়তো আমাদের থাকবে কিন্তু তার স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না। নদী থাকবে শুকনো মৌসুমে তা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবে। বর্ষায় আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে বন্যা। সীমান্তে বাংলাদেশীরা হত্যার শিকার হতে থাকবে। আমাদের বন্দরগুলো কোনো শুল্ক মাশুল ছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশ ব্যবহার করতে পারবে, অপর দিকে আমরা মাত্র ১৫ কিলোমিটারের রাস্তা না পাওয়ায় নেপাল ও ভুটানের সাথে যোগাযোগের রাস্তা পাবো না। প্রকৃতপক্ষে যারা আবরারকে হত্যা করেছে তারা কোন পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করল?
বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে একটা শ্রেণী গড়ে উঠেছে। তারা দেশের স্বার্থে কথা বলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। বড় পড়শির প্রত্যেকটি অন্যায়কে সমর্থন না করলে এ ধরনের ব্যক্তি ও গ্রুপের বিদ্বেষের শিকার হতে হয়। হুমকি ধমকি খেতে হয়, ‘জঙ্গি মৌলবাদী’ বলে আখ্যা পেতে হয়। এ দেশের মানুষের মধ্যে এভাবে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী শ্রেণী তৈরি করা হয়েছে। এ শ্রেণীর বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের নামটি একটি প্রতিবাদের প্রতীক। আবরার ফাহাদের হত্যার বিচার তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান সরকারের আমলে খুবই লক্ষণীয় একটা বিষয়- একের পর এক বড় ঘটনার জন্মদান এবং বড় বড় অপরাধ সংঘটনের ঘনঘটা। এগুলো সরকার ইচ্ছা করে না ঘটালেও, সরকারের নীতির কারণে এমনটি হচ্ছে। একটি অন্যায়ের ফলাফল হিসেবে আরেকটি বড় অন্যায় ঘটছে। একটি বড় অঘটন আগের ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে একটি বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা থেকে সরকার দায়মুক্ত হওয়ার জন্য পরের ঘটনাগুলো ব্যবহার করছে। মানুষ আগের দুর্ঘটনাটিকে ভুলে যাচ্ছে। আমরা দেখলাম, আবরার হত্যার পর আরো অনেক ইস্যুর ভিড়ে তার হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রসঙ্গটি আড়ালে চলে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ গঠন করতে প্রায় এক বছর লেগে গেছে। সিনহা হত্যার পর সারা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, এর বিচারের পথ তৈরি হয়। পরে দেখা গেল, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে বিপুল প্রাণহানি এবং হাটহাজারী মাদরাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলযোগসহ বেশ কিছু ঘটনা যেন সিনহা হত্যার বিচারকে আড়াল করে দিচ্ছে। সিনহার বোন সিনহার মৃত্যুর স্পটে এ বিচারের দাবিতে যেন একাই দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যদি আবরার ও সিনহা হত্যার বিচার করার বিষয়কে ভুলে যাই আমাদের নিরাপত্তাহীনতাকে আরো ঠুনকো করব, আরো বাড়িয়ে দেবো। এ ধরনের হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ডগুলোও সমাজের অন্যান্য ভয়াবহ অপরাধের মতো গা-সওয়া হয়ে যাবে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের সংগঠন রাওয়া ক্লাব একবার সিনহার জন্য বিবৃতি দিয়েছে। একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অন্যরাও হতাশ হয়ে পড়বেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্ষা করার আর কোনো ব্যবস্থা আমাদের জন্য অবশিষ্ট থাকবে না। তাই এ দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে প্রত্যেককে এ দুটো বিচারের জন্য জোরালো আওয়াজ দেয়া উচিত, সরকার যেন কোনোভাবেই এ দুটো বিচারের পথ থেকে সরে না যায়। অপরাধীরা যেন কোনো শক্তির দাপট দেখিয়ে পার পেয়ে যেতে না পারে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা