২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাষ্ট্রকাঠামো প্রদীপদের পক্ষ নিয়েছে

রাষ্ট্রকাঠামো প্রদীপদের পক্ষ নিয়েছে - ছবি : অন্য দিগন্ত

রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী। তারা চিরকাল ক্ষমতায় থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে চান। রাষ্ট্রের পক্ষ যত রকমের দমনপীড়ন আছে তারা সেগুলোকে সমর্থন করতে পারেন নিজেদের স্বার্থে। পুলিশ বাহিনী প্রজাতন্ত্রের সেবক। তারা এ জন্য প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে সুযোগ সুবিধা পান যে, তারা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন, মানুষকে নিরাপত্তা দেবেন। তাই পুলিশ কর্তৃপক্ষ অন্যায়-অনাচারের পক্ষে অবস্থান নিলে জনগণের আর যাওয়ার জায়গা থাকে না। এখন হাজার হাজার মানুষের জান মাল ইজ্জত লুণ্ঠিত হচ্ছে। অন্তত বিগত এক যুগে জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়ার পরিবর্তে পুলিশ ক্ষমতাসীনদের পক্ষে অন্ধভাবে অবস্থান নেয়ায় নাগরিকরা নির্মম নির্দয়তার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশে।

মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা হত্যার পর পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, এরপর এমনটি আর হবে না। যত দূর জানা যায়, অনেকটা আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিশ্রুতি পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ‘পুলিশ আর সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করবে না’। এটাই শেষ। বাস্তবে তাদের একটা অংশের নিয়মিত বর্বরতার শিকার সাধারণ মানুষ। কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে প্রদীপের নেতৃত্বে ২০৪ জন ব্যক্তির বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরা এতদিন অভিযোগ করতে পারেননি। অথচ এই মানুষেরা দেশের প্রকৃত নাগরিক। সংবিধান তাদের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার দিয়েছে। ওসি প্রদীপের রাজত্বে এর কোনোটি তারা ভোগ করতে পারেননি। শুধু সেনাবাহিনীর সদস্য নয় ক্রসফায়ারের নামে একজন সাধারণ মানুষকেও আর হত্যা করা হবে না- এমন প্রতিশ্রুতি দেয়াই সবচেয়ে জরুরি। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এ দেশের সাধারণ মানুষের সন্তান। পুলিশ যেমন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে না, একইভাবে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায়ও তারা বিঘ্ন ঘটাতে পারে না। বরং এ বাহিনীর দায়িত্ব রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। এ ধরনের একটি ঘোষণা তখনই পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া জরুরি ছিল, দেশে প্রথম মানুষটি যখন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছিলেন। এখনো চাইলে পুলিশ সব সাধারণ নাগরিকের স্বার্থে এ প্রতিশ্রুতি দিতে পারে যে, এ দেশে আর একটিও বিচারবহির্ভূত হত্যা ঘটবে না এবং এমনটি ঘটলে তারা এর প্রতিকার করবেন। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা ধামাচাপা না দিয়ে তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হবে। এমন উদার স্বচ্ছ একটি প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য পুলিশ এখন প্রস্তুত নয় বলে মনে হয়।

সিনহা হত্যার পরপরই সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশ প্রধান কক্সবাজারে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। দায়িত্বশীল এ দুই বাহিনীর প্রধান সারা দেশের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যদি এমন সব কথা বলতে পারতেন যাতে দেশবাসী আশ্বস্ত হতে পারত। বিশেষ করে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে দেশে যে গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে সেটা একেবারে বন্ধ করে দেয়ার অঙ্গীকার তারা ঘোষণা করতে পারতেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান ক্রসফায়ার নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, তা পুলিশের সীমাহীন বাড়াবাড়িকে নিরুৎসাহিত করবে না। তিনি বলেছেন, ক্রসফায়ার এনজিওর সৃষ্টি। এক যুগে বাংলাদেশে কতগুলো ক্রসফায়ার হয়েছে সেই পরিসংখ্যান না হয় বাদ। তিনি যখন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় হত্যার শিকার হওয়াকে ‘ক্রসফায়ার’ বলতে চাচ্ছেন না, তখন ওসি প্রদীপের অধীনে ২০৪ জন মানুষ প্রাণ হারানোর ঘটনার খবর জানা যাচ্ছে। এভাবে মানুষ হত্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি ছোড়াকে কি কেউ ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ার’ বলবে? আইজিপির বক্তব্য খণ্ডন করে একটি ইংরেজি দৈনিক তাদের সম্পাদকীয়তে এই মন্তব্য করেছে।

চাপে পড়লে একটা তাৎক্ষণিক বিহিত করার চেষ্টা প্রচেষ্টা এখন খুব দেখা যায়। সিনহা হত্যার পরও এমনটা দেখা যাচ্ছে। এ কথাটি এখন চার দিক থেকে উঠছে, সিনহার দুর্ভাগ্যজনক হত্যা বিনাবিচারে মানুষ হত্যা নিয়ে কথা বলার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে এতদিন যারা মুখ খুলতে পারেননি তারা এখন কথা বলে উঠছেন। অনেক বিবেকবান মানুষও সাহস করে আওয়াজ তুলছেন রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যেই চলা হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় শুধু সিনহা হত্যাকাণ্ডের একটা প্রতিকারের আয়োজন করে পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাস্তবে একটি মানবিক রাষ্ট্রের জন্য প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া আবশ্যক। সে ধরনের কোনো আয়োজন আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি না। তবে এ সুযোগে জাতির সোচ্চার হওয়া উচিত যাতে করে রাষ্ট্র বিচারবহির্ভূত প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান চালায় এবং বিচার পাওয়ার একটি ব্যবস্থা করে দেয়। অন্ততপক্ষে এ ব্যবস্থার জন্য সরকার সামনে এগোতে পারে, যাতে সামনে আর একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে হতে না পারে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় আরো কিছু স্পর্শকাতর ঘটনার। ওইসব ঘটনায় অনেক কর্তা ও প্রধান ব্যক্তিরা জড়িত বলে খবর আসছে। প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো কথা নেই। অনেক ন্যায্য কথা বলার সাহস ও শক্তি রাখে না এ দেশের প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব ভয়াবহ ঘটনার ব্যাপারে অনেকে কথা বলে উঠছেন। অর্থাৎ বিকল্প মাধ্যমে এগুলো প্রকাশ হয়ে পড়ছে। রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থে ওইসব ঘটনার তদন্তে সরকারের নিজস্ব উৎসাহ থাকা উচিত। রাষ্ট্রের ভিতরে ‘আরো রাষ্ট্র’ গড়ে উঠলে সেটা আসলে একটা দুর্বল রাষ্ট্র্র। এই রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষেরা তাদের স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চায় একেবারে দুর্বল বলতে হবে। প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যম যদি এসব খবর যথাসময়ে প্রকাশ করতে পারত তাহলে এত বেশি অন্যায় ও দুর্নীতি এ দেশে হতে পারত না। সরকারের ক্ষমতা চর্চার চাপে সংবাদমাধ্যম ধরাশায়ী হয়ে রয়েছে এটা ঠিক, তবে সরকার এতটা কর্তৃত্ববাদী হওয়ার পেছনে এ দেশের প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যমেরও দায় রয়েছে।

প্রদীপের উত্থানের রেকর্ড বলছে, পুলিশের অনেকে ‘দানব’ হয়ে উঠেছেন। সবার স্বার্থে তাদের অন্ততপক্ষে থামানো দরকার। অনেক ঘটনায় এটা প্রমাণিত হচ্ছে, এই দানবদের ঠেকানোর কোনো পথ অবশিষ্ট নেই। কারণ উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েও নানা কারণে ভুক্তভোগীরা বিচার পাচ্ছেন না। প্রদীপরা যেভাবে উচ্চ আদালতকে পাশ কাটাতে পেরেছেন, সেটা নজিরবিহীন। সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপার হচ্ছে বাহিনীর একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রদীপদের জন্য আনুকূল্য জুটেছে। দেশের আইনকানুনসহ সব মেকানিজম এদের পক্ষ হয়ে কাজ করেছে। এখন কার সাহস আছে এ শক্তিশালীদের থামানোর জন্য কথা বলতে গিয়ে বিপদের মধ্যে পড়বেন? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এরপরেও অনেকে কথা বলে উঠেছেন। তাদের নিশ্চই বাহবা দিতে হয়ে।

দৈনিক প্রথম আলো গত ১২ আগস্ট প্রদীপের বিরুদ্ধে করা এক ভুক্তভোগীর একটি মামলা নিয়ে রিপোর্ট করেছে। রাষ্ট্র কাঠামো কিভাবে খুনিদের পক্ষে ব্যবহৃত হয়ে যাচ্ছে মামলাটির দিশা হারানো থেকে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আমরা আশা করব, এ মামলাটি থেকে ভবিষ্যতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ, সরকার ও আদালত শিক্ষা নেবে। আর কেনো বিচারপ্রার্থী যেন বঞ্চিত হয়ে না যান, এ দৃষ্টান্ত সে জন্য ব্যবহার করা হবে। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক লবণ চাষির বিরুদ্ধে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটান প্রদীপ। তখন কক্সবাজারের মহেষখালীর ওসি তিনি। লবণচাষির স্ত্রী হামিদা বেগম তখন উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয় বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার পর মহেষখালী থানায় মামলা নেয়া হয়নি।

রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ওসি প্রদীপকে আদেশ দেন নিহত ব্যক্তির এজাহার গ্রহণ করার জন্য। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হত্যার শিকার আবদুস সাত্তার একজন লবণচাষি। অন্য দিকে, পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে সাত্তার একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং তখন তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল। হামিদা বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তার স্বামী আবদুস সাত্তারের সাথে স্থানীয় কিছু লোকের বিরোধ ছিল। প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে টাকার বিনিময়ে মহেষখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তার স্বামীকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। থানায় মামলা করতে না পেরে ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে কী কারণে আবদুস সাত্তার হত্যা হয়েছিল তার একটি বিস্তারিত তদন্ত হতে পারত। পুলিশ তা করেনি। অর্থাৎ, পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদীপের দেয়া বয়ানই শতভাগ সত্য। একজন সাধারণ নাগরিকের অভাব অভিযোগের কোনো মূল্য সেখানে নেই। এমনকি সে যদি মারাও যায় তার পরও তার কোনো মূল্য নেই। হামিদা বেগম যখন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাশ হয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলেন সেখানেও প্রদীপের শক্তির দৌড়টি দেখতে পেলেন। উচ্চ আদালতে নির্দেশ দিয়েছিল হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে স্বয়ং পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। অন্য দিকে, উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এরপর মামলার গতি কোন দিকে যাবে সেটা বোঝা যায়। হামিদা তার সামান্য শক্তি নিয়ে অনেক দূর গিয়ে প্রদীপের শক্তিটি কেমন তা বুঝে এসেছেন। তিনি দেখলেন, পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা নিপীড়ক একজন ওসির পক্ষে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবদুস সাত্তার কিভাবে মরেছে তা জানারও কারো আগ্রহ নেই। কারণ, গোল্লায় যাক সাত্তারেরা।

হামিদা বেগমের আসলে আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তার ওপর বড় আশঙ্কা সৃষ্টি হলো তার দুই ছেলের জীবন নিয়ে। তার দুই ছেলেকেও ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি ততদিনে তিনি পেয়ে গেছেন। পত্রিকাটি খবর দিচ্ছে, এই লবণচাষির দুই ছেলে এখন পানের বরজে কাজ করে সংসার চালান। বাবার হত্যার বিচার তারা পাননি; তবে তারা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারছেন। সিনহা হত্যা দুর্ভাগ্যজনক; তবে হামিদা বেগমদের মরে যাওয়ার যে চিৎকার তা দেশবাসীকে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু সারা দেশে এমন আরো কত হামিদা রয়েছেন তার খবর কিভাবে জানা যাবে?

মহেষখালীর হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা হলে এরপরের মানুষগুলো হয়তো প্রদীপের হাতে হত্যার শিকার হতো না। এমনও হতে পারত, প্রদীপ সেখানে থেমে যেত। সে ক্ষেত্রে প্রদীপ হয়তো নিজেও বাড়তি অপরাধ করার হাত থেকে বেঁচে যেতেন। সিনহার মতো এক চৌকস অফিসারকেও হয়তো হারাতে হতো না। এভাবে ছাড় পাওয়ার কারণে প্রদীপরা নিজেরা কখনো একপ্রকার ‘দানব’ হয়ে যাচ্ছেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। তারা যা চাচ্ছেন, আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগের মতো সব পেয়ে যাচ্ছেন। এ সুযোগে মানুষ মেরে হলেও বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তাদের সিন্ডিকেটে যারা রয়েছেন তারাও হয়তো তার কিছু ছিটেফোঁটা পাচ্ছেন। তাই তারা রাষ্ট্রের পুরো শক্তি নিজেদের নির্মমতা আড়াল করার কাজে ব্যয় করছেন। এর দায় শেষ পর্যন্ত সরকারের ঘাড়ে বর্তাবে। সরকার কেন এই দায়ভার নেবে? এমন হত্যার উৎসব চালিয়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের তো কোনো লাভ নেই। বরং এই দলের অনেক সদস্যও প্রদীপদের নির্মমতার শিকার। রাষ্ট্র ক্ষমতা আর যেন কারো দানবতার জন্য ব্যয় না হয় সে দিকে সরকার চাইলে নজর দিতে পারে।

jjshim146@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement