অনেক কিছু বলছে করোনা
- জসিম উদ্দিন
- ২২ জুলাই ২০২০, ১৯:১৪
কোভিড-১৯ নিয়ে সঠিক কথা কেউ বলতে পারেননি। এর সংক্রমণ ও চিকিৎসা নিয়েও কেউ সুনির্দিষ্ট ফর্মুলা দিতে পারেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজেই পরস্পর বিপরীতমুখী তথ্য দিয়েছে। আগের তথ্য পরে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মাস্ক পরার মতো সামান্য ব্যাপার নিয়ে তারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। অন্য দিকে সংবাদমাধ্যমে এমন সব তথ্য-উপাত্ত এসেছে এবং বিশেষজ্ঞদের এমন সব পরামর্শ প্রচার করা হয়েছে শেষ পর্যন্ত যেগুলোকে সঙ্গতিপূর্ণ বলা যাচ্ছে না। সব কিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি এলোমেলো ও বিশৃঙ্খল। তবে বিগত প্রায় সাত মাসে ‘নভেল করোনা’র যে আখ্যান রচিত হয়েছে তাতে মানুষের জন্য অনেক শিক্ষণীয় রয়েছে।
ভাইরাসটিকে মোকাবেলা ও পরাস্ত করার বাগাড়ম্বর যারা করেছেন সেটি শূন্যগর্ভ আস্ফালন ছাড়া অন্য কিছু হয়নি। উচ্চ মানের সতর্কতা ও প্রতিরোধ কর্মসূচি ঠুনকো বলে প্রমাণিত হয়েছে। যারা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত, তারা কম আক্রান্ত হয়েছেন- রেকর্ড এমন বলছে না। প্রতিদিনের খবরে দেখা যাচ্ছে, পরিচিত ধনী ও অভিজাত মানুষেরা এতে মারা যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত গরিব সহায়হীনদের মাঝে চালানো জরিপে দেখা গেছে, তারা বিশ্বাস করেন, এ ভাইরাস তাদের আক্রান্ত করবে না। বস্তি, তথা অরক্ষিত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই মড়ক লাগবে এমন আশঙ্কা সত্য প্রমাণ হয়নি।
আমরা ১৯ জুলাই রোববার পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ এবং এতে প্রাণ হারানো মানুষের চিত্রটি দেখার চেষ্টা করব। করোনাকে নিয়ন্ত্রণের যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে কয়েকটি দেশ কিছুটা সফল হয়েছে বলা যায়। করোনার আচরণের দিক দিয়ে তাদের সাথে বাকি বিশ্বের কোনো মিল নেই। আবার যেসব দেশে করোনা তরঙ্গের মতো ছড়িয়েছে সেখানে এটি আঘাত হেনেছে নানা মাত্রায়। প্রস্তুতি সতর্কতা বা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাÑ কোনোটি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রতিরোধের কারণে এই ভাইরাস দুর্বলতা প্রদর্শন করেছে বলে কোনো নজির দেখা যায়নি। আশ্চর্যজনকভাবে সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোতেই এ ভাইরাসটির সর্বোচ্চ ‘পারফরম্যান্স’ দেখিয়েছে।
গত রোববার পর্যন্ত সারা বিশ্বে এক কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৪৭১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ চার হাজার ৮২৩ জন। সংক্রমিত মানুষের প্রায় প্রতি ২৪ জনে একজন মারা গেছেন। ধনী গরিব ও অঞ্চলভেদে আমরা যখন করোনা মহামারীর চিত্র দেখব, সেখানে দেখা যাবেÑ করোনার এই বৈশ্বিক মৃত্যুর হার করোনার প্রকৃত চরিত্রের প্রতিফলন করে না।
ইউরোপের ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্যে দুই লাখ ৯৪ হাজার ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪৫ হাজার ২৭৩ জন। সেখানে সংক্রমিত প্রতি সাতজনে একজন মারা গেছেন। ইতালিতে মোট আক্রান্ত দুই লাখ ৪৪ হাজার ২১৬ জন। মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৪২ জন। সংক্রমিত প্রতি সাতজনে একজন মারা গেছেন। ইউরোপে এভাবে গড়পড়তা একই ধরনের উচ্চ মৃত্যুহারের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। গড় বৈশ্বিক মৃত্যুহারের চার গুণ হারে এখানে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে করোনায়। ইউরোপের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করোনা প্রতিরোধে কোনো কাজে আসেনি। ধনী হওয়া ছাড়াও এসব দেশে সুশাসনও রয়েছে।
শাসনব্যবস্থার সক্ষমতা যদি করোনার বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে, তা চীনের ব্যাপারে কিছুটা সত্য বলা যেতে পারে। চলতি সপ্তাহের রোববার চীনে নতুন আক্রান্ত ১৬ জন। কেউ মারা যায়নি ওই দিন। গত বছরের ডিসেম্বরে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত সর্বমোট ৮৩ হাজার ৬৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে মারা গেছে চার হাজার ৬৩৪ জন। আক্রান্তের গড়ে ১৮ জনে একজন প্রাণ হারিয়েছে। ইউরোপের চেয়ে তাদের মৃত্যু প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। সতর্কতা ও প্রস্তুতি বলতে যদি বিচ্ছিন্নকরণ ও বেশি বেশি পরীক্ষা বোঝায়, তা হলে চীনকে এ ব্যাপারে সফল বলা যায়। শুরুর তিন মাসের মধ্যেই করোনা তাদের দেশে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা নিয়ে ‘ড্রাগনিয়ান কাণ্ড’ই ঘটেছে। চীনের উহান প্রদেশের ছয় কোটি মানুষ সবাইকে একবার করে পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বমোট দেশটিতে ৯ কোটি চার লাখ ১০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যে দেশে ভাইরাসটির উৎপত্তি সে দেশটিতে এ ভাইরাস কেন ভয়াবহ আঘাত হানল না, তা এক বিস্ময়।
সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে এক লাখ ৪২ হাজার ৮৭৭ জন। সংক্রমিত প্রতি ২৭ জনে একজন মারা গেছেন। করোনা মহামারীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আঘাত আমরা দেখতে পাচ্ছি দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে ২০ লাখ ৭৫ হাজার ২৪৬ জন আক্রান্ত। মারা গেছেন ৭৮ হাজার ৮১৭ জন। সংক্রমিত প্রতি ২৬ জনে একজন মারা গেছেন। করোনায় বৈশ্বিক গড় মৃত্যুহারের সাথে এই মড়ক হারের মিল রয়েছে।
ভাইরাসটির এক ভিন্ন রূপ দেখা গেল অনগ্রসর গরিব ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার দক্ষিণ এশিয়ায়। এ অঞ্চলে রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্ত দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জন। মারা গেছে দুই হাজার ৫৮১ জন। সংক্রমিত প্রতি ৭৮ জনে একজন মারা গেছে। করোনার আঘাতটি বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভিন্ন। এখানে দুর্বল সরকারব্যবস্থা, ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরও মৃত্যুহার সারা বিশ্বের গড় মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাজ্যে ১৩ গুণ বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। আবার এতে মৃতের সংখ্যাও অনেক বেশি। সব মিলিয়ে হিসাব করলে করোনার আক্রমণ বাংলাদেশে অনেক মৃদু।
ভারতের চিত্রটিও আমাদের সাথে কিছু মেলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৬ হাজার ৮২৮ জন। সংক্রমিত প্রতি ৪০ জনে একজন মারা গেছেন। উপমহাদেশের করোনা মহামারী চিত্রের সাথে ইউরোপের চিত্র তুলনা করলে প্রমাণিত হয়, উন্নত শাসন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনা আক্রমণ মোকাবেলায় কোনো কাজে আসেনি।
বাংলাদেশে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হতে শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি। মে মাসের শেষে সেটা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। জুনের মাঝামাঝি সময়ে চার হাজার স্পর্শ করে। এরপর দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ তিন হাজার থেকে চার হাজারের মধ্যে ছিল। জুলাই মাসের শুরু থেকে বিগত তিন সপ্তাহে সংক্রমণ সাড়ে তিন থেকে আড়াই হাজারের মধ্যে রয়েছে। বিগত ছয়-সাত সপ্তাহের মৃত্যুর গ্রাফটি দেখে একই চিত্র পাওয়া যায়। জুনের শুরুতে গড়ে ৪০ জন করে করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারাতে থাকেন, জুনের শেষ এসে দেখা যায়, একদিন সেটা ষাটের ওপরে উঠে গেছে। এর পর থেকে আবার গড়ে ৪০ জনের প্রাণহানি আমরা দেখছি। রেখাটি গড়ে এখন আর ঊর্ধ্বমুখী নয়।
চীনের উহান থেকে আসা বাংলাদেশীদের আমরা কোয়ারেন্টিন করলাম। ওই সঙ্গনিরোধ ছিল কঠিন। ১৪ দিনে একজন মানুষও করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেল না। এরপরে আর সে রকম জোর সতর্কতা রক্ষা করা গেল না। পরে ইউরোপের ইতালি থেকে স্র্রোতের মতো প্রবাসী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা সারা দেশের মানুষের মহাসাগরে মিশে গেছে। কেউ তাদের খোঁজখবর রাখেনি। আমাদের কেবলই চীনা ভাইরাসের কথা মনে হয়েছে। আমরা খেয়াল রাখতে পারিনি যে, এটা আরো জোরালো এবং ‘ইতালিয়ান সংস্করণ’ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। আসলে ঔপনিবেশিক শক্তি ইউরোপের প্রতি আমাদের বরাবরই উচ্চ ধারণা।
এরপর লকডাউন করার চিন্তা শুরু হলো। সেটা আমরা এমন সময় আরোপ করলাম যখন ‘চোর পালিয়েছে’। লকডাউন আরোপ করে আবার উঠিয়ে নেয়া হলো। সেটা মহামারী সংক্রমণ বিস্তার লাভ করার আরো অনুকূল হলো। এলো ঈদ। সারা দেশে করোনা অবাধে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস যদি পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করা হয় তা হলে এ ধরনের একটা বিশৃৃঙ্খল ব্যবস্থা দেখা যায়। কিন্তু করোনার বিশ্ব পরিস্থিতি যদি আমরা গভীরভাবে লক্ষ করি তা হলে দেখব, প্রায় সব দেশ একই ধরনের ভুল করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই, করোনাকে আসলে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। এটি ছিল এক অপ্রতিরোধ্য ভাইরাস।
নভেল করোনা অপ্রতিহত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি এর প্রতিকারের প্রাকৃতিক নিয়মটিও সমান্তরালে চলেছে। তাকে বালুর বাঁধ দিয়ে আটকানোর চেঁচামেচি ও শোরগোল লক্ষণীয় ব্যাপার ছিল। বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য আসলে করোনার প্রস্তুতির কোনো ব্যাপার থাকতে পারে না। এখানে গরিব অসহায় মানুষের অনিরাপত্তা নিত্যসঙ্গী। সরকারের অনেক প্রস্তুতি কিংবা অনেক অর্থ বরাদ্দ গরিব মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করেছে এমন নজির খুব সামান্য। কেউ যদি সরকারের এসব বরাদ্দের ফলে করোনা থেকে রক্ষার উন্নত চিকিৎসা পেয়ে থাকেন সেটি বিরাট বড় ভাগ্যের ব্যাপার। যারা মোটামুটি অর্থকড়ির মালিক তাদেরও হাসপাতালে ক্লিনিকে ঘুরে অতঃপর রাস্তায় জীবন দিতে হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে চড়ার যাদের সামর্থ্য নেই তাদের মৃত্যু বাসাবাড়িতেই হয়েছে। মারা যাওয়ার পর লাশের সৎকার নিয়ে বিশাল ভোগান্তি। কেউ পাশে নেই। তবে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মহান ব্যক্তি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
চার দিক থেকে শোরগোলের মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমী কথাও শোনা যাচ্ছে। এমন একটি কথা গোড়া থেকে বলে আসছেন গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল। তার নামে ১৫টি আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব প্যাটেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪টি ডায়াগনস্টিক কিট। তিনি ভাইরাস নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করছেন। দুই মাস আগে তিনি বলেছিলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হয়ে গেছে। নমুনা সংগ্রহ ও সংক্রমণের হার থেকে তার এ কথাটির সত্যতার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়। মানুষ নেহায়েতই বাধ্য না হলে করোনা শনাক্ত করতে যায় না। কারণ এটি একটি বিরাট ভোগান্তি। অপমান লাঞ্ছনাও এর সাথে যুক্ত হয়।
করোনার যে লক্ষণ আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যায়, সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ এতে আক্রান্ত হয়ে আবার মুক্তও হয়ে গেছেন। বিজন কুমার এবার পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঢাকায় করোনা সংক্রমণের পিক চলে গেছে। তবে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জনপদে এই পিকটি আসতে হবে। গ্রামে এর আঘাত শহরের চেয়ে কতটা কম বেশি হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পিক চলে যাওয়ার মানে হচ্ছে, মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া। সোজা কথায়, করোনার বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হচ্ছে। তা হলে এর সংক্রমণের হার আর বাড়বে না। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ দরকার সেটা আর নেই। সেটি মানুষের দেহে প্রবেশ করার পর দেহটিকে কব্জা করার পরিবর্তে নিজেই ধরাশায়ী হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যত বেশি মানুষের দেহে প্রবেশ করে ভাইরাসটি ধরাশায়ী হবে ততই এর প্রকোপ কমবে। দেহের ক্ষতি করার জন্য আর কোনো ‘হোস্ট’ না পেলে সে আস্তে আস্তে বিদায় নেবে।
তিনি বলেছেন, অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হলে এর মাত্রাগত দিকটি নিয়ে সমীক্ষা করা যেত। সরকার গণস্বাস্থ্যের করোনা কিট নিয়ে অতি সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ‘অত্যধিক সতর্কতা’র কারণে তাদের কিটটি দেশে আর আলোর মুখ দেখেনি। অন্য দিকে দুর্নীতিবাজ সাহেদ ও সাবরিনারা এ নিয়ে অবৈধ বাণিজ্য করার সরকারি সনদ সহজে জোগাড় করছিল। তাদের ব্যাপারে কোনো সতর্কতাই অবলম্বন করা হয়নি। এর ফলে দেশের বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিদেশে আমাদের দেশের মান-ইজ্জত ডুবেছে। প্রায় পুরো বিশ্ব করোনাকালে আমাদের প্রত্যাখ্যান করছে, কোনো দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না আমাদের। এখন গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের মূল্যায়ন করছে ঔষধ প্রশাসন। কিটটি সস্তায় পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় টেস্টটি করে মানুষ উপকৃত হতে পারবে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা