২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বৈশ্বিক পরিচিতির জন্য অনুবাদের বিকল্প নেই

-

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এখন চলছে অমর একুশের বইমেলা। রোববার এ মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। মেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের শিল্পকলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি আরো উন্নত মানের করে তা বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেয়ার সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। আমাদের সাহিত্যের আরো অনুবাদ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুক, সেটাই আমরা চাই। বাংলা একাডেমি এ ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে।’

এই অনুবাদের প্রসঙ্গ নিয়েই কিছু বলছি। আগে বলে নিই, প্রধানমন্ত্রী কথাগুলো এই প্রথম বললেন, এমন নয়। প্রায় প্রতি বছরই বইমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি একই ভাষায় কথা বলে থাকেন। কিন্তু তার বক্তব্যটিকে বাস্তবে রূপায়ণের দায়িত্ব যাদের তারা কতটা উদ্যোগী হন, তা নিয়ে সংশয় আছে। আরেকটি কথা বলা দরকার, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার সময় সেই ১৯৫৫ সালেও অনুবাদের ওপরেই বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। একাডেমির চারটি বিভাগের একটি ছিল ‘অনুবাদ বিভাগ’। একাডেমির উদ্বোধনী বক্তৃতায় তখনকার পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মরহুম আবু হোসেন সরকার বলেছিলেন, বাংলা সাহিত্যের প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা শুধু দেশে করলেই চলবে না, দুনিয়ার সর্বত্র অনুবাদ পৌঁছে দিতে হবে। তার ভাষায়, ‘এই সকল অনুবাদগ্রন্থ আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও জীবনের দূত হিসাবে আমাদের প্রাণের কথা দুনিয়ার সর্বত্র বহন করিয়া লইয়া যাইবে।’ বোঝা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীরা প্রায় একই ভাষায় কথা বলেন। কিন্তু তাদের কথার বাস্তব রূপায়ণ ঘটে না।

এবার প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় একটি কথা বলেছেন, যেটি বাস্তবের সাথে তেমন সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি বলেছেন, বাংলা একাডেমি এ ব্যাপারে (অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশের) ‘যথেষ্ট উদ্যোগ’ নিয়েছে। এ কথাটি বিশেষ করে ‘যথেষ্ট’ শব্দটি বাস্তবভিত্তিক বলে আমাদের ধারণা। সত্য হলো, বাংলা একাডেমির গত ৬৫ বছরের ইতিহাসে খুব বেশি অনুবাদকর্মের নিদর্শন পাওয়া যায় না। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৫ সাল থেকে ’৭১ পর্যন্ত ১৫ বছরে যত বই অনুবাদ করা হয়েছে, ’৭১-পরবর্তী গত ৫০ বছরে তার অর্ধেকও হয়েছে কি না সন্দেহ। যদ্দূর জানা যায়, বাংলা একাডেমির কাছে এ সম্পর্কিত কোনো তালিকাও নেই। ২০১৬ সালে একটি দৈনিক পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বাংলা একাডেমি ৬০ বছরে বিদেশী ভাষার সাহিত্য অনুবাদ করেছে ১০০টির কিছু বেশি। অথচ ৬০ বছরে প্রায় ৬০ জন লেখক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেলপ্রাপ্ত লেখকের লেখার সাথে দেশের পাঠকদের যদি পরিচয় করিয়ে দেয়া না হয়, তাহলে কী করে হবে? এরপরও কথা থাকে, নোবেল প্রাইজ একটি স্বীকৃতি মাত্র। এই স্বীকৃতি না পাওয়া সারা বিশ্বের অনেক লেখকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই প্রতি বছর প্রকাশিত হচ্ছে এবং বিশ্ববাসীর চিন্তা ও মননে আলোড়ন তুলছে। সেসব বই আমরা পড়ব কিভাবে, যদি অনুবাদ না হয়?

এটি গেল একটি দিক। আরেকটি দিক হলো, বাংলাদেশী বিশিষ্ট লেখকদের বইয়ের ইংরেজি বা অন্য ভাষায় অনুবাদ। এই কাজটি কতটা করেছে বাংলা একাডেমি তা প্রশ্নসাপেক্ষ। বিদেশী লেখকের বিখ্যাত বইয়ের অনুবাদ বাংলা একাডেমি না করলেও দেশের বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থাগুলো ব্যবসায়িক কারণে কিছু কিছু করছে। কিন্তু তারা বাংলাদেশী লেখকের বই বিদেশী ভাষায় অনুবাদের দায়িত্ব সেভাবে নেয় না বোধগম্য কারণেই। তবু হুমায়ূন আহমেদ, তসলিমা নাসরিন, সেলিনা হোসেন এবং নাসরিন জাহানের কয়েকটি বইয়ের তরজমা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেই করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এ দায়িত্বটি বাংলা একাডেমির নেয়া উচিত। বিদেশী বই যেমন বাংলায় তরজমা বা অনুবাদ করতে হবে, তেমনি বাংলাদেশের বইও করতে হবে বিদেশী ভাষায়। কোনোটিকেই কম গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য বাংলা একাডেমির অনুবাদ শাখা জোরদার করা এবং এর জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার আছে। কতটা অর্থ বরাদ্দ করতে হবে? আমরা মনে করি, বিশ্বের সর্বত্র আমাদের সাহিত্যের অনুবাদ পৌঁছে দিতে এবং সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি বই বাংলায় অনুবাদের জন্য যতটা প্রয়োজন, তত অর্থই বরাদ্দ দিতে হবে।

আসলে একটি দেশের বা ভাষার সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে সারা বিশ্বের মানুষকে পরিচিত করার একমাত্র ও অবিকল্প উপায় হলো অনুবাদ। দেশের লেখকদেরও ইচ্ছে থাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছানোর। সবাই চান, তার লেখা বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। বিশ্ব জানুক তাদের বক্তব্য, তাদের শিল্পশৈলী এবং মনের অনুভূতি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিশ্বের বড় বড় প্রকাশনা সংস্থাগুলো বাংলা সাহিত্য প্রসঙ্গে সেভাবে জানেই না। বাংলাদেশে কোনো বড় লেখক আছেন- এই ধারণাই তাদের নেই। সুতরাং তারা এ দেশের সাহিত্য অনুবাদ করেন না। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে অনুবাদ সাহিত্যের কোনো ক্ষেত্র এখনো তৈরি হয়ে উঠতে পারেনি। অভাব রয়েছে ভালো অনুবাদকেরও।

বাংলাদেশে যারা অনুবাদ সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে সবার আগে উল্লেখ করতে হবে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নাম। নোবেলজয়ী কবি ও কথাশিল্পী নাগিব মাহফুজ থেকে শুরু করে ইউরোপ আমেরিকার অনেক নামকরা সাহিত্যিকের রচনা বাংলায় তরজমা করে তিনি আমাদের পাঠকদের সামনে পেশ করেছেন। বাংলাদেশের কবিতা বিশ্বদরবারে উপস্থাপনেও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নজরুলের বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতা থেকে শুরু করে শামসুর রাহমানের অনেক কবিতা তিনি তরজমা করেছেন। অনেক নবীন কবির কবিতাও তিনি অনুবাদ করেছেন। এরপর কবি শামসুর রাহমান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আবদুস সাত্তার, সৈয়দ শামসুল হক, হায়াৎ মামুদ, দ্বিজেন শর্মা, রকিব হাসান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কায়সার হক, ফকরুল আলম, আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, এ এ রেজাউল করিম, সাজ্জাদ শরীফ, রফিকুম মুনীর চৌধুরী প্রমুখ অনুবাদ সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ব্যতিক্রম শুধু কায়সার হক ও ফকরুল আলম। দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। কায়সার হক মূলত ইংরেজি ভাষার মৌলিক কবি, যাকে বর্তমান বিশ্বে ইংরেজি ভাষা চর্চাকারী কবিদের মধ্যে একজন ‘শক্তিমান কবি ও লেখক’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশের সাহিত্যের বিদেশী অনুবাদকও একেবারে কম নেই। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সেই আদিপর্ব থেকেই এই ধারা চলে আসছে। শত শত বিদেশী নাগরিক বাংলা শিখেছেন, বাংলায় লিখেছেন এবং বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ের উইলিয়াম রাদিচের নাম আমরা জানি। রাদিচে (জন্ম ১৯৫১) অক্সফোর্ড থেকে ইংরেজিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলা শেখেন তারাপদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে- লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে। তিনি বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের কাব্যই অনুবাদ করেছেন। করেছেন রবীন্দ্র ছোটগল্পের অনুবাদও। তার অনুবাদে ৪৮টি কবিতা নিয়ে ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : সিলেকটেড পোয়েমস’ নামে একটি কাব্য। এটি প্রকাশের পর পশ্চিমা বিশ্ব যেন নতুন করে রবীন্দ্রনাথকে চিনেছে।

রাদিচের সবচেয়ে বড় অবদান হলো, বহু অজানা দেশে বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোতে, যেখানে বাংলা ভাষার কথাই জানা ছিল না এবং জানা ছিল না বাংলা সাহিত্যের ঐশ্বর্যের কথা, সেসব দেশে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের খবর পৌঁছে দিয়েছেন। এমন আরো অনেকেই বাংলা সাহিত্য অনুবাদের কাজ করে চলেছেন।

বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ যেমন দরকার, তেমনি আরেকটি কাজও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। সেটি হলো, বাঙালি লেখকদের ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য চর্চা। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্যারিবিয়ান লেখক ভি এস নাইপল ইংরেজি ভাষায় লিখে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ঘটনা ভারতীয় সাহিত্যের প্রতি বিশ্বের পাঠকদের মনোযোগ আকৃষ্ট করার অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। তেমনি ভূমিকা রেখেছে সালমান রুশদির বিতর্কিত গ্রন্থ ‘স্যাটানিক ভার্সেস’। অমিতাভ ঘোষ, ঝুম্পা লাহিড়ী, অনিতা দেশাই, আর কে নারায়ণ, রাজা রাও, বিক্রম শেঠ, অমিত চৌধুরী প্রমুখ খ্যাতিমান ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক তাদের ইংরেজি সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সংস্কৃতিকে অত্যন্ত সফলভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এদের কেউ ম্যান বুকার, কেউ পুলিৎজার ইত্যাদি বিশ্ববিখ্যাত পুরস্কার অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

আমাদের মনে হয়, এ ধারাটি বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রেও জোরদার হওয়া দরকার। বাংলাদেশের অনেকেই এখন ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য চর্চা করছেন। তাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নজর কেড়েছেন। কায়সার হকের কথা আগেই বলেছি। তার ‘পাবলিশড ইন দ্য স্ট্রিটস অব ঢাকা’ বাংলাদেশের অন্য যেকোনো কবির কবিতার মতোই গোটা বাংলাদেশের, রাজধানী ঢাকার জীবনকেই উপজীব্য করেছে। আমাদের অর্জন, আমাদের গর্বের জায়গাগুলোকেই তুলে ধরে তার কবিতা। প্রবাসী বাংলাদেশী মনিকা আলি বা মঞ্জু ইসলামের বর্ণনায় ইংল্যান্ডের বাঙালি ডায়াসপোরার জীবন যেমন উঠে আসছে, তেমনি তাহমিমা আনামের ভাষ্যে উঠে আসছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং এ দেশের মানুষের প্রতিদিনের জীবনসংগ্রামের রূপকল্প। মনিকা আলি তার প্রথম উপন্যাস ‘ব্রিক লেন’-এর জন্য ম্যান বুকার পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন। পরে উপন্যাসটি থেকে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়। তাহমিমা আনাম প্রথম উপন্যাস ‘অ্যা গোল্ডেন এজ’-এর জন্য পেলেন কমনওয়েলথের সেরা প্রথম বইয়ের পুরস্কার।

জিয়া হায়দার রহমান তার প্রথম উপন্যাস ‘ইন দ্য লাইট অব হোয়াইট উই নো’ দিয়ে বাংলাদেশী ডায়াসপোরা লেখক হিসেবে আলোচনায় এসেছেন। উপন্যাসটির রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য নিউইয়র্কার’-এর মতো ইংরেজি সাপ্তাহিকে। জিয়াও তাহমিমার মতো লন্ডন প্রবাসী। খুব অল্পবয়সীদের ভেতর আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডীয় লেখক গালিব ইসলাম। গালিব তার প্রথম উপন্যাস ‘ফায়ার ইন দ্য আননেইম্যাবল কান্ট্রি’ দিয়ে কানাডার মূল ধারার সাহিত্যে আলোচনায় আসেন। দেশটির সদ্য নোবেলজয়ী লেখক মার্গারেট অ্যাটউড উপন্যাসটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এমন অনেক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লেখক এখন দেশে ও বিদেশে থেকে ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করছেন। তাদের অর্জনও একেবারে উপেক্ষা করার মতো নয়। দেশে কালজয়ী কোনো সাহিত্য রচিত হচ্ছে, এমন মনে হয় না। প্রবাসে বসে যারা নিজেদের রচনায় বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন, তারা যদি আন্তর্জাতিক জীবনবোধের সাথে পরিচয়ের সূত্রে বড় কিছু করে উঠতে পারেন, তাহলে এর প্রভাবে এ দেশেও সাহিত্যে বড় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা মহৎ সাহিত্য রচনার উপযোগী মনে হয় না।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারত থেকে ২৪ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত প্রেস ক্লাবের সামনে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার চেষ্টা গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায় ‘মৃত্যু ও ধ্বংস’র অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সামরিক অভিযানে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত ’ভারত সরকার একতরফাভাবে আ’লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে’ গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের মেরে ফেলতে চান নেতানিয়াহু! কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের চোরকে নাগালে পেয়েও না ধরার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জে নারীর লাশ উদ্ধার আগামী বছরের শুরুতেই তিস্তার সমস্যা সমাধানে মহা পরিকল্পনা নেয়া হবে : আসিফ মাহমুদ

সকল