২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সন্ত্রাসবাদের নেপথ্যে

-

সন্ত্রাসবাদ কোনো জাতি-রাষ্ট্রের একক সমস্যা নয় বরং বৈশ্বিক সমস্যা। যদিও সাধারণভাবে সন্ত্রাসবাদের কোনো বেঁধে দেয়া সংজ্ঞা বা সীমারেখা নেই। তবে প্রচলিত সংজ্ঞানুযায়ী সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও কোনো আদর্শিক লক্ষ্য হাসিলের জন্য কৃত এমন কাজ যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সঞ্চার করে এবং জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে। আইনবহির্ভূত উগ্রবাদী কার্যকলাপ এবং যুদ্ধকেও সন্ত্রাসবাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। মূলত প্রথাবিরুদ্ধ উগ্রতা সন্ত্রাসবাদের প্রতিভূ। আর সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে সভ্যতা ও মানবতার প্রধান প্রতিপক্ষ।

‘সন্ত্রাসবাদ’ কথাটার বহুল প্রচলন শুরু হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব থেকেই। আর এটিই হচ্ছে তাদের বৈশ্বিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলার মোক্ষম হাতিয়ার। বিশ্বের যেকোনো স্থানে সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের সংযুক্তকরণ পশ্চিমা বিশ্বের রীতিমতো ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই অশুভ প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। বিশেষ করে ৯/১১-এর পর থেকে এই প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। তবে হালে সে অবস্থার কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আর ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না তারা। কারণ, ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদের নেপথ্য কথা ও থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি ব্রাসেলস-ভিত্তিক ‘পলিটিক্যাল ক্রিয়েটিভ ফাউন্ডেশন’-এর একটি রিপোর্ট সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টের ভাষ্যমতে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের শিকার ৯১.২ শতাংশ নিরপরাধ মুসলিম। সারা বিশ্বে যত সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে তার ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে ক্ষতির শিকার হয়েছেন বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মুসলিমরা। অতিসম্প্রতি প্রকাশিত ফরাসি রিপোর্টে দাবি করা হয়, এ সব হামলার মধ্যে ৮৯.১ শতাংশ সন্ত্রাসবাদের ঘটনা মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতেই ঘটানো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে মুসলিমরা।

‘পলিটিক্যাল ক্রিয়েটিভ ফাউন্ডেশন’-এর এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে হামলা করার পর থেকে আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী যত সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে শুধু মুসলমানরাই ৯১.২ শতাংশ হামলার শিকার হয়েছে। রিপোর্টের ভাষ্যমতে, গত ৪০ বছরে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা বিশ্বব্যাপী ৩৩ হাজার ৭৬৯টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এ হামলাগুলোয় নিহত হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৯৬ জন। এক লাখ ৫১ হাজার ৪৩১ জন মানুষ আহত হয়েছে। আর এজন্য সংশ্লিষ্টদের সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি, উগ্রবর্ণবাদ ও ধর্মান্ধতাকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু এসব সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুসলমানদের সম্পৃক্ত করা যায়নি বরং গবেষণায় ভিন্নচিত্রই উঠে এসেছে।

মূলত উগ্র বা চরমপন্থী সাম্প্রদায়িকতার পরিশীলিত রূপই হচ্ছে বর্ণবাদ। আর বর্ণবাদ সেই দৃষ্টিভঙ্গি, চর্চা এবং ক্রিয়াকলাপ যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে, মানুষ বৈজ্ঞানিকভাবেই অনেকগুলো গোষ্ঠীতে (races) বিভক্ত এবং একই সাথে আরো বিশ্বাস করা হয়; কোনো কোনো গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর চেয়ে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে উঁচু অথবা নিচু; কিংবা তার ওপর কর্তৃত্ব করার অধিকারী; অথবা অধিকতর যোগ্য কিংবা অযোগ্য।

অবশ্য বর্ণবাদের এক এবং অভিন্ন সংজ্ঞা নির্ধারণ করাও সম্ভব হয়নি। কারণ, গবেষকদের মধ্যে গোষ্ঠী (races) ধারণা নিয়েই মতবিরোধটা বেশ প্রবল। বর্ণবাদ কখনো গাত্রবর্ণ, কখনো আঞ্চলিকতা, কখনো গোত্র, কখনো বর্ণ (caste) দিয়ে হতে পারে। কারো কারো মতে, মানুষের আচরণ যদি কখনো তার জাতি বা বর্ণ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেটি অন্য কারো জন্য ক্ষতিকর না হলেও তাকে বর্ণবাদ বলা হবে। এ বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মত হলো, শুধু আঞ্চলিকতা, গোত্র বা বর্ণচিন্তায় প্রভাবিত হয়ে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ওপর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা; নিগ্রহ, শোষণ এবং অত্যাচার চালানোর নামই বর্ণবাদ। আর বর্ণবাদের উগ্র বহিঃপ্রকাশই সন্ত্রাসবাদ।

বস্তুত ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদ একে অপরের পরিপূরক। ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও প্রায়োগিক উপযোগিতা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন না করেই স্বল্প ও অস্বচ্ছ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে গোঁড়ামি বা চরমপন্থা অবলম্বন করাই হচ্ছে ধর্মান্ধতা। অতীব দুঃখের বিষয় যে, বিশেষ উদ্দেশ্যে ধর্মানুরাগী মানুষদেরই এখন ধর্মান্ধ তকমা লাগানো হচ্ছে এবং এই প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবেই বেড়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধর্মান্ধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রীতিমতো সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা এখন বৈশ্বিক সমস্যায় রূপ নিয়েছে।

বস্তুত ভিন্ন সম্প্রদায়ের অধিকার ক্ষুণ্ন করে, স্বার্থহানি ঘটিয়ে নিজ সম্প্রদায়ের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা-অপপ্রয়াসই সাম্প্রদায়িকতা হিসেবে গণ্য করা হয়। আর বর্ণবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মান্ধতা উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িকতার পরিশীলিত রূপ মাত্র। আর অন্যের স্বার্থে কোনো প্রকার ব্যাঘাত না ঘটিয়ে, ভিন্নমত ও ভিন্নধর্মের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই নিজ সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা কোনোভাবেই কোনো নীতি গর্হিত কাজ নয়। তা সাম্প্রদায়িকতা বা সন্ত্রাসবাদের পর্যায়ভুক্ত বিবেচনারও সুযোগ নেই।
সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদের জন্য মুসলমানদের দায়ী করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মুসলমানরাই এখন এর প্রধান ভিকটিম। যা সাম্প্রতিককালের ঘটনা প্রবাহের দ্বারা খুবই স্পষ্ট। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ হুমকির মুখে পড়েছে- এমন উদ্ভট ও কল্পিত বিশ্বাস থেকে গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে নির্বিচার গুলিবর্ষণে হত্যা করা হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমা বিশ্বসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব সন্ত্রাসবাদী ও বর্ণবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় সবই হয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ঘটনার আদ্যেপ্রান্ত পর্যালোচনায় এক ভয়াবহ চিত্রই বিশ্ববাসীর সামনে উঠে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে সুইডেনের ট্রোলহাটনের স্কুলে হামলায় নিহত হন তিনজন মুসলিম। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কানাডার কুইবেক অঙ্গরাজ্যের এক মসজিদে ২৯ বছর বয়সী বিসোনেত্তে নামের ব্যক্তি গুলিবর্ষণ শুরু করে। ওই হামলায় নামাজ আদায়রত ছয়জন মুসল্লি নিহত হন। আহত হন আরো ১৯ জন। ২০১৭ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডে ছুরিকাঘাতে নিহত দু’জন। হত্যাকারীর বক্তব্য ছিল, ‘স্বাধীনভাবে কথা বলতে দাও নইলে মরো। তুমি একে সন্ত্রাসবাদ বলতে পারো, আমি এটাকে দেশপ্রেম বলব।’

একই বছরের জুনে যুক্তরাজ্যের ফিনসব্যুরি পার্কের বাইরে একটি মসজিদের বাইরে মুসল্লিদের ওপর চালিয়ে দেয়া ভ্যানের চাপায় নিহত হয় মুকাররম আলি ও অপর ১২ জন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, ড্যারেন অসবর্ন নামের হত্যাকারী ভ্যান হামলার পর চিৎকার করে বলেছিল, ‘আমি সব মুসলমানকে মারতে চাই-অল্প কয়েকজনকে মারলাম।’

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা সংস্থার জরিপের ফলাফলে দেখা দেছে, গত ১০ বছরে দেশটিতে শতকরা ৭১ ভাগ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীরা। অথচ এ ঘটনার জন্য পুরোপুরি মুসলমানদেরকেই দায়ী করা হয়েছে বরাবরই।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংস্থা অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ কাজ করে ইহুদিবিরোধী ও বিভিন্ন জাতিগত বিদ্বেষমূলক ঘটনা নিয়ে। সংস্থাটির এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যতগুলো সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে ৭১ শতাংশ চালিয়েছে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী ও আধিপত্যবাদীরা। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালের তুলনায় গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। এদিকে, ‘দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস অব অস্ট্রেলিয়া’ নামের গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ‘এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে।’ সিডনিভিত্তিক সংস্থাটির ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচক ২০১৮’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে (সারাবিশ্বে) উগ্র-ডানপন্থী দল ও ব্যক্তিরা ১১৩টি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। এদের অধিকাংশই মুসলমান।’

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, শুধু ২০১৭ সালেই হামলা হয়েছে ৫৯টি। আর সে বছর মারা গেছে ১৭ জন।

২০১৭ সালে ১২টি হামলা হয়েছে যুক্তরাজ্যে, ছয়টি সুইডেনে এবং গ্রিস ও ফ্রান্সে দু’টি করে হামলা চালানো হয়েছে। একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা হয়েছে ৩০টি। নিহত হয়েছে ১৬ জন। সংস্থাটির হিসাবে সেসব হামলার অধিকাংশই পরিচালিত হয়েছে ‘মুসলিমবিরোধী ভাবাবেগে আক্রান্ত উগ্র-ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা।

‘গ্লোবাল টেরোরিজম ডাটাবেজ’-এর তথ্যে জানা যায়, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সেসব সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেগুলো তিনভাগের দু’ভাগ চালিয়েছে বর্ণবাদী, মুসলমানবিরোধী, ইহুদিবিরোধী, ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী এবং জাতিবিরোধী ভাবাবেগে প্রভাবিত ব্যক্তিরা।

‘বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচক ২০১৮’ প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি শতাব্দীর শুরুতে উত্তর আমেরিকায় অনেক সন্ত্রাসী হামলার সাথে জিহাদি দলগুলোর জড়িত থাকার খবর এসেছে। কিন্তু গত দুই বছরে উগ্র-ডানপন্থী রাজনীতির সন্ত্রাসবাদ বিশ্ব শান্তিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে আরো বলা হয়, ‘২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নয়টি সন্ত্রাসী হামলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সেসব হামলার জন্য দায়ী শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরা।’ প্রতিবেদনটির ভাষ্যমতে, ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের কথা বেশি শোনা গেলেও বাস্তবতা হচ্ছে, গত ১০ বছরে উগ্র শ্বেতাঙ্গ ডানপন্থীরাই বেশি হামলা চালিয়েছে। কিন্তু চাপানো হয়েছে ‘উদর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’।

মূলত ধর্মীয় সন্ত্রাসের ঘটনাগুলো যেভাবে প্রচারিত হয় পশ্চিমা উগ্র-ডানপন্থীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সেভাবে প্রচারিত হয় না। এখন সেদিকটিতে নজর দেয়ার সময় এসেছে। কেননা, সব জায়গাতেই উগ্র-ডানপন্থীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে।

পাশ্চাত্যের শ্বেতাঙ্গ উগ্র বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদ সব সময়ই বিশ্ব শান্তি, প্রগতি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। ইতিহাস পর্যালোচনায় সে চিত্রই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। অথচ দায় চাপানো হয় মুসলমানদের ওপর। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর গবেষণায় এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলে না।

বস্তুত, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসীরা কখনোই বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি নয় বরং সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীরাই এখন বিশ্বশান্তির জন্য প্রধান অন্তরায়। অথচ এসব অপরাধী থাকে নেপথ্যে। এরা কোনো ধর্মেরই প্রতিভূ নয় বরং সভ্যতা ও মানবতারই প্রতিপক্ষ। মূলত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ ট্র্যাজেডির মাধ্যমে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলে গেছে। সম্প্রতি তার সাথে যুক্ত হয়েছে ব্রাসেলস ভিত্তিক ‘পলিটিক্যাল ক্রিয়েটিভ ফাউন্ডেশন’-এর একটি রিপোর্ট, যা শান্তিপ্রিয় বিশ^বাসীর অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিতে সহায়ক হয়েছে। অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বশান্তি নিয়ে নতুন করে ভাবার।


আরো সংবাদ



premium cement