২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘নূরা পাগলা’ ও ডাকসু নির্বাচন

-

আমাদের গ্রামেই ‘নূরা পীর’-এর দরগাহ। এর গা ঘেঁষে রাস্তার ঠিক মধ্যভাগে বরইগাছ। পীরের অনুকম্পা পেতে পথচারীদের সেই গাছের তলায় ঢিল রাখা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় পাগল হওয়া, অন্ধত্ববরণ বা প্রাণহানিসহ নানা ধরনের ‘ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রায় শতভাগ’। তাই তাকে কেউ কেউ ‘ঢিল পীর’ নামেও সম্বোধন করেন। শৈশবে এই ব্যক্তির নামে অনেক কিংবদন্তি শুনেছি। জনশ্রুতি আছে, তিনি ইহলোকে যেমন শক্তিমান ছিলেন, পরলোকেও নাকি ব্যতিক্রম নন। তাই ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে স্থানীয়রা তার দরগাহ ও সংলগ্ন বরইগাছকে বেশ সমীহ করেই চলতেন। যেকোনো সমস্যায় এখানে সিন্নি-মানত, নজর-নিয়াজ দেয়ার রেওয়াজ ছিল এবং সীমিত পরিসরে হলেও এখনো আছে। সাধারণ মানুষের বদ্ধমূল ধারণা, এতেই ‘সব সমস্যার সমাধান; মুশকিল আসান’।

সময়ের পরিবর্তনে ‘ঢিল পীর’-এর জাহিরে ভাটার টান পড়েছে। যতটুকু আছে, তা শুধু কুসংস্কারের বৃত্তেই। বরইগাছটাও কেটে ফেলা হয়েছে। এখন শোভা পাচ্ছে একটা ছোট বটগাছ। সেখানে সপ্তাহে দু’দিন বাজার বসে। বরইগাছের নামে হয়েছে ‘বরইতলী বাজার’। তা আমাদের ‘সুন্দরপুর’ গ্রামের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মনে করা হতো, সেই বরইগাছ অপসারণ তো দূরের কথা-এর পত্র-পল্লবেও হাত দেয়া অসম্ভব। অতীতে যারা এ ধরনের দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের বেশির ভাগই নাকি অন্ধত্ব বরণ করেছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে রক্তবমি করে অকালে মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

এমন সব ভয়ঙ্কর কথা জানার পর কার সাধ্য সেই পীরের সাথে বেয়াদবি করে! কিন্তু স্থানীয় ‘পাগলা জালাল’ এই কুদরতি বৃক্ষে কুঠারাঘাত করার প্রথম দুঃসাহস দেখালেন। তার ভাষায়, ‘কপালে যা আছে হবে, কিন্তু এর সাথে আপস হবে না’। তিনি বরইগাছ কেটে জ্বালানি বানিয়ে বিক্রি করলেন বাজারে। বিক্রেতা, ক্রেতা ও ভোক্তা কারো কোনো সমস্যা হলো না। অন্ধত্ব বা রক্তবমি কাউকে কাবুও করেনি। ‘সাফল্যের আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে’- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এ কথারই প্রতিফলন লক্ষ করা গেছে ‘পাগলা জালাল’-এর চরিত্রে।

অসাধ্যকে সাধন করার কারণেই এদের নামের সাথে যুক্ত হয় ‘পাগলা’ বিশেষণ। কখনো তারা অন্যায়, অবিচার ও প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দ্রোহ হিসেবে আবির্ভূত হন। আবার কখনো মানুষকে আত্মসচেতন করতে এগিয়ে আসেন। যা ইতিহাস, সমাজ-সংস্কৃতির গণ্ডি পেরিয়ে সাহিত্যেও স্থান করে নেয়।

এ ক্ষেত্রে বেশ সফল প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও রম্য লেখক আবুল মনসুর আহমদ তার অনবদ্য সৃষ্টি এমদাদ চরিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে। তিনি রম্যগল্প ‘হুজুর কেবলা’য় এ চরিত্রের সার্থক চিত্রায়ণে একজন ইন্দ্রিয়পরায়ণের অপকর্মের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হিসেবে চিত্রিত করেছেন। এই এমদাদই সহজ-সরল রজবের স্ত্রী প্রতি হুজুর কেবলার লোলুপ দৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। আর অপ্রিয় সত্যকে ধারণ করায় তার নামের সাথে ‘পাগল, অবুঝ, না-লায়েক’ বিশেষণ সংযোজিত হয়েছিল। একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে রবি ঠাকুরের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ গল্পের ‘পাগল’ মেহের আলী চরিত্রে। তাকে সবাই পাগল হিসেবেই জানত। কিন্তু অতীতের ক্ষমতাশালীদের অনাচার, পাপ-পঙ্কিলতার রাজসাক্ষীতুল্য পাষাণপুরী সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্যই প্রতিদিন প্রত্যুষে হাঁক-ডাক দিতেন ‘সব ঝুট হ্যায়, সব ঝুট হ্যায়! তফাৎ যাও, তফাৎ যাও!’ তার এই প্রাত্যহিক ঘোষণায় মানুষ হয়তো আত্মসচেতন হতো। কিন্তু পাগল নামের তকমাটা তার পিছু ছাড়েনি।

অহেতুক ভীতিটা কখনোই কল্যাণকর হয় না। মূলত ভয়কে জয় করার মাধ্যমেই অখ্যাত ব্যক্তিরা ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই ভীতিটা আমাদের কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না। অতীতে ‘নূরা পীরের ভীতি’ সামাজিক গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকলেও ক্রমেই তার বিস্তৃতি ঘটছে। সাম্প্রতিককালে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় এই ভীতিটা পেয়ে বসেছে। তাই দেশের সাধারণ মানুষ এখন অনেকটাই নির্বাচনবিমুখ। তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। জনমনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, তেলেসমাতির মাধ্যমেই নির্বাচন হয়। তাই ভোটকেন্দ্রে গিয়েইবা লাভ কী? ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ই যখন মুখ্য; তখন নির্বাচন, ভোট, গণতন্ত্র, দেশ ও জাতি তো গৌণ হতে বাধ্য। তিক্ত হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে এখন ভীতির গণতন্ত্র ক্রমেই মজবুত ভিত্তি পাচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি দেখে এই ভীতিটা আরো জোরালো ভিত্তি পেয়েছে। অভিযোগ আছে যে, সাম্প্রতিক সংসদ নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে। অভিযোগটা যদি শুধু অভ্যন্তরীণ হতো তাহলে হয়তো খুব একটা চিন্তার কারণ ছিল না; বরং বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর একটি প্রতিবেদনেও এসব কথার স্বীকৃতি মিলেছে। এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২৮৮ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করলেও বিরোধীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে।

একই সাথে, মহাজোটের সমর্থকদের বাধার মুখে লোকজন ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রধান বিরোধী জোটের নেতা এই নির্বাচনকে প্রহসন উল্লেখ করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেক পোলিং এজেন্ট জানিয়েছেন, তারা ভয়ে কেন্দ্র থেকে দূরে ছিলেন। আবার অনেকে অভিযোগ করেন, তাদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।... এমনকি ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যালটে সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভরাট করেছেন।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) অনুসন্ধানেও সেই অভিযোগগুলোই জোরালো ভিত্তি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক এই গবেষণা সংস্থা ৫০টি আসনের নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করে ৪৭টি আসনেই গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আরো তির্যক ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে; যা বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করেনি।

সংসদ নির্বাচনে এমন বেহাল দশা এবং দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার পর মনে করা হয়েছিল যে, পরবর্তী নির্বাচনগুলো অন্তত মন্দের ভালো হবে। কিন্তু একটি ভীতিপ্রবণ জাতির ভাগ্যে যে ভালো কিছু নেই তা আবারো প্রমাণ হয়েছে সদ্যসমাপ্ত ডিএনসিসি উপনির্বাচন ও চার পর্বের উপজেলা নির্বাচনে। এসব নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি অতি নগণ্য বলেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনেও আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ আছে। শুধু তাই নয়, ১১০টি উপজেলায় সরকারদলীয় প্রার্থীর বিপরীতে কেউ প্রার্থী হওয়ার সাহসই দেখাননি। ফলে এসব উপজেলায় সে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

নির্বাচনী সংস্কৃতিতে অনাকাক্সিক্ষত ভীতির মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেল। এ নির্বাচন নিয়েও অভিযোগের অন্ত ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, ভোট গ্রহণের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীরা হাতেনাতে ধরেও ফেলেছেন বলে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এসব অপকর্মে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকাও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ডাকসু নির্বাচন কেমন হয়েছে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে যা ঘটেনি, এমনকি কোনো সামরিক স্বৈরাচারের আমলেও যা ঘটেনি, তা ঘটেছে এবার। ব্যালট পেপারে ভোটের আগে সিল দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিতে এটা কলঙ্কের তিলক দিয়েছে’। তবে ডাকসু নির্বাচন একদিক দিয়ে সংসদ নির্বাচন, তৎপরবর্তী ডিএনসিসি উপনির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচনের মতো হয়নি। তাহলো, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদমুখর হয়েছেন।

নজিরবিহীন দখল, জালিয়াতি, ব্যালট ছিনতাই, জালভোট আর বিরোধী প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর গণহামলার অভিযোগের মধ্যদিয়েই অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে গত ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল আরেকটি প্রহসন প্রত্যক্ষ করেছে।

মূলত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণে ডাকসু নির্বাচনে কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি সুবিধা করতে পারেনি। বরং বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আর এই বিক্ষোভের মধ্যমণি ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর। সাম্প্রতিককালের অনিয়মপ্রবণ নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো যে সাহস, বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে পারেনি, নূর কিন্তু সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সফল। অবশ্য তার একার পক্ষে নির্বাচনে পুরোপুরি অনিয়ম ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

কিন্তু এই নির্বাচনে নূরের যে অর্জন, তা ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তার গতিশীল ও সাহসী নেতৃত্বেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে অনিয়মে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন। এর ফলাফলও কিছুটা হলেও ইতিবাচক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেই ঢাবি কর্তৃপক্ষ নুরুল হক নূরকে ভিপি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে। এর প্রতিক্রিয়া হয়েছে মিশ্র। কারণ, কোনো প্যানেল থেকে মাত্র ২-১ জন নির্বাচিত হওয়াকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বিষয়টি যে রহস্যজনক, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শোভনের বক্তব্যেই তা কিছুটা হলেও অনুমান করা যায়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত করতে তিনি বলেই ফেলেছেন, ‘পরিবেশ ঠিক রাখতে কোনো কোনো সময় নিজেকে বলি দিতে হয়।’

এই ফলাফল কোনো পক্ষই মেনে নিতে চায়নি। এমনকি ছাত্রলীগ ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচন দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করে। কারণ তাদের প্রার্থী এই দু’টি পদে নির্বাচিত হতে পারেনি। নবনির্বাচিত ভিপি নূর ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব পদেই পুনর্নির্বাচন দাবি করে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। আর এটিই নূরের জন্য কাল হয়েছে। প্রতিপক্ষরা নানা অপবিশেষণে তাকে বিশেষিত করেছে। তাকে ‘নূর’ থেকে ‘নূরু’ আবার ‘নূরু’ থেকে ‘নূরা পাগলা’ বানিয়ে গালমন্দও করা হয়েছে। কিন্তু কথিত নূরা পাগলার ক্যারিশমার কাছে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। বরং বিক্ষোভ বন্ধ করে একটা আপস রফার চেষ্টাও করতে হয়েছে। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি শোভনও কথিত নূরা পাগলাকে ভিপি হিসেবে বরণ করে নেয়ার সচিত্র খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতেরও সুযোগ হয়েছে তার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে ডাকসু নির্বাচনের পরিসমাপ্তি চেয়েছিল, কথিত ‘নূরা পাগলা’ ক্যারিশমার কাছে তা খানিকটা নস্যাৎ হয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। ফলে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ফল বাতিল চেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। এই দাবিতে অনশনও করছেন কেউ কেউ। যাদের আঁতে ঘা লেগেছে তারা নূরকে ‘নূরা পাগলা’ বানিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ‘পাগলা জালাল’, ‘না-লায়েক এমদাদ’ আর ‘পাগল মেহের আলী’রাই। তাই ‘নূরা পাগলা’ ক্যারিশমা দিয়ে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement