২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কার গোয়াল, কে দেয় ধোঁয়া

-

একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনটি অঙ্গ বা বিভাগ রয়েছে। উল্লিখিত তিন অঙ্গ হলো- নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। নির্বাহী তথা শাসন বিভাগের মূল কাজ হচ্ছে আইনানুসারে শাসনকাজ পরিচালনা করা। আইন বিভাগ তথা আইনসভার সংসদে মূল কাজ হচ্ছে দেশের প্রয়োজনে নতুন আইন বিধি-বিধান প্রণয়ন ও পুরনো আইন সংশোধন করা। তা ছাড়া আইনসভা নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এর ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত করে তার প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করে। আর বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং বিচারকাজ সম্পাদন করা; তা ছাড়া সংবিধান সংরক্ষণ ও তার ব্যাখ্যা করা। উচ্চ আদালত নাগরিকদের সব মৌলিক অধিকারের রক্ষক। একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলতে হলে এই তিন বিভাগের সক্রিয় ভূমিকা পালনের গুরুত্ব সর্বাধিক।

বর্তমান সময়ে রাষ্ট্রে আরো একটি অঙ্গের কথা বিবেচনা করা হয়। আর সেটা হলো, সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যম সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অনিয়ম অব্যবস্থা বিরাজ করে তা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে তা সমাধানে উদ্যোগ নিতে সহায়তা করে থাকে। মোদ্দা কথা হচ্ছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলোর নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং সে মতে কার্য সম্পাদনের ওপরই নির্ভর করে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা। বাংলাদেশে এই অঙ্গগুলোর কোনটি এখন কতটা সচল তার কিছু নমুনা দেখা যেতে পারে। কেননা ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, বিচার বিভাগ স্বীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের বেশ কিছু কাজের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। যে বিষয়গুলোর ব্যাপারে বিচার বিভাগ নজর দিয়েছে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনস্বার্থে এসব ব্যাপারে কাজ করা বিশেষ প্রয়োজন হলেও নির্বাহী বিভাগের দৃষ্টি এড়িয়েছে। এটা কোনো ছোটখাটো অবহেলার বিষয় নয়।

নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে আইনানুযায়ী রাষ্ট্রে শাসনকাজ পরিচালনা করে নাগরিকদের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিধান করা। ব্যাপক অর্থে, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে গ্রাম্য পুলিশ পর্যন্ত সবাই নির্বাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। সীমিত অর্থে, শাসন তথা নির্বাহী বিভাগ বলতে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ও মন্ত্রীবর্গ এবং সচিবদের বোঝায়। আরো সীমিত অর্থে, রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে শাসন বিভাগ বলা হয়। শাসন বিভাগের বহুবিধ কাজ আর বর্তমান সময়ে এ বিভাগের কাজ ক্রমে বেড়েই চলেছে। একটি আধুনিক শাসন বিভাগের ওপর বহুবিধ দায়িত্ব থাকার কারণে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আইনানুযায়ী দেশের প্রশাসন পরিচালনা করা শাসন বিভাগের প্রধান কাজ। রাষ্ট্রের শাসনকাজ পরিচালনার জন্য শাসন কাঠামো রচনা, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা শাসন বিভাগের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রের সাথে অন্য দেশের সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য সরকারের যে মন্ত্রণালয় রয়েছে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সম্মেলনে প্রতিনিধি নিয়োগ ও প্রেরণ এবং সব রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন প্রভৃতি শাসন বিভাগের কূটনৈতিক কাজ। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ও শাসন বিভাগের ওপর ন্যস্ত। শাসন বিভাগ সামরিক বাহিনী গঠন ও পরিচালনা এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার জন্য পুলিশ বাহিনী গঠনও পরিচালনা করে থাকে। শাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপ্রধান সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তিনি যুদ্ধ ঘোষণা ও শান্তি স্থাপন এবং সামরিক চুক্তি সম্পাদন করতে পারেন। শাসন বিভাগ আইন সভার অধিবেশন আহ্বান, মুলতবি ও সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারে। এমনকি আইন সভা ভেঙেও দিতে পারে। আইন সভায় পাস করা বিলে রাষ্ট্রপ্রধান অনুমোদন না দিলে তা আইনে পরিণত হয় না। শাসন বিভাগ যেকোনো বিল নাকচ করতে পারে। প্রয়োজন বোধে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে।

এ আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় রাষ্ট্রে নির্বাহী বা শাসন বিভাগের গুরুত্ব ও ক্ষমতা কত বেশি এবং রাষ্ট্রের জন্য শাসন বিভাগ কতটা অপরিহার্য। শাসন বিভাগ গঠিত হয়ে থাকে দেশের জনগণের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে। এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি অনিয়ম অব্যবস্থা ঘটে তবে শাসন বিভাগ গঠনের ক্ষেত্রে বিরাট ত্রুটি থেকে যায়। তাতে সত্যিকার জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্র শাসনে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। ফলে অপশাসনের জন্ম হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘রাষ্ট্রের মালিক’ হিসেবে জনগণকে চিহ্নিত করা হয়, সেই মালিকদের সম্মতি ভিন্ন সত্যিকার কোনো শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। জনগণের ভোটে শাসন বিভাগ গঠিত হবে- এটাই সার্বজনীন নিয়ম। এই ভোটব্যবস্থায় যদি ব্যত্যয় ঘটে এবং এই ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও যদি শাসন বিভাগ গঠিত হয়; সে ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে জনহিতকর কাজ পাওয়ার আশা করাটা বাতুলতা মাত্র। তখন তাদের কাজে অবহেলা এবং মনোযোগের অভাব ঘটবে অনিবার্যভাবে।

নদী খাল বিল ও হাওর বাংলাদেশের প্রাণ। একে অবহেলা করার অর্থ হচ্ছে পুরো জাতির আত্মহননের শামিল। কিন্তু এখন সেটিই ঘটছে; আর এই পরিস্থিতিতে যাদের এর প্রতিবিধান করার দায়িত্ব সেই শাসন বিভাগকে এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত নিরুদ্বিগ্ন। প্রতিদিন প্রায় সব পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে যে, নদী খাল বিল দুর্বৃত্তরা দখল করে পানির আধারগুলোকে ধ্বংস করছে। এতে খাবার এবং কৃষি কাজের জন্য পানির মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। যারা এই দখল প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত, এদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।

এসব দখলদার দাপটের সাথে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখায় জীবন, মৎস্যসম্পদ, শস্য, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের যে নির্লিপ্ততা তা যারা তুলে ধরবে, সেই রাষ্ট্রীয় বিভাগ তথা আইন বিভাগ অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পর্যবসিত হয়েছে। রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিচার বিভাগ সম্প্রতি উল্লিখিত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালত থেকে নির্দেশ জারি করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আদালত থেকে নির্দেশ এসেছে বটে; কিন্তু শাসন বিভাগ একে কতখানি গুরুত্বের সাথে নেবে এবং কার্যকর করবে? নিজেদের কর্তব্যকাজে অবহেলার বিষয়টি ধরিয়ে দেয়া শাসন বিভাগ এবং আইন বিভাগ কোন দৃষ্টিতে দেখবে। রাষ্ট্রের কথিত চতুর্থ অঙ্গ তথা গণমাধ্যম আদালতের ফরমানটি যথাযথ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে তা সর্বসাধারণকে অবহিত করেছে। শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, আরো বহু বিষয়ে অনিয়ম ত্রুটি-বিচ্যুতি সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে। তবুও নির্বাহী বিভাগ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে তেমন তৎপর বলে মনে হয় না। এর পরিণতিতে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশে অর্থনীতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি এতটা ব্যাপক ও বিস্তৃত যে, সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ লোপাটের কাহিনী দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব বিষয় বরাবর রাখা হয়েছে ধামাচাপা দিয়ে। এমন অর্থনৈতিক জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত সেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যায় না। তা ছাড়া রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরো একটি দুরাচার হচ্ছে, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের কার্যক্রম। ব্যাংকের এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় এসব অপকর্ম হয়ে আসছে। এর ফলে সরকারি ব্যাংকব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের নামধাম সামাজিক পরিচয় প্রকাশ করেনি। সম্প্রতি উচ্চ আদালত ঋণখেলাপি এবং অর্থ পাচারকারীদের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ জারি করেছেন। এ তালিকা প্রকাশিত হলে সমাজে লুকিয়ে থাকা দুরাচারীদের মুখোশ খুলে পড়বে এবং সমাজ থেকে এদের প্রতিরোধের জন্য চাপ সৃষ্টি হবে। বিচার বিভাগের পক্ষে এর চেয়ে ভিন্ন কিছু সম্ভব নয়। সংবিধান তাদের ক্ষমতা এই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করেছে।

এ দিকে, ঋণখেলাপিরা এসব অপকর্ম সত্ত্বেও পুনরায় ঋণ পেয়ে থাকে। ঋণের টাকা পেয়ে এরা সে অর্থ বিদেশে পাচার করে দেয়। কিন্তু সত্যিকার শিল্পোদ্যোক্তরা শিল্প গড়ার জন্য ঋণ পেতে হাজারো ঝামেলায় পড়েন। অথচ দেশে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠা জরুরি। কেননা, বাংলাদেশে লাখ লাখ বেকার যুবকের কর্মের সংস্থান নেই। ফলে গ্লানিকর জীবনযাপন করছে তারা। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নতুন বিনিয়োগ এখন অপরিহার্য। আমাদের সম্পদ সীমিত। কিন্তু এই লুক্কায়িত অর্থ যদি বিনিয়োগ করে মানুষের হাতে কাজ তুলে দেয়া যায়, তবে দেশের বিপুল জনশক্তি বিরাট সম্পদে পরিণত হবে। এতে শিল্পের চাকা সচল হবে। মানুষ কাজ পাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগ নেই একথা বলব না; কিন্তু উদ্যোগ ফলপ্রসূ হচ্ছে কিনা সেটি দেখার বিষয়।

নাগরিকদের রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুচিকিৎসা লাভ করা তার মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু তা কি নাগরিকেরা পাচ্ছেন? দেশে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের অভাব নেই কিন্তু সেসব চিকিৎসালয়ে সাধারণের সঙ্গতি নেই সেবা গ্রহণ করার। সরকারি হাসপাতালে চেষ্টা তদবির করে কোনো ক্রমে ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ওষুধপত্র পাওয়ার কোনো জো নেই। বিত্তবানেরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। আর মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন অত্যন্ত উচ্চমূল্যে। কিন্তু হাসপাতালের চার্জ নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য কোনো সরকারি সংস্থা নেই।

বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো মূল্য তালিকা না থাকায় তাদের নিজস্ব বিবেচনাই এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে থাকে। অথচ এ ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা থাকা আবশ্যক। তাই উচ্চ আদালত জনস্বার্থে আদেশ দিয়েছে, সব বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য টানাতে হবে। জনস্বার্থে এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া নির্বাহীদের অবিচ্ছেদ্য দায়িত্ব। এসব দায়িত্ব পালন করতে শিথিলতা প্রদর্শন করার অর্থ দাঁড়ায় কর্তব্য কাজে অবহেলা প্রদর্শন, যা কি না অপরাধ।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশে মানুষের খাদ্যপ্রাপ্তির বিষয়কে সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। নাগরিকেরা যাতে ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এমন দেশও রয়েছে, যারা ভেজাল মানহীন খাবার বাজারজাত করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এসব দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত শাস্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। অথচ আমাদের দেশে যে খাদ্যদ্রব্য বাজারে তোলা হয়, সেগুলোর মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এমনকি বাজারে এমন সব ওষুধ আছে যেগুলো ভেজাল উপাদান দিয়ে তৈরি। সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বাজারে বিশুদ্ধ বলে যে সব বোতলজাত পানি রয়েছে তার বেশির ভাগই দূষণমুক্ত নয়।’

প্রশাসনের এমন উদাসীনতার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবৈধ অনিরাপদ জার ও বোতলের পানি সরবরাহ বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আদালত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের নতুন পরীক্ষা করে তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন। আদালত বহু অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। আদালতের এমন দৃষ্টি আকর্ষণ করানো ব্যতিরেকে আর তেমন কিছু করার নেই। কিন্তু সচেতন আদালত তাদের সরাসরি দায়িত্বের বাইরে এমন ভূমিকা রাখার জন্য অবশ্যই প্রশংসা লাভ করবেন। সেই সাথে, প্রশাসন এসব বিষয় নজরে এনে এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে নাগরিকেরা আশা করেন। তা না হলে কর্তব্য কাজে অবহেলার দায়ে নির্বাহী বিভাগ অভিযুক্ত হবে।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement